মোঃ ইদ্রিস আলী, পাঁচবিবি(জয়পুরহাট) সংবাদদাতাঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পাঁচবিবি হাট ইজারা নিয়ে নাগরিক কমিটি ও পৌর মেয়র পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। নাগরিক কমিটি বলেছে, কম মূল্যে হাট দিয়ে পৌরবাসীকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অপরদিকে পৌর মেয়র বলেছেন, সকল নিয়ম মেনে হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পাঁচবিবি গোহাটা চত্বরে পাঁচবিবি নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর গো-মহিষের হাট পাঁচবিবি। এবছর এহাটটি ৫ কোটি টাকায় ইজারা হতো কিন্তু পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব অতিগোপনে ঢোঁল শহরত নোটিশ বোর্ডে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে বা মাইকিং না করে মাত্র আড়াই কোটি টাকায় পাঁচবিবি (বালিঘাটা) হাট ইজারা দিয়েছেন। ফলে পাঁচবিবি পৌরবাসী বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত হবে। পৌরবাসীর স্বার্থে আমরা অবিলম্বে হাট ইজারা বাতিল করে নতুন করে হাট ইজারা টেন্ডার করার দাবী জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস,কে আব্দুল হক. সদস্য, পৌর কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ রাব্বানী ইস্তি প্রমুখ। অপরদিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাঁচবিবি পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, নাগরিক কমিটিতে যারা আছে তারা ছোট ছেলে। এদের একটি অপশক্তি ব্যবহার করছে। আমি ঐ অপশক্তির দ্রæত মুখোশ খুলে দিবো। পাঁচবিবি হাটের টেন্ডার বাতিলের প্রশ্নই আসে না। এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র মোশাঈদ আল আমীন সাদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম সবশেষে ‘জয় বাংলা’ বলে ভাষণটি শেষ করেছেন বঙ্গবন্ধু। যে স্লোগানটি পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের রণধ্বনিতে পরিণত হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণের ব্যবচ্ছেদ করলে এর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিকটি সমান্তরালভাবে চোখে পড়ে। শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু সে ভাষণটি দেননি। বাঙালি সেদিন তাকে কেন্দ্র করে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল। ভাষণে মূলত চারটি দাবি তোলা হয়– মার্শাল ল প্রত্যাহার, সেনাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘দাবি পূরণের পরে আমরা ভেবে দেখবো অ্যাসেম্বলিতে বসব কিনা’। এ ধরনের কথা উচ্চারণ করে একদিকে বঙ্গবন্ধু আলোচনার পথ খোলা রাখলেন এবং ভাষণ পরবর্তী সৃষ্ট স্বায়ত্তশাসন দাবির আন্দোলনের দায়ভার থেকে নিজেকে এবং তার দলকে বাঁচিয়ে নিলেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একমাত্র স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের জন্য একটি স্বাধীন আবাসভূমি। স্বাধীনতার মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি দিয়েছিলেন এক ক্রান্তিকালে। বঙ্গবন্ধু যদি ঐ সময়ে এমন একটি ভাষণ জাতির সামনে পেশ না করতেন তাহলে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন সফল হতো কিনা তা সন্দেহের অবকাশ রাখে। ১ মার্চ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি ও তার দলের নেতা-কর্মীরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন ৭ তারিখের ভাষণের ব্যাপারে। বঙ্গবন্ধু ড. কামাল হোসেনকে ডেকে বলেন, ‘আমি তো লিখিত বক্তব্য দেবো না; আমি আমার মতো করে দেবো। তুমি পয়েন্টগুলো ফরমুলেট কর।’ ড. কামালের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গেও কয়েকবার বৈঠক করেন। ছাত্রনেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হয়। বঙ্গবন্ধু সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। ৭ই মার্চ ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্সের ময়দানে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন যা লক্ষ লক্ষ মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিল। মঞ্চে উঠে চিরাচরিত ভঙ্গিতে সম্বোধনের মাধ্যমে শুরু করেন তার বক্তৃতা। ১৮ মিনিটের ভাষণে তিনি মোট ১১০৮টি শব্দ উচ্চারণ করেন। মিনিটে গড়ে ৪৮ থেকে ৫০টি শব্দ বের হয় তার মুখ দিয়ে। বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষের নেতা। তাই, তার ভাষণেও মাটি ও মানুষের ভাষা লক্ষ করা যায়। প্রমিত বাংলায় প্রদত্ত সে ভাষণে তিনি তুলে ধরেন শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি অলিখিত হলেও ভাষণের মাঝে তালপতন বা পুনরাবৃত্তির কোনো ঘটনা লক্ষ করা যায়নি। শব্দ চয়নের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু ছিলেন যথেষ্ট মার্জিত ও ধৈর্যশীল।৭ই মার্চের ভাষণের শাব্দিক গুরুত্ববহতার আরেকটি দিক হচ্ছে ভাষণটিতে একটি সুনির্দিষ্ট প্রবাহানুসারে কথাগুলো বলা হয়েছে। প্রথমদিকে ইতিহাস, মাঝের দিকে অত্যাচার ও অন্যায়ের কথা এবং হুঁশিয়ারির সঙ্গে সঙ্গে আলোচনার আহ্বান আর শেষের দিকে জনগণের প্রতি দিক-নির্দেশনামূলক কথাবার্তা। ভাষণের শেষের কথাটি ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’– ভাষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডায়লগ যেটি শোনার জন্যেই শ্রোতারা মুখিয়ে ছিলেন।সবশেষে ‘জয় বাংলা’ বলে ভাষণটি শেষ করেছেন বঙ্গবন্ধু। যে স্লোগানটি পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের রণধ্বনিতে পরিণত হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণের ব্যবচ্ছেদ করলে এর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিকটি সমান্তরালভাবে চোখে পড়ে। শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু সে ভাষণটি দেননি। বাঙালি সেদিন তাকে কেন্দ্র করে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল। ভাষণে মূলত চারটি দাবি তোলা হয়– মার্শাল ল প্রত্যাহার, সেনাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘দাবি পূরণের পরে আমরা ভেবে দেখবো অ্যাসেম্বলিতে বসব কিনা’। এ ধরনের কথা উচ্চারণ করে একদিকে বঙ্গবন্ধু আলোচনার পথ খোলা রাখলেন এবং ভাষণ পরবর্তী সৃষ্ট স্বায়ত্তশাসন দাবির আন্দোলনের দায়ভার থেকে নিজেকে এবং তার দলকে বাঁচিয়ে নিলেন।বঙ্গবন্ধু ভিয়েতনাম, তিব্বতসহ অন্যান্য দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন। দেশের প্রধান নেতা হিসেবে সরাসরি বিচ্ছিন্নতার ডাক দিলে সেটি বিরোধীদের কাছে উপযুক্ত কারণ হয়ে দাঁড়াতো আন্দোলন দমন করার এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আইনগতভাবে গ্রেপ্তার করার বা শাস্তি প্রদানের। বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে বঙ্গবন্ধু পরিচিত হতেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে এবং বড় বড় দেশ ও বিশ্বসংঘের কাছ থেকে স্বাধীনতার পক্ষে সহমর্মিতা ও সহযোগিতা পাওয়া মুশকিল হয়ে যেত।৭ই মার্চের ভাষণকে বলা যেতে পারে মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভিক দিকনির্দেশনা। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতা-সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানে সীমাহীন ত্যাগ, বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে শুধু নয় বরং ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যচিত্রের ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়ায় এর মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও শাসনতন্ত্র অর্জন করে।বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ তখনই বিশ্ব দরবারে সমাদৃত হয়। তাকে ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ‘Newsweek’ সাময়িকী ১৯৭১-এর এপ্রিল সংখ্যার কভার স্টোরি করা হয়। ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণে অনন্য স্থান পাওয়ায় শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব গবেষণার উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত। বাঙালির স্বাধীনতার উষালগ্নে প্রদত্ত এ ভাষণে ৭ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, মানসিক প্রস্তুতির সকল দিক-নির্দেশনামূলক এ কালজয়ী ভাষণ প্রদানের দিন ৭ মার্চ।পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শাসন-শোষণ, অত্যাচার, নিপীড়ন ও বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের অনীহা ও কালক্ষেপণ, উপরন্তু বাঙালি হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রাক্কালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। আব্রাহাম লিংকন, চার্চিল, গান্ধী বা মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো মহান নেতাদের ভাষণের প্রেক্ষাপটের মতো বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। একমাত্র গান্ধী ছাড়া সবাই স্বাধীন দেশে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও সামরিক অভিযানের উপর্যুক্ত মহান নেতাদের কালজয়ী ভাষণ প্রদত্ত হলেও ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির চিরলালিত স্বপ্ন স্বাধীনতার পূর্বক্ষণে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল ব্যতিক্রম। কারণ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যেমন ছিল ৭ কোটি বাঙালির বাঁচার প্রশ্ন তেমনি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সরাসরি রোষানলে না পড়ে প্রয়োজনে সংগ্রামের পরিকল্পনা তুলে ধরা।###
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বনভোজনে এসে সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার করলেন ছাত্রীরা। আগে থেকেই পরিচ্ছন্নতার জন্য খ্যাতি রয়েছে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের ঐতিহ্যবাহী আবেদ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের। গতকাল সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই বিদ্যালয়ের ১৯০ ছাত্রী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে আসেন। সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাদের মন কাড়লেও চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খাবারের অবশিষ্টাংশ এবং ময়লা আবর্জনা তাদের ব্যথিত করে তোলে। পরে দুপুরে ছাত্রীরা তাদের সঙ্গে আসা শিক্ষকদের কাছে আবেদন করেন এই জানিয়ে যে, তারা সৈকত পরিষ্কার করবেন। শিক্ষকরাও ছাত্রীদের এই কাজে উৎসাহ দেন। সন্ধ্যার আগে জিরো পয়েন্ট থেকে সানসেট পয়েন্ট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সৈকতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লা অবর্জনা শিক্ষকদের সহযোগিতায় পরিষ্কার অভিযান শুরু করেন ছাত্রীরা। আবেদ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিনুর জানান, ‘আমরা সকালে (গতকাল) এসেছি। কুয়াকাটার সৌন্দর্য আমাদের ভালোই লেগেছে। বান্ধবীরা মিলে অনেক মজা করেছি। তবে সৈকত ময়লা আবর্জনা ফেলা ছিলো। দুর্গন্ধ ভেসে আসছিলো। যেটা আমাদের কষ্ট দিয়েছে। তাই আমরা বান্ধবীরা মিলে স্যারদের সৈকত পরিষ্কারের কথা বলি। স্যাররাও রাজি হয়ে যান। পরে আমরা সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার করেছি। সৈকতকে আবর্জনা মুক্ত করতে পেরে ভালোই লেগেছে। আমাদের সঙ্গে অন্য পর্যটকরাও কাজ করেছেন।’ একই শ্রেণির শিক্ষার্থী নিসাত আনজুম নুরীন বলেন, ‘মূলত সৈকতে ময়লা আবর্জনা না ফেলতে উৎসাহী করার জন্যই এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা। আশা করছি অন্য পর্যটকরা সৈকতে আর প্লাষ্টিক, পলিথিন এবং ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না।‘আবেদ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, ‘১৯০ জন ছাত্রী নিয়ে আমরা কুয়াকাটায় এসেছি। অবাক করার বিষয় হলো শিক্ষার্থীরা সৈকত পরিচ্ছন্ন করতে নিজেরা উদ্যোগী হবে সেটা ভাবতে পারিনি। অবশ্য পরিচ্ছন্নতায় আমাদের স্কুলের আগে থেকেই ক্ষ্যাতি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা পরিচ্ছন্নতা করার বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে আমরা তাদের উৎসাহ দেই। ওরা প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা পরিচ্ছন্ন করে কুয়াকাটায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলো।’###
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি>>২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা দিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে।[১][২] ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। [৩] ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ। – এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করে বাংলাদেশ। গত মে মাসে ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের তথ্যবিষয়ক কমিটিতে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালির আত্ম-অম্বেষায় যে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটে।ঐদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালামসহ কয়েকজন ছাত্রযুবা হতাহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে সমবেত হয়। নানা নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুণরায় রাজপথে নেমে আসে। তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করে। ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৯ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।ুতখন থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় ‘শোক দিবস’ হিসেবে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাধিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এ সময় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানের করুণ সুর বাজতে থাকে।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। এদিন শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রেডিও, টেলিভিশন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যে চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে বাঙালিরা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, আজ তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-রূপে মর্যাদা পেল১) ১৯৯৮ সালের ৯ই জানুয়ারী রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্যানাডা নিবাসী বাঙালি জাতিসংঘের তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারী কফি আনানকে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে রফিক ১৯৫২ সালে ভাষা শহীদদের অবদানের কথা উল্লেখ করে কফি আনানকে প্রস্তাব করেন ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘মাতৃভাষা দিবস’হিসেবে যেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।২) সে সময় সেক্রেটারী জেনারেলের প্রধান তথ্য কর্মচারী হিসেবে কর্মরত হাসান ফেরদৌসের (যিনি একজন সাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত) নজরে এ চিঠিটি আসে। তিনি ১৯৯৮ সালের ২০ শে জানুয়ারী রফিককে অনুরোধ করেন তিনি যেন জাতিসংঘের অন্য কোন সদস্য রাষ্ট্রের কারো কাছ থেকে একই ধরনের প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করেন। ৩) সেই উপদেশ মোতাবেক রফিক তার সহযোদ্ধা আব্দুস সালামকে সাথে নিয়ে “এ গ্রুপ অব মাদার ল্যাংগুয়েজ অফ দ্যা ওর্য়াল্ড”নামে একটি সংগঠন দাঁড় করান। এতে একজন ইংরেজীভাষী, একজন জার্মানভাষী, একজন ক্যান্টোনিজভাষী, একজন কাচ্চিভাষী সদস্য ছিলেন। তারা আবারো কফি আনানকে “এ গ্রুপ অব মাদার ল্যাংগুয়েজ অফ দ্যা ওর্য়াল্ড” -এর পক্ষ থেকে একটি চিঠি লেখেন, এবং চিঠির একটি কপি ইউএনও (UNO) -র ক্যানাডিয়ান এম্বাসেডর ডেভিড ফাওলারের কাছেও প্রেরণ করেন।