পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ১৯ মাসেও আলোর মুখ দেখেনি কুয়াকাটা বাস টার্মিনাল ধীর গতিতে এগুচ্ছে বাস টার্মিনালের কাজ। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এখন দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে এ সৈকতের অবস্থান। পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সাগরকন্যা হিসেবে পরিচিত। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে প্রতিদিন হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটছে এখানে। তাদের পরিবহনে বেড়েছে গাড়ির চাপও। এছাড়া পর্যটকদের কেন্দ্র করে দিন দিন বাড়ছে স্থানীয় গাড়ির চাপও। তবে কোনো টার্মিনাল না থাকায় কুয়াকাটার প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যানবাহনের পার্কিং। অস্থায়ী খোলা মাঠের ব্যবস্থা থাকলেও সড়কের যেখানে সেখানে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে গাড়ি। এতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। পৌর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে দেড় বছর আগে ১৩ কোটি ছয় লাখ টাকা ব্যয়ে বাস টার্মিনাল নির্মাণ শুরু হলেও এখনো বাকি প্রায় ৪৫ শতাংশ কাজ। ফলে পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এর জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিকে দায়ী করছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পৌর মেয়র। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, গাফিলতি নয় বাস টার্মিনাল সংক্রান্ত জটিলতায় কাজ শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদারের হাত ধরে কুয়াকাটা-পটুয়াখালী মহাসড়ক সংলগ্ন তুলাতলী এলাকায় ছয় একর জমির ওপর বাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। দুটি প্যাকেজে এ কাজ নির্মাণের দায়িত্ব পায় পটুয়াখালীর মেসার্স গিয়াস উদ্দিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার প্রথম প্যাকেজের বালু ভরাটের কাজ শেষ হলেও দেওয়াল নির্মাণের বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি। আর দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতাধীন ড্রেনের কিছু কাজ ও ভবনের বেজ, কলমের কাজ শেষ হলেও ছাদসহ উপরিভাগের সব কাজ এখনো বাকি। এছাড়া ফুটপাত, পার্কিং ও গ্রিন জোনের সব কাজ বাকি। এ কাজের প্রথম মেয়াদ শেষ হয় ২২ সালের জুন মাসে পরে দ্বিতীয় মেয়াদ বাড়ানো হয় ২৩ সালের জুন পর্যন্ত। তবে মেয়াদ বাড়ানোর আট মাস পার হলেও কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। তবে দুদফায় মেয়াদ বাড়ালেও এখনো কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় ও পর্যটকরা।স্থানীয়রা জানান, প্রথমদিকে বালু ভরাট, বাউন্ডারি দেওয়াল, ড্রেন নির্মাণের কিছু অংশের কাজ দ্রুত গতিতে করা হয়। এরপরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে এ জনগুরুত্বপূর্ণ বাস টার্মিনালের নির্মাণ কাজ। ফলে কুয়াকাটায় আগত অসংখ্য পর্যটকবাহী ও কুয়াকাটা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করা কয়েকশ গাড়ির যত্রতত্র রাস্তার দুপাশে পার্কিং ভোগান্তি নেমে আসে স্থানীয় ও পর্যটকদের ওপর।দুমকি থেকে কুয়াকাটা আসা পর্যটক কে,এম,শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কুয়াকাটায় আমরা বেড়াতে এসেছি। এখানে আর কিছু না হোক একটা বাস টার্মিনাল তো থাকবে। কারণ, প্রতিদিন কয়েকশ যানবাহন প্রবেশ করছে কুয়াকাটায়। সব গাড়ি রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকায় যানজট দেখা দেয়। তাই আমাদের দুই কিলোমিটার দূর থেকে হেঁটে আসতে হয়েছে। এ দুর্ভোগ না কমলে কুয়াকাটায় আর আসবো না।’ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার ডেইলি তালাশকে বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কয়েকগুণ পর্যটক বেড়েছে। ফলে যানজটে নাকাল থাকে কুয়াকাটা। তবে বাস টার্মিনালের কাজ শুরু হলেও ধীরগতি। কুয়াকাটার জন্য এ টার্মিনাল অতি প্রয়োজনীয়। দ্রুত এর সমাধান না হলে পর্যটন খাত মুখ থুবড়ে পড়বে।’এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, কাজ শুরু হওয়ার পরপরই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে ২০২২ সালের মধ্যেই টার্মিনালের কাজ শেষ করতে। কিন্তু হঠাৎ ঠিকাদার কাজ কিছুদিন বন্ধ রাখে। ঠিকাদারকে চাপ দেওয়া হয়েছে, যাতে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে এর উদ্বোধন করা যেতে পারে। মেয়রের দাবি, শুধুমাত্র ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এ কাজে বিলম্ব হচ্ছে। কারণ আমাদের আর্থিক বা প্রশাসনিক কোনো সমস্যা নেই। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গিয়াস উদ্দিনের স্বত্বাধিকারীর মোঃ গিয়াস উদ্দিন ডেইলি তালাশকে বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ডের কাজ গাফিলতির কারণে বিলম্ব হচ্ছে না। জমি অধিগ্রহণের কিছু ঝামেলা ও বালু ইজারাদার নিষেধাজ্ঞাসহ বেশকিছু কারণে আমাদের দেরি হচ্ছে। এখন পুরোদমে কাজ চলছে। জনবলও বাড়ানো হয়েছে। আশা করি চলতি বছরের এপ্রিলে কাজ শেষ করতে পারবো।’ পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মহিব ডেইলি তালাশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের কুয়াকাটা আজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাস টার্মিনালের কাজ শুরু হলেও একটু ধীরগতি হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসক, পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলেছি কাজ দ্রুত শেষ করতে। তারা আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্চের পর আমরা উদ্বোধনে যেতে পারবো।###
মোঃ ইদ্রিস আলী, পাঁচবিবি(জয়পুরহাট) সংবাদদাতাঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে পাঁচবিবি হাট ইজারা নিয়ে নাগরিক কমিটি ও পৌর মেয়র পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। নাগরিক কমিটি বলেছে, কম মূল্যে হাট দিয়ে পৌরবাসীকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। অপরদিকে পৌর মেয়র বলেছেন, সকল নিয়ম মেনে হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পাঁচবিবি গোহাটা চত্বরে পাঁচবিবি নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক কমিটির আহবায়ক ও পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর গো-মহিষের হাট পাঁচবিবি। এবছর এহাটটি ৫ কোটি টাকায় ইজারা হতো কিন্তু পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব অতিগোপনে ঢোঁল শহরত নোটিশ বোর্ডে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে বা মাইকিং না করে মাত্র আড়াই কোটি টাকায় পাঁচবিবি (বালিঘাটা) হাট ইজারা দিয়েছেন। ফলে পাঁচবিবি পৌরবাসী বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড থেকে বঞ্চিত হবে। পৌরবাসীর স্বার্থে আমরা অবিলম্বে হাট ইজারা বাতিল করে নতুন করে হাট ইজারা টেন্ডার করার দাবী জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এস,কে আব্দুল হক. সদস্য, পৌর কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ রাব্বানী ইস্তি প্রমুখ। অপরদিকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পাঁচবিবি পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, নাগরিক কমিটিতে যারা আছে তারা ছোট ছেলে। এদের একটি অপশক্তি ব্যবহার করছে। আমি ঐ অপশক্তির দ্রæত মুখোশ খুলে দিবো। পাঁচবিবি হাটের টেন্ডার বাতিলের প্রশ্নই আসে না। এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র মোশাঈদ আল আমীন সাদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম সবশেষে ‘জয় বাংলা’ বলে ভাষণটি শেষ করেছেন বঙ্গবন্ধু। যে স্লোগানটি পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের রণধ্বনিতে পরিণত হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণের ব্যবচ্ছেদ করলে এর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিকটি সমান্তরালভাবে চোখে পড়ে। শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু সে ভাষণটি দেননি। বাঙালি সেদিন তাকে কেন্দ্র করে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল। ভাষণে মূলত চারটি দাবি তোলা হয়– মার্শাল ল প্রত্যাহার, সেনাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘দাবি পূরণের পরে আমরা ভেবে দেখবো অ্যাসেম্বলিতে বসব কিনা’। এ ধরনের কথা উচ্চারণ করে একদিকে বঙ্গবন্ধু আলোচনার পথ খোলা রাখলেন এবং ভাষণ পরবর্তী সৃষ্ট স্বায়ত্তশাসন দাবির আন্দোলনের দায়ভার থেকে নিজেকে এবং তার দলকে বাঁচিয়ে নিলেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একমাত্র