৪) এর মধ্যে একটি বছর পার হয়ে গেলো। ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে হাসান ফেরদৌস সাহেব রফিক এবং সালামকে উপদেশ দেন ইউনেস্কোর ভাষা বিভাগের জোশেফ পডের সাথে দেখা করতে। তারা জোশেফের সাথে দেখা করার পর জোশেফ তাদের উপদেশ দেন ইউনেস্কোর আনা মারিয়ার সাথে দেখা করতে। এই আনা মারিয়া নামের এই ভদ্রমহিলাকে আমরা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করবো, কারণ এই ভদ্রমহিলাই রফিক-সালামের কাজকে অনেক সহজ করে দেন। আনা মারিয়া রফিক-সালামের কথা মন দিয়ে শোনেন এবং তারপর পরামর্শ দেন তাদের প্রস্তাব ৫ টি সদস্য দেশ – ক্যানাডা, ভারত, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড এবং বাংলাদেশ দ্বারা আনীত হতে হবে। ৫) সে সময় বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এম এ সাদেক এবং শিক্ষা সচিব কাজী রকিবুদ্দিন, অধ্যাপক কফিলউদ্দিন আহমেদ, মশিউর রহমান (প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারিয়েটের তৎকালীন ডিরেক্টর), সৈয়দ মোজাম্মেল আলি (ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত), ইকতিয়ার চৌধুরী (কাউন্সিলর), তোজাম্মেল হক (ইউনেস্কোর সেক্রেটারি জেনেরালের শীর্ষ উপদেষ্টা) সহ অন্য অনেকেই জড়িত হয়ে পড়েন।তারা দিন রাত ধরে পরিশ্রম করেন আরো ২৯ টি দেশকে প্রস্তাবটির স্বপক্ষে সমর্থন আদায়ে। অন্যান্য বাংলাদেশী এবং প্রবাসীদের কাছে ব্যাপারটা অগোচরেই ছিল- পর্দার অন্তরালে কি দুঃসাহসিক নাটক চলছিলো সে সময়। এই উচ্চাভিলাসী প্রজেক্টের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা এবং ক্যানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরের জনা কয়েক লোক কেবল ব্যাপারটা জানেন, এবং বুকে আশা নিয়ে তারা সেসময় স্বপ্নের জাল বুনে চলেছেন প্রতিদিন। ৬) ১৯৯৯ সালের ৯ ই সেপ্টেম্বর। ইউনেস্কোর প্রস্তাব উত্থাপনের শেষ দিন। এখনো প্রস্তাব এসে পৌঁছায়নি। ওদিকে রফিক সালামেরা ব্যাপারটি নিয়ে বিনিদ্র রজনী অতিক্রম করে চলেছেন। টেলিফোনের সামনে বসে আছেন, কখনো চোখ রাখছেন ইমেইলে। আসলে প্রস্তাবটির পেছনে প্রধানমন্ত্রীর একটি সই বাকি ছিলো। আর প্রধানমন্ত্রী তখন পার্লামেন্টে। পার্লামেন্টের সময়সূচীর পরে সই করতে করতে প্রস্তাব উত্থাপনের সময়সীমা পার হয়ে যাবে। সেটা আর সময় মত ইউনেস্কো পৌঁছুবে না। সব পরিশ্রম জলেই যাবে বোধ হয়।৭) প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে অনুরোধ করা হলো তিনি যেন প্রস্তাবটি সই করে ফ্যাক্স করে দেন ইউনেস্কোর দপ্তরে। অফিসের সময়সীমা শেষ হবার মাত্র একঘণ্টা আগে ফ্যাক্সবার্তা ইউনেস্কোর অফিসে এসে পৌঁছুলো।৮) ১৬ই নভেম্বর কোন এক অজ্ঞাত কারণে (?) বহুল প্রতাশিত প্রস্তাবটি ইউনেস্কোর সভায় উত্থাপন করা হলো না। রফিক সালামেরা আরো একটি হতাশ দিন পার করলেন। পর দিন – ১৭ই নভেম্বর, ১৯৯৯। এক ঐতিহাসিক দিন। প্রস্তাব উত্থাপন করা হলো সভার প্রথমেই। ১৮৮ টি দেশ এতে সাথে সাথেই সমর্থনজানালো। কোন দেশই এর বিরোধিতা করলোনা। সর্বসম্মতিক্রমে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে গৃহীত হলো ইউনেস্কোর সভায়। এভাবেই একুশে ফেব্রুয়ারি একটি আন্তর্জাতিক দিনে পরিণত হলো। বিস্তারির….
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী পৌরসভায় পেনশনবঞ্চিত ১৭ কর্মচারী পেলেন সোয়া কোটি টাকা। পটুয়াখালী পৌরসভার সাধারণ শাখায় ১৯৯২ সালের ১ আগস্ট চাকরিতে যোগদান করেন আব্দুল মজিদ প্যাদা। দীর্ঘ সময় নগরবাসীকে সেবা দিয়ে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি অবসরে যান মজিদ। এরমধ্যে জীবনের অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছেন। অবসরের পরে নিজের কর্মস্থল থেকে আনুতোষিক সম্মানিও পাননি তিনি। চিকিৎসার অভাবে রোগের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে কাটাচ্ছেন জীবন। শেষ বয়সে আনুতোষিক সম্মানির আশা ছেড়ে দিয়ে রোগশোক ও অভাব অনটনে দিন কাটাতে শুরু করেন। হঠাৎ আব্দুল মজিদ পেলেন অবসর কালীন পেনশন, এককালীন ছয় লাখ টাকা। শুধু আব্দুল মজিদ নয়, পটুয়াখালী পৌরসভা থেকে অবসরপ্রাপ্ত এমন ১৭ জন কর্মচারী পেনশনবঞ্চিত ছিলেন। এবার কেউ ২২ বছর, কেউ ২০ বছর, কেউ ১০ বছর ও কেউ ৫ বছর পর নিজের প্রাপ্য অধিকার বুঝে পেয়েছেন। পৌরসভার কর্মচারীদের মাঝে এককলাীন পেনশনের এক কোটি একুশ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে বিরল ঘটনা।সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পৌরসভার হলরুমে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক হস্তান্তর করেন মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ। এসময় পটুয়াখালী পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পটুয়াখালী জেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, পৌরসভায় সারাজীবন চাকরি করে শেষ জীবনে নিজের অধিকার পেনশনের টাকা না পাওয়ার যে ট্রেডিশন, সেটি ভাঙার চেষ্টা করেছি। আজ যখন এসব মানুষের হাতে এককালীন তাদের প্রাপ্য টাকার চেক তুলে দিতে পেরেছি তখন নিজের কাছেই একটা ভালো লাগা কাজ করেছে।###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি>>মাথার ওপর পলিথিনের ছাউনি, তিন মেয়েকে নিয়ে সংগ্রামী জীবন। আবেজান বেগমের বয়স ৪০ বছর। নেই এক টুকরো জমি, নেই আবাসস্থলও। স্বামী পরিত্যাক্তা এই নারীর ঠাই হয়েছে তার মায়ের ঘরের বারান্দায়। মানসিক প্রতিবন্ধী এক কন্যাসহ ৩ মেয়েকে নিয়ে ওই বারান্দায় পলিথিনের ছাপড়া দিয়ে ও মেঝেতে চট বিছিয়ে চলছে তার বসবাস। পরিবারে উপার্জক্ষম ব্যক্তি না থাকায় কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে জীবন চালাচ্ছেন তিনি। মুজিববর্ষের উপহারের একটি বাড়ির আশায় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারেও ঘুরছেন এই মা। এরই মধ্যে তার এক মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়েছেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের মেয়ে আবেজান। প্রায় ২৫ বছর আগে কিশোরী বয়সেই বিয়ে হয় আবেজানের। বিয়ের পরই তার ঘর আলো করে জন্ম নেয় তিনটি মেয়ে সন্তান। কিন্তু সুখ জোটেনি কপালে। আবেজান ও তার মেয়েদের ফেলে চলে যান প্রথম স্বামী। দ্বিতীয় বিয়ে হয় প্রায় ৫ বছর আগে। সে ঘরেও জন্ম নেয় কন্যা সন্তান। কিন্তু সেই স্বামীও চলে যান। ফলে চার মেয়েকে নিয়ে শুরু হয় সংগ্রামী জীবন। পরে স্থানীয় লোকজন চাঁদা তুলে কোনোভাবে বিয়ে দিয়েছেন আবেজানের বড় মেয়েকে। ৩ কন্যা নিয়ে এরপরই পৈত্রিক ভিটার পাশে পলিথিন দিয়ে ঘর তৈরী করে বসবাস করতে শুরু করেন আবেজান। গত বছর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে সেই আশ্রয়স্থলও হারিয়েছেন তিনি। পরে মেয়েদের নিয়ে বাবা-মায়ের নাজুক ঘরের বারান্দায় গিয়ে ওঠেন। সেখানে মাথার উপর পলিথিনের ছাপড়া দিয়ে বসবাস শুরু করেন। খাট না থাকায় মেঝেতে বিছনা হিসেবে ব্যবহার করতে হয় চটের ছালা। মানুষের বাড়ি কাজ করে যে আয় হয় তা দিয়ে দুই বেলা খেয়ে না খেয়ে চলে আবেজানের সংসার।কিন্তু প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে আবেজান পরেছেন বেকায়দায়। পরিবারের অজান্তেই ওই মেয়ে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন দিকে চলে যায়। পরে খুঁজে বের করতে হয় তাকে। বর্তমানে এই মেয়ের খেয়াল রাখতে গিয়ে রোজগারও বন্ধের পথে। এদিকে আবেজানের অপর এক কন্যাও ইতোমধ্যে বিয়ের উপযুক্ত হয়েছেন। টাকার অভাবে মেয়েকে বিয়ে দিতে না পারার দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তার। তাই আবেজান সরকারের কাছে মুজিববর্ষের বাড়ি এবং সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগীতার দাবি জানিয়েছেন। রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এই পরিবারটিই সবচেয়ে বেশি অসহায়। দুই বেলা খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের সংসার। আমরা যখন যা পারি সাহায্য করি। কিন্তু সামান্য সহযোগিতায় তাদের কিছুই হয় না। বর্তমানে মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ের চিকিৎসা প্রয়োজন। এছাড়া আবেজানের কোনো ঘরও নেই। এক মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হয়েছেন।’ একই এলাকার অপর বাসিন্দা হাসান পারভেজ বলেন, ‘এত অসহায় পরিবার আমি জীবনেও আর দেখিনি। নিদারুন কষ্টে তাদের জীবন চলছে। আমরা স্থানীয়রা চাঁদা তুলে আবেজানের এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আবেজান বর্তমানে বারান্দায় পলিথিনের ছাপড়া দিয়ে বসবাস করছেন। বর্ষা মৌসুমে ওই ছাপড়ায় মানুষের থাকা সম্ভব না। আবেজানের সরকারি সহয়তা প্রয়োজন।’ আবেজান বেগম বলেন, ‘আগে মানুষের বাড়িতে কাজ করতাম। যা আয় হতো তা দিয়েই কোনো রকম সংসার চলতো। কিন্তু প্রতিবন্ধী মেয়ের জন্য এখন ঠিকমতো কাজও করতে পারি না। প্রতিবেশিদের কাছ থেকে চাল ধার করে গত এক সপ্তাহ চলেছি। এখন আর কেউ ধারও দিতে চায় না। গত দুই দিনে সন্তানদের নিয়ে মাত্র একবেলা খেয়েছি। এখন আর জীবন চলছে না। মেয়েদের নিয়েও রয়েছি দুশ্চিন্তায়। আমরা একটু সাহায্য পেলে চলতে পারতাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বাড়ির বারান্দায় বসবাস করছি। বর্ষা মৌসুমে এখানে কোনভাবেই থাকা সম্ভব না। তাই সরকার যদি আমাকে একটি ঘর দিতো তাহলে হয়তো সন্তানদের নিয়ে কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারতাম।’ কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘আবেজান আবেদন করলে তাকে একটি মুজিববর্ষের বাড়ি উপহার দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’###
কাওছার হামিদ,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধি>>বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নতুন প্রক্টর হিসেবে দ্বায়িত্ব পেয়েছেন নীলফামারীর কৃতি সন্তান পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম।
রবিবার (২৬ ফেব্রæয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনের দ্বায়িত্ব শেষ হওয়ায় আগামী দুই বছরের জন্যে প্রক্টর হিসেবে অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলামকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২৭ ফেব্রæয়ারি থেকে প্রক্টরের কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। শিক্ষকতা পেশার শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের এবং পরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের হাউজ টিউটরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ড. আজহারুল ইসলাম ১৯৯০ সালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে এসএসসি পাশ করেন, ১৯৯২ সালে ক্যান্টপাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ,রংপুর থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে তিনি ২০০০ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে ভর্তি হন। তিনি ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, ২০১৬ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০২০ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি জাপানের টোকিও কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
ড. আজহারুল ইসলাম নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে উত্তরপাড়া গ্রামের মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সভাপতি জয়নাল আবেদিন মজনু মিয়ার বড় ছেলে এবং মাগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠুর বড়ভাই ও মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুছ এর ভাগিনা। নীলফামারীর কৃতি সন্তান ড. আজহারুল ইসলাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নতুন প্রক্টর হিসেবে দ্বায়িত গ্রহন করায় তাকে অভিন্দন জানিয়েছেন নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয়পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেল, মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম, বিশ্বসেরা কবি ও পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. জাহাঙ্গীর আলম (রুস্তুম), শিক্ষক আজাদুল করিম আজাদ, সরকারি শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক ড.পরিতোষ চন্দ্র রায়,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ,কিশোরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড.মোকছেদুল হাসান মন্ডল, জাতীয়পার্টির নেতা কামরুজ্জামান দিলিপ, উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি,কিশোরগঞ্জ,নীলফামারীর সভাপতি ও লেখক, কবি, সাহিত্যিক আব্দুল মান্নান,সিনিয়র সহঃসভাপতি গাড়াগ্রাম সপ্রাবি প্রধান শিক্ষক সাজ্জদুল করিম সুরুজ,কাওছার হামিদ প্রমূখ।###
জয়পুরহাট প্রতিনিধি ৪/ ফেরুয়ারী জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজ মাঠে দুই দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ক্যাম্প-২০২৩ আজ শনিবার সমাপনী দিন। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, আক্কেলপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম আকন্দ, ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বন্যা, কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাত আরা তিথি, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে হুইপ স্বপন বলেন, আজকের এ সমাবেশ কোন দলীয় সমাবেশ নয়, এ সমাবেশ শিক্ষকদের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করার এ সমাবেশ। বঙ্গবন্ধু শিক্ষার জন্য যা করেছেন তা আর কেউ করতে পারে নাই। করোনায় গোটা পৃথিবী থমকে গেছে। আবার ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে গোটা পৃথিবী থমকে গেছে। আজ গোটা পৃথিবী টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ১০ বছর আগে যেটা ছিল সেটা এখন নেই, এখন অবকাঠামো অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে, সম্পদ সীমিত হওয়ায় আমি তিন উপজেলা এবং উপজেলার জনপদকে ব্যালেন্স করে কাজ করি। আপনারা আমাকে ভোট দান করেছেন। আপনারা আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন রাষ্ট আমাকে বেতন দেয়৷ আপনাদের যে কোন সমস্যার কথা শুনতে আমি বাধ্য৷ আমি আপনাদের সমস্যাগুলো নেত্রীর কাছে উপস্থাপন করবো।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন ক্ষেতলালের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমান চঞ্চল। তিনি বলেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফিস কাম কম্পিউটার শিক্ষক থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস কাম কম্পিউটার শিক্ষক নেই। এজন্য অনেক সময় দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনে তাদেরকে বাহিরে যেতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন ক্ষেতলাল আটিদাশড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক রতন। তিনি বলেন, বিষয় ভিত্তিক দক্ষ শিক্ষকের অভাব, মাধ্যমিক পর্যায়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকা, বেতন ভাতার বৈষম্যের কারণে মানসিক চাপ তৈরি হয়। এতে ভালোভাবে শিক্ষার ওপরে মনোনিবেশ দিতে পারে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে। মাদ্রাসা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন কালাই থুপসাড়া সেলিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক নাজমুল হক। তিনি বলেন, ঘন ঘন ক্যারিকুলাম পরিবর্তন, বিষয় ভিত্তিক দক্ষ শিক্ষকের অভাব, এবতেদায়ী পর্যায়ে উপবৃত্তি না দেওয়া, তদারকির অভাব, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার ওপরে গুরুত্ব দেওয়া। এগুলো নিরসন করা হলে শিক্ষার মান উন্নয়ন ঘটবে। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন ক্ষেতলাল ইটাখোলা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ জি এম কিবরিয়া। তিনি বলেন, দুর্বল ভৌত অবকাঠামো, ব্যবহারিক যন্ত্রপাতির অভাব, সীমিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, কারিগরি (বিএম) শাখায় উপবৃত্তি না থাকা, কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা এগুলো নিরসন করা হলে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়ন ঘটবে। কলেজ পর্যায়ের পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক ও জীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কে এম ফেরদৌস হোসেন। তিনি বলেন, সিলেবাস ও ক্যারিকুলাম ঘন ঘন পরিবর্তন, বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার বৈষম্য, পদোন্নতির সুযোগ কম, গভর্নিং বডির দ্বন্দ্ব, ব্যবহারিক ক্লাসের গুরুত্ব, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা এগুলো নিরসন করা হলে শিক্ষার মান উন্নয়ন ঘটবে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ক্যাম্পের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হুইপের একান্ত সচিব তোফাজ্জল হোসেন বলেন, হুইপ অনেক আগেই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ক্যাম্প অনুষ্ঠান করার কথা ভেবেছিলেন। করোনার কারণে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে দেরি হয়েছে। শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা তারা এতো সুন্দরভাবে আয়োজনটি সফল করার জন্য।###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ মুজিব ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি অফিসে হামলা। পটুয়াখালীর বাউফলে মুজিব চত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের একটি অংশ ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাউফল উপজেলা বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্র ও গ্লাস ভাংচুর করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পৌর শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন বিএনপি কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। য়স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শনিবার দিবাগত রাতে হাতুড়ি বা ইট দিয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের একটি অংশ ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বিকেলে ম্যুরালটির অংশ ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়ে এক পথচারী পৌর মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জানান। পরে সন্ধ্যায় বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেলার চেয়ে জঘন্য কাজ আর কী হতে পারে? এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি। বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলেও বলেন তিনি। বিএনপির কার্যালয়ে হামলার বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার বলেন, যুবলীগের ব্যানারে শান্তি র্যালি থেকে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এটা অপরাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়। ফলকটি যে বা যারা ভেঙেছে, তাঁদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-মামুন জানান, বঙ্গবন্ধুর ফলক ভাঙার বিষয়ে তদন্ত চলছে। হামলার ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।###
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি, নির্দলীয় ও নিরেপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন,গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের- ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে জয়পুরহাট জেলা বিএনপি। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের স্টেশন থেকে পদযাত্রা বের হয়ে শহরের রেলগেটে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয় ও সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক গোলজার হোসেন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন,জেলা বিএনপি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধান, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক সেলিম রেজা ঢিউক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিন খন্দকার ডালিম সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বলেন, এই পদযাত্রা থেকেই আমরা স্বৈরাচারি সরকারের পতন ঘটাবো। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলছে। বিএনপির এই আন্দোলন গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিত্য পণ্যের মূল্য কমানোর আন্দোলন।বক্তারা আরো বলেন ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে পদযাত্রা ও নানা, কর্মসূচি দেওয়ার আহবান জানান।
ঝালকাঠি প্রতিনিধি>>ঝালকাঠিতে বিএনপি ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ-পুলিশের সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় শহরের আমতলা সড়কের দলীয় কার্যালয় অবস্থানকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পরপরেই পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগে থানা পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়ে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আনসিুর রহমান খানসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ১৬ নেতা-র্কমীকে পুলিশ আটক করেছে। এর আগে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামাল, পৌর বিএনপি’র সভাপতি অ্যাড. নাসিমুল হাসান, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক এজাজ আহমেদ। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন,“বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষ ভালো নেই। আর্থনীতিবীদরা বলেছেন আগামীতে দেশে ভয়াভয় অর্থনৈকিত সংকট দেখা দেবে। দেশের এমন পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী। এ থেকে উত্তরণ পাওয়ার জন্য বিএনপির বিকল্প নেই। দেশের মানুষ তত্তবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন চায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন না দিলে কঠোর আন্দোলন করে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। হামলার ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচী দলীয় পদযাত্রা শেষে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপরে ইট-পাটকলে নিক্ষেপ করে। এতে ঝালকাঠি সদর থানর ওসি অপারেশন ফিরোজ কামালসহ ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলশি সদস্যরা হলেন, ওসি অপারেশন ফিরোজ কামাল, এসআই মো. শফকিুর রহমান, এসআই নজরুল ইসলাম, এএসআই শিপন ও কনস্টেবল মতিয়ার রহমান। তারা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে বিএনপির নেতারা দাবী করেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্নভাবে পদযাত্রা কর্মসূচী পালন করে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছিল। এসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একদল স্বন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে বিএনপি অফিসে হামলা চালায়। এতে জেলা বিএনপির সদস্য সচবি এ্যাডভোকটে শাহাদাৎ হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা জামাল হোসেন, নলছিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিচুর রহমান হেলালসহ সহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকটে শাহাদাৎ হোসনে বলনে,‘ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একদল স্বন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের উপরে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ৮জন আহত হয়। অথচ থানা পুলিশ উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের পুলিশের উপর হামলার কাল্পনিক অভিযোগে গণগ্রেপ্তার শুরু করে এখোন পর্যন্ত ১৬জনকে আটক করেছে। বর্তমানে আমাদের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে চিকিৎসাও নিতে পারছেনা । তিনি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।###