স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষের জন্য একটি স্বাধীন আবাসভূমি। স্বাধীনতার মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি দিয়েছিলেন এক ক্রান্তিকালে। বঙ্গবন্ধু যদি ঐ সময়ে এমন একটি ভাষণ জাতির সামনে পেশ না করতেন তাহলে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার স্বপ্ন সফল হতো কিনা তা সন্দেহের অবকাশ রাখে। ১ মার্চ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি ও তার দলের নেতা-কর্মীরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন ৭ তারিখের ভাষণের ব্যাপারে। বঙ্গবন্ধু ড. কামাল হোসেনকে ডেকে বলেন, ‘আমি তো লিখিত বক্তব্য দেবো না; আমি আমার মতো করে দেবো। তুমি পয়েন্টগুলো ফরমুলেট কর।’ ড. কামালের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গেও কয়েকবার বৈঠক করেন। ছাত্রনেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হয়। বঙ্গবন্ধু সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। ৭ই মার্চ ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্সের ময়দানে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন যা লক্ষ লক্ষ মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিল। মঞ্চে উঠে চিরাচরিত ভঙ্গিতে সম্বোধনের মাধ্যমে শুরু করেন তার বক্তৃতা। ১৮ মিনিটের ভাষণে তিনি মোট ১১০৮টি শব্দ উচ্চারণ করেন। মিনিটে গড়ে ৪৮ থেকে ৫০টি শব্দ বের হয় তার মুখ দিয়ে। বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষের নেতা। তাই, তার ভাষণেও মাটি ও মানুষের ভাষা লক্ষ করা যায়। প্রমিত বাংলায় প্রদত্ত সে ভাষণে তিনি তুলে ধরেন শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি অলিখিত হলেও ভাষণের মাঝে তালপতন বা পুনরাবৃত্তির কোনো ঘটনা লক্ষ করা যায়নি। শব্দ চয়নের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু ছিলেন যথেষ্ট মার্জিত ও ধৈর্যশীল।৭ই মার্চের ভাষণের শাব্দিক গুরুত্ববহতার আরেকটি দিক হচ্ছে ভাষণটিতে একটি সুনির্দিষ্ট প্রবাহানুসারে কথাগুলো বলা হয়েছে। প্রথমদিকে ইতিহাস, মাঝের দিকে অত্যাচার ও অন্যায়ের কথা এবং হুঁশিয়ারির সঙ্গে সঙ্গে আলোচনার আহ্বান আর শেষের দিকে জনগণের প্রতি দিক-নির্দেশনামূলক কথাবার্তা। ভাষণের শেষের কথাটি ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’– ভাষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডায়লগ যেটি শোনার জন্যেই শ্রোতারা মুখিয়ে ছিলেন।সবশেষে ‘জয় বাংলা’ বলে ভাষণটি শেষ করেছেন বঙ্গবন্ধু। যে স্লোগানটি পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের রণধ্বনিতে পরিণত হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণের ব্যবচ্ছেদ করলে এর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিকটি সমান্তরালভাবে চোখে পড়ে। শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু সে ভাষণটি দেননি। বাঙালি সেদিন তাকে কেন্দ্র করে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল। ভাষণে মূলত চারটি দাবি তোলা হয়– মার্শাল ল প্রত্যাহার, সেনাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘দাবি পূরণের পরে আমরা ভেবে দেখবো অ্যাসেম্বলিতে বসব কিনা’। এ ধরনের কথা উচ্চারণ করে একদিকে বঙ্গবন্ধু আলোচনার পথ খোলা রাখলেন এবং ভাষণ পরবর্তী সৃষ্ট স্বায়ত্তশাসন দাবির আন্দোলনের দায়ভার থেকে নিজেকে এবং তার দলকে বাঁচিয়ে নিলেন।বঙ্গবন্ধু ভিয়েতনাম, তিব্বতসহ অন্যান্য দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন। দেশের প্রধান নেতা হিসেবে সরাসরি বিচ্ছিন্নতার ডাক দিলে সেটি বিরোধীদের কাছে উপযুক্ত কারণ হয়ে দাঁড়াতো আন্দোলন দমন করার এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আইনগতভাবে গ্রেপ্তার করার বা শাস্তি প্রদানের। বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে বঙ্গবন্ধু পরিচিত হতেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে এবং বড় বড় দেশ ও বিশ্বসংঘের কাছ থেকে স্বাধীনতার পক্ষে সহমর্মিতা ও সহযোগিতা পাওয়া মুশকিল হয়ে যেত।৭ই মার্চের ভাষণকে বলা যেতে পারে মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভিক দিকনির্দেশনা। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতা-সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদানে সীমাহীন ত্যাগ, বাঙালির স্বাধীনতা অর্জনে অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে শুধু নয় বরং ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যচিত্রের ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পাওয়ায় এর মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও শাসনতন্ত্র অর্জন করে।বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণ তখনই বিশ্ব দরবারে সমাদৃত হয়। তাকে ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ‘Newsweek’ সাময়িকী ১৯৭১-এর এপ্রিল সংখ্যার কভার স্টোরি করা হয়। ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণে অনন্য স্থান পাওয়ায় শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব গবেষণার উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসেবে বিবেচিত। বাঙালির স্বাধীনতার উষালগ্নে প্রদত্ত এ ভাষণে ৭ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, মানসিক প্রস্তুতির সকল দিক-নির্দেশনামূলক এ কালজয়ী ভাষণ প্রদানের দিন ৭ মার্চ।পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শাসন-শোষণ, অত্যাচার, নিপীড়ন ও বাঙালির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের অনীহা ও কালক্ষেপণ, উপরন্তু বাঙালি হত্যার নীল নকশা বাস্তবায়নের প্রাক্কালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭ই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। আব্রাহাম লিংকন, চার্চিল, গান্ধী বা মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো মহান নেতাদের ভাষণের প্রেক্ষাপটের মতো বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। একমাত্র গান্ধী ছাড়া সবাই স্বাধীন দেশে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন। মানুষের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও সামরিক অভিযানের উপর্যুক্ত মহান নেতাদের কালজয়ী ভাষণ প্রদত্ত হলেও ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির চিরলালিত স্বপ্ন স্বাধীনতার পূর্বক্ষণে বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল ব্যতিক্রম। কারণ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ যেমন ছিল ৭ কোটি বাঙালির বাঁচার প্রশ্ন তেমনি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সরাসরি রোষানলে না পড়ে প্রয়োজনে সংগ্রামের পরিকল্পনা তুলে ধরা।###
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বনভোজনে এসে সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার করলেন ছাত্রীরা। আগে থেকেই পরিচ্ছন্নতার জন্য খ্যাতি রয়েছে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের ঐতিহ্যবাহী আবেদ আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের। গতকাল সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই বিদ্যালয়ের ১৯০ ছাত্রী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে আসেন। সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাদের মন কাড়লেও চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা খাবারের অবশিষ্টাংশ এবং ময়লা আবর্জনা তাদের ব্যথিত করে তোলে। পরে দুপুরে ছাত্রীরা তাদের সঙ্গে আসা শিক্ষকদের কাছে আবেদন করেন এই জানিয়ে যে, তারা সৈকত পরিষ্কার করবেন। শিক্ষকরাও ছাত্রীদের এই কাজে উৎসাহ দেন। সন্ধ্যার আগে জিরো পয়েন্ট থেকে সানসেট পয়েন্ট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সৈকতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ময়লা অবর্জনা শিক্ষকদের সহযোগিতায় পরিষ্কার অভিযান শুরু করেন ছাত্রীরা। আবেদ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসমিনুর জানান, ‘আমরা সকালে (গতকাল) এসেছি। কুয়াকাটার সৌন্দর্য আমাদের ভালোই লেগেছে। বান্ধবীরা মিলে অনেক মজা করেছি। তবে সৈকত ময়লা আবর্জনা ফেলা ছিলো। দুর্গন্ধ ভেসে আসছিলো। যেটা আমাদের কষ্ট দিয়েছে। তাই আমরা বান্ধবীরা মিলে স্যারদের সৈকত পরিষ্কারের কথা বলি। স্যাররাও রাজি হয়ে যান। পরে আমরা সৈকতের আবর্জনা পরিষ্কার করেছি। সৈকতকে আবর্জনা মুক্ত করতে পেরে ভালোই লেগেছে। আমাদের সঙ্গে অন্য পর্যটকরাও কাজ করেছেন।’ একই শ্রেণির শিক্ষার্থী নিসাত আনজুম নুরীন বলেন, ‘মূলত সৈকতে ময়লা আবর্জনা না ফেলতে উৎসাহী করার জন্যই এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা। আশা করছি অন্য পর্যটকরা সৈকতে আর প্লাষ্টিক, পলিথিন এবং ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না।