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিএনপি- জামাত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১ টায় লঞ্চঘাট চত্বরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর এর সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ আফজাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোঃ সুলতান আহমেদ মৃধা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান খান, উপ দপ্তর সম্পাদক জিএম জাফর কিরন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ হুমায়ুন চৌধুরী, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ তারিকুজ্জামান মনির, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার সোহরাব হোসেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোঃ সোহেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সজিব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, বিএনপি- জামাত দেশে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার যড়যন্ত্র করছে। বিএনপি- জামাত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দল, এ অপশক্তি ৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, ২১ আগস্ট প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলাকরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করে, এ অপশক্তি জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি আওয়ামীলীগের শত শত নেতা- কর্মীকে হত্যা করেছে। এ সব খুনীরা জোটবেধে আবার মাঠে নেমেছে। এই সব অপশক্তিদের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, যড়যন্ত্র আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে সার্বক্ষনিক মাঠে থাকার আহবান জনান নেতৃবৃন্দ।###
অভিনেতা ও নির্দেশক আবদুল আজিজ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত শনিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কাকরাইলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) নেওয়া হয় অভিনেতাকে। বর্তমানে সেখানেই সিসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি। এবিষয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বলেন, আজিজ ভাই শিল্পকলার মাঠে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানেই হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসকেরা জানান, তার হার্টে গুরুতর অ্যাটাক হয়েছে। একই সঙ্গে ফুসফুসে পানি জমেছে। এখন জরুরিভাবে এনজিওগ্রাম করতে হবে। বেতার নাটক দিয়ে আবদুল আজিজের মিডিয়ায় পথচলা শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে তিনি বেতারনাটকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেন। দীর্ঘ ৬ দশকের ক্যারিয়ারে তিনি শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বেতার নাটকের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে। নাটক সিনেমায় তাকে নিয়মিত দেখা না গেলেও নিয়মিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে দেখা যায়।
ভারতের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী বাণী জয়রাম মারা গেছেন। শনিবার চেন্নাইতে নিজের বাড়িতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি ১৯টি ভাষায় প্রায় ১০ হাজার গান গেয়েছেন। এবার বাণী জয়রাম পদ্ম বিভূষণ সম্মান পেয়েছেন। তার অত্যন্ত জনপ্রিয় হিন্দি গান হলো বোলে রে পাপিহরা। বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। তার স্বামী আগেই মারা গেছেন। বাণীর কোনো সন্তান ছিল না। গৃহপরিচারিকা জানান, প্রতিদিনের মতো এদিনও তিনি কাজ করতে বাড়ি আসেন। কিন্তু বারবার বেল বাজালেও দরজা খোলা হয়নি। পরে তিনি শিল্পীর আত্মীয়স্বজনকে খবর দেন। তারা পুলিশকে জানান। আত্মীয়দের উপস্থিতিতে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে, তিনি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মালারকোডি প্রায় ১০ বছর ধরে বাণী জয়রামের বাড়িতে কাজ করছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে তার। আচমকা পড়ে গিয়ে কপালে চোট পেতে পারেন।
নবম ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের (ডিআইএমএফএফ) সমাপনী আসরের পর্দা নামল। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারে স্টার সিনেপ্লেক্সে এর আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী বক্তৃতায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য প্রফেসর ইমরান রহমান বলেন, ডিআইএমএফএফ খুব ভালো কাজ করছে এবং এরকম সুন্দর একটি উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে গর্বিত করছে। পরে পুরো হল ভর্তি উৎসুক জনতা নিয়ে দ্বিতীয় দিনের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অভিনেতা ও এশিয়াটিক ইএক্সপির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ যাকের। তিনি বলেন, মোবাইল ফোন হোক কিংবা ক্যামেরা, গল্প বলার জন্য ডিভাইসের ওপর ডিপেন্ড না করার এই প্রচেষ্টা অনেক ভালো লেগেছে। এরপর প্রফেসর ইমরান রহমান ও প্রফেসর জুড উইলিয়াম হেনিলো ক্রেস্ট তুলে দেন উৎসবের স্পন্সর এবং প্রধান অতিথিকে। সাথে প্রধান অতিথি ইরেশ যাকের ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর সাম্বিতুল ইসলামকে ক্রেস্ট তুলে দেন। ডিআইএমএফএফ বেস্ট ফিল্ম আওয়ার্ড পায় রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে আসা গ্লেব লেসচেঙ্কোর ‘দ্য ম্যান অন দ্য চেয়ার’, সিনেমাস্কোপ ফিল্ম আওয়ার্ড পান পাকিস্তান থেকে আসা ইরফান নুর কে-এর ‘দ্য ল্যান্ড অব মাই ফোরফাদার্স’, ইউল্যাব ইয়াং ফিল্মমেকার আওয়ার্ড পান বাংলাদেশের শাহিনুর আক্তারের চলচ্চিত্র ‘শিক্ষা এটিএম’, এমএসজে বেস্ট মোজো স্টোরি অ্যাওয়ার্ড পায় বাংলাদেশের ‘স্টোরি অ্যান্ড আননোন’ এবং ডিআইএমএফএফ বেস্ট ভার্টিকাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পায় বাংলাদেশের আসিফ উল ইসলামের ‘ফেস টু ফেস’। বিশ্বের ২৫টি দেশ থেকে মোট ১৬৩টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল উৎসবে। এতে বাংলাদেশ তিনটি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের আসর শেষে ধন্যবাদ জানান ডিআইএমএফএফর ফেস্টিভাল উপদেষ্টা সৈয়দা সাদিয়া মেহজাবিন। এ বছর ডিআইএমএফএফর ডকুমেন্টারি পার্টনার হিসেবে ছিল ফিল্মিজম। ওয়্যারড্রোব পার্টনার ব্ল্যাকিস্টিক এবং ফুড পার্টনার চাউ-ম্যান, ফেস্টিভ্যাল পার্টনার মিনা। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ঢাকা পোস্ট, অ্যাওয়ার্ড পার্টনার হিসেবে এসএকেপিডিএল, পাবলিক রিলেশন পার্টনার ব্র্যান্ডস্মিথ আইএমসিএল এবং উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই স্টার সিনেপ্লেক্স ছিল। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব।
গত ১৯ জানুয়ারি বিয়ে করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুশা চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের পরেই ১৩ বছরের অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নিচ্ছেন অভিনেত্রী। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই বিদেশে উড়ে যাবেন তিনি। সেখানেই ঘর বাঁধবেন। সুতরাং অভিনেত্রীর নতুন ইনিংসের সূচনায় একদিকে যেমন খুশি ভক্তরা, তেমনি মন খারাপও তাদের। কারণ বিয়ের আগেই রুশা জানিয়েছিলেন, অভিনয় ক্যারিয়ারে আপাতত ইতি টানছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনই তাঁর প্রায়রিটি লিস্টে এক নম্বরে। তবে রুশার বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসামাত্রই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় খিল্লি, কেননা অভিনেত্রীর উচ্চতার তুলনায় খানিকটা খাটো তাঁর স্বামী। অভিনেত্রীর ভাই বলে সম্বোধন করেছেন অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী বরের গলায় মালা পরিয়েছেন রুশা। যদিও অনুরণ কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন কিন্তু তাঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরে। রিসেপশনের পরের দিনই ছিল রুশার জন্মদিন, তাই বউভাতের রাতেই বাড়ির অতিথিদের সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছেন নায়িকা। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যে আবারও সেলিব্রেশন মুডে নবদম্পতি। উপলক্ষ বিয়ের পর প্রথম ভাইয়ের জন্মদিন। তাই বরকে আর পুরো পরিবারকে পাশে নিয়েই জন্মদিন উদযাপন করলেন রুশা। বিয়ের পর বিতর্কে জড়ালেও কোনো কিছুতেই প্রতিক্রিয়া জানাননি অভিনেত্রী। বরং স্বামীর সঙ্গে মাঝরাতেই কেক কেটে নিজের জন্মদিন উদযাপন করলেন নায়িকা।
শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত বিতর্কিত সিনেমা ‘পাঠান’। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এ সিনেমা। ২০ জানুয়ারি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও তা শুরু হয় ১৮ জানুয়ারি থেকে। আর প্রথম দিনেই সিনেমাটির অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে। বক্স অফিস বিশ্লেষক অতুল মোহন এক টুইটে জানিয়েছেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে মোট ৯০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে পিভিআর: ৩৫ হাজার, আইএনওএক্স: ৩০ হাজার ও সিনেপোলিস: ২৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। টিকিট বিক্রির পরিসংখ্যান ১৮ জানুয়ারি রাত ৯টা পর্যন্ত। হিন্দুস্তান টাইমসকে অতুল মোহন বলেন, ‘পরিসংখ্যান বলছে যদি অগ্রিম বুকিংয়ের প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রি হয়, তাহলে মুক্তির আগের দিন এই বিক্রির পরিমাণ শীর্ষে ওঠে যাবে। তাই নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এটা সিনেমার জন্য ভালো লক্ষণ। সিনেপোলিস, পিভিআর এবং আইএনওএক্স-এর মতো হলগুলো ‘পাঠান’ সিনেমা পাঁচটির মধ্যে চারটি স্ক্রিনে দিয়েছে। আরেক বক্স অফিস বিশ্লেষক তরন আদর্শ এক টুইটে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাঠান সিনেমার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার। যার মধ্যে পিভিআর: ৫১ হাজার, আইএনওএক্স: ৩৮ হাজার ৫০০ ও সিনেপোলিস: ২৭ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেছের সুনামি লোডিং। শুক্রবার থেকে টিকিট বিক্রি পুরোদমে শুরু হবে। বক্স অফিস বিশ্লেষক অক্ষয় রাঠি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন— ‘‘প্রথম দিনে ‘পাঠান’ সিনেমা আয় করবে ৩৫ কোটি রুপি। বুধবার (২৫ জানুয়ারি, মুক্তির দিন) কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও এটি বড় প্রাপ্তি। আমার বিশ্বাস, ২৬ জানুয়ারি সিনেমাটি ৪৫ কোটি রুপি আয় করবে।’###
মোহাঃ ইমরান আলী, শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি>>চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজন আলী(২৫) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহষ্পতিবার রাতে শিবগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাজন আলী শিবগঞ্জ পৌর এলাকার শেখটোলার বাসিন্দা ও শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সুপার কমিটির সহ সভাপতি। শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আলী রাজ, রাজনের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, ব্যক্তির দায় সংগঠন কোন ভাবেই নেবেনা। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজনের বিরুদ্ধে মোবাইলসহ বিভিন্ন ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল। ৯ মার্চ রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ১০ মার্চ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।###
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় বয়স্ক ভাতার নাম দেওয়ার কথা বলে সত্তরোর্ধ্ব ফুফুকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে সুকৌশলে প্রতারণা করে ১৪.২৯ শতাংশ জমি লিখে নেন তিন ভাইর ছেলে। জমি লিখে নেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ওই বৃদ্ধাকে দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা। প্রতারণার মাধ্যমে জমি দলিল করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বৃদ্ধা ও তারা ছেলে মেয়েরা জমি ফেরতের অনুরোধ করলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে। নিরুপায় হয়ে ওই বৃদ্ধা ০৯,০৩,২৩ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী ওই ৃদ্ধার নাম রশনা বেগম। স্বামীর নাম মৃত মোসলেম ফকির। রশনা বেগম বলেন,‘ আমার মামাতো ভাই ফজলে আলী হাওলাদারের ছেলে শহিদ, মোসলেম ও আরেক মামাতো ভাই সিদ্দিক হাওলাদারের ছেলে মোঃ মামুন হোসেন আমাকে বয়স্ক ভাতার নাম দেওয়ার কথা বলে বাউফল এক অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে একটা কাগজে টিপ সই দিতে বলে। আমি না বুঝে টিপসই দেই। পরে তারা আমাকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে এ কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে।বৃদ্ধার ছেলে মোঃ হুমায়ন কবির (৪৫) বলেন,‘ আমার মা অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ। তাকে বয়স্ক ভাতার নাম দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে বাউফল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে শহিদুল ইসলাম, মোসলেম ও মামুন প্রত্যেকে ৪.৭৬ শতাংশ করে মোট ১৪.২৯ শতাংশ জমি দলিল করে লিখে নিয়ে যায়। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৪লাখ টাকা। এবিষয় আমাদের না বলতে তাকে (বৃদ্ধা রশনা বেগম) ভয়ভীতি দেখানো হয়। প্রায় আড়াই মাস ধরে বিষয়টি গোপন থাকে। কয়েক দিন লোকমুখে বিষয়টি জানতে পারি। এবিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন স্থানীয়ভাবে বসে এটার একটা সমাধান করা হবে। গত রোববার স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তারা ১লাখ ৪০ হাজার টাকা দিবেন বলে স্বীকার করেন। কিন্তু দুইদিন পার হলেও তারা টাকা দেয়নি। টাকা চাইলে তারা বলেন, কোনো টাকা দেওয়া হবে না। জমি তারা কিনে নিয়েছেন। বয়স্কভাতার নাম দেওয়ার কথা বলে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ মোসলেম ও মামুন হোসেন বলেন, ‘এসব অভিযোগ মিথ্যা। রশনা বেগম স্ব- ইচ্ছায় আমাদের জমি লিখে দিয়েছেন।’ এবিষয়ে কেশবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকু বলেন, ‘উভয় পক্ষ নিয়ে বসে মিংমাসা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এবিষয়ে বাউফল সাব-রেজিস্ট্রার হাফিজা হাকিম রুমা বলেন,‘ দলিল রেজিস্ট্রি করার আগে আমি জমি দাতা নারীর দাতার কাছে একাধিক বার জানতে চাই তিনি স্ব ইচ্ছায় জমি দিচ্ছেন কিনা। সব জেনে শুনেই জমি রেজিস্ট্রি হয়। এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। তারপরেও যদি প্রতারণার ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দলিল বাতিলের জন্য ভুক্তোভোগী আদালতে মামলা করতে পারেন।’ বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’###
শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি>>র্যাবের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ফেন্সিডিল সহ দুই যুবককে আটক করেছে র্যাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। বুধবার গভীর রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ইউনিয়নের জহুরপুর গ্রামস্থ এলাকা থেকে ১২২ বোতল ফেন্সিডিল সহ তাকে আটক করা হয়। আটককৃত যুবকদ্বয় রাজশাহীর দামকুড়া উপজেলার পুরাতন কসবা গ্রামের মো. ডমলন হোসেনের ছেলে মো. আলামিন ওরেফে অপু(২৫) ও এই জেলার চন্দ্রিমা উপজেলার বনগ্রামের মো. বাদশা শেখের ছেলে মো. মেহেদী হাসান বাপ্পি(২৯)।ঊৃহষ্পতিবার সকালে র্যাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফেন্সিডিল সহ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি>>জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে নিজের স্ত্রীকে জবাই করে ঠাণ্ডা মাথায় শবে বরাতের নামাজ আদায় করেছেন পাষণ্ড স্বামী। নামাজ শেষে বাসায় ফিরে স্ত্রীর জবাই করা মরদেহ নিয়ে চিৎকারও করেন তিনি। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামের ওই ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূ পান্না বেগম জেলার আক্কেলপুর উপজেলার গুডুম্বা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। হত্যার ঘটনায় নিহতের স্বামী, ভাসুর, জাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৭ মার্চ মঙ্গলবার রাতে স্বামী সিরাজুল ইসলাম শবে বরাতের নামাজ আদায়ের জন্য গ্রামের মসজিদে যান। রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে নিজ ঘরে স্ত্রীর জবাই করা লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ঘরের মেঝেতে গলাকাটা লাশ ও ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর স্বামীর নাটক আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বেরিয়ে আসে স্ত্রীকে হত্যার রহস্য। উদ্ধার করা হয় স্বামীর ব্যবহৃত রক্তমাখা জামাকাপড় ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি। আক্কেলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের মেঝেতে গৃহবধূর শরীরের কাপড় ও ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো অবস্থায় গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি। তার জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হয়। পরে তাকে অধিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে। সেখান থেকে স্বামী সিরাজুল ইসলাম ও তার ভাই, ভাবি ও প্রতিবেশী একজনকে আটক করা হয়েছে।###
হাজী সাইফুল ইসলাম গাজীপুর থেকে>>গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর সদর মেট্রো থানাধীন মারিয়ালী কলাবাগান এলাকায় ৪ মার্চ শনিবার স্থানীয় প্রভাবশালী জসিম ও নাসির এর নেত্রীত্বে সিঙ্গাপুর প্রবাসী জহিরুল ইসলাম দুলালের বসত বাড়ির বাউন্ডারির ওয়াল ভেঙে বাড়ির প্রবেশ পথে জোর পুর্বক বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করেন পল্লিবিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সহিদুল ইসলাম সহিদ। এব্যাপারে জহিরুল ইসলাম দুলালের বড় ভাই সাংবাদিক হাজী সাইফুল ইসলাম গাজীপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতে ১ এর ডিজিএম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জয়দেবপুরের মারিয়ালী কলাবাগান এলাকার স্থানীয় জসিম উদদীন ও নাছিরগং, সিঙ্গাপুর প্রবাসী জহিরুল ইসলাম দুলালের বসত বাড়ির বাউন্ডারির ওয়াল ভেঙে বাড়ির প্রবেশ পথে জোর পুর্বক বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করা হয়। দুলালের পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে আসলে স্থানীয় জসিম উদদীন জসিম তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। এতে করে যেকোন মুর্তহে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে দুলালের পরিবার সংঙ্খা বোধ করতেছে। এ বিষয়ে সদর মেট্রো থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। , এব্যাপারে গাজীপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি-১, ছায়াবীথি জোনাল অফিসের এজিএম, এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অত্র খুঁটি স্থাপন ও সংযোগ না দেওয়ার জন্য ঠিকাদার শহিদ কে বলা হয়েছে। এব্যাপারে গাজীপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ছায়াবীথি জোনাল ১, ডিজিএম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি,এই বিষয়ে আমাদের এজিএম,প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।###
গোলাপ হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ২৮/ফেব্রুয়ারি, ২৩ জয়পুরহাট ক্ষেতলালে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রতারনা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। উপজেলার ধনতলা গ্রামের ফজলু মন্ডল বাদী হয়ে জয়পুরহাট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলো উপজেলার ধনতলা গ্রামের আদম ব্যাপারী নজরুলের ছেলে নাহিদুজ্জামন (২৪), নজরুলের স্ত্রী ঝড়না (৪০) শ্যলোক কালাই উপজেলার দুরুঞ্জ গ্রামের গোলজারের ছেলে ফেরদৌস (৩৫) ও মৃত্য নবীর উদ্দীনের ছেলে নজরুল (৪৪) । মামলা সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগন পরস্পর নিকট আত্ময়ী। নজরুল সৌদি আরবে আলী ইমার থাপরা আল বাতিন ছানায়া ডোর নামের একটি কোম্পানীতে চাকরি করেন । এ সুবাদে নজরুলের স্ত্রী ও পুত্র স্থানীয় ধনতলা গ্রামের ফজলু মন্ডলের ছেলে কাজল মন্ডলকে ভাল বেতনে সৌদি আরবে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখান। সংসারে একটু সুখের আশায় তাদের প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে কাজল আত্মীয়সহ বিভিন্নজনের নিকট থেকে ধার দেনা করে ৫লক্ষ টাকা দেন। কিন্তুু সৌদি আরবে গিয়ে কাজল মন্ডল জানতে পারেন তাকে টুরিষ্ট ভিসায় পাঠানো হয়েছে। তাকে কোন আকামা ( শ্রমিকের অনুমতিপত্র) ভিসায় পাঠানো হয়নি। বর্তমানে সেখানে আকামা( শ্রমিকের অনুমতি পত্র) না থাকা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। এদিকে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব কাজলের পিতা ফজলুর মন্ডল নজরুলের পরিবারের নিকট টাকা ও কাজলকে ফেরত চাইতে গেলে না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিতে থাকেন। এতে নিরুপায় হয়ে গত ৫/৯/২০২২ ইং জয়পুরহাট বিজ্ঞ মানব পাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আদালতে মামলা করেন তিনি। ওই মামলায় নজরুলের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। বাঁকী আসামীরা পলাতক রয়েছে । পলাতক আসামীরা বিভিন্ন সময়ে বাদিও তার পরিবাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। একদিকে সন্তানের শোক অন্যদিকে সন্তানকে বিদেশ পাঠানোর ধার দেনার টাকার চিন্তায় অসহায় পরিবারটি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অপরদিকে পাওনাদারদের ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারছেন তারা। এবিষয়ে অভিযুক্ত নাহিদুজ্জামান ফৌরদোউস ও নজরুলের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করাই এ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাজিবুল ইসলাম জানান, মানব পাচার মামলায় একজন কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি ,অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।###
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোঃ আলমগীর হোসেন লেবু
যোগাযোগঃ- বি এস এস ভবন (৩য় তলা), ৪-দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০, ই-মেইল- dailytalash2015@gmail.com, মোবাইল-০১৭৩০৯২৭৯৬৯
Leave a Reply