‘আবেদ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, ‘১৯০ জন ছাত্রী নিয়ে আমরা কুয়াকাটায় এসেছি। অবাক করার বিষয় হলো শিক্ষার্থীরা সৈকত পরিচ্ছন্ন করতে নিজেরা উদ্যোগী হবে সেটা ভাবতে পারিনি। অবশ্য পরিচ্ছন্নতায় আমাদের স্কুলের আগে থেকেই ক্ষ্যাতি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা পরিচ্ছন্নতা করার বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে আমরা তাদের উৎসাহ দেই। ওরা প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা পরিচ্ছন্ন করে কুয়াকাটায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেলো।’###
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি>>২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালী রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা দিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ সালে।[১][২] ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। [৩] ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ। – এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করে বাংলাদেশ। গত মে মাসে ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের তথ্যবিষয়ক কমিটিতে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালির আত্ম-অম্বেষায় যে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গের রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি তার চরম প্রকাশ ঘটে।ঐদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালামসহ কয়েকজন ছাত্রযুবা হতাহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলে সমবেত হয়। নানা নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুণরায় রাজপথে নেমে আসে। তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করে। ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৯ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।ুতখন থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় ‘শোক দিবস’ হিসেবে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাধিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এ সময় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানের করুণ সুর বাজতে থাকে।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। এদিন শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রেডিও, টেলিভিশন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যে চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে বাঙালিরা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, আজ তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভ করেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’-রূপে মর্যাদা পেল১) ১৯৯৮ সালের ৯ই জানুয়ারী রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্যানাডা নিবাসী বাঙালি জাতিসংঘের তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারী কফি আনানকে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে রফিক ১৯৫২ সালে ভাষা শহীদদের অবদানের কথা উল্লেখ করে কফি আনানকে প্রস্তাব করেন ২১শে ফেব্রুয়ারিকে ‘মাতৃভাষা দিবস’হিসেবে যেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।২) সে সময় সেক্রেটারী জেনারেলের প্রধান তথ্য কর্মচারী হিসেবে কর্মরত হাসান ফেরদৌসের (যিনি একজন সাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত) নজরে এ চিঠিটি আসে। তিনি ১৯৯৮ সালের ২০ শে জানুয়ারী রফিককে অনুরোধ করেন তিনি যেন জাতিসংঘের অন্য কোন সদস্য রাষ্ট্রের কারো কাছ থেকে একই ধরনের প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করেন। ৩) সেই উপদেশ মোতাবেক রফিক তার সহযোদ্ধা আব্দুস সালামকে সাথে নিয়ে “এ গ্রুপ অব মাদার ল্যাংগুয়েজ অফ দ্যা ওর্য়াল্ড”নামে একটি সংগঠন দাঁড় করান। এতে একজন ইংরেজীভাষী, একজন জার্মানভাষী, একজন ক্যান্টোনিজভাষী, একজন কাচ্চিভাষী সদস্য ছিলেন। তারা আবারো কফি আনানকে “এ গ্রুপ অব মাদার ল্যাংগুয়েজ অফ দ্যা ওর্য়াল্ড” -এর পক্ষ থেকে একটি চিঠি লেখেন, এবং চিঠির একটি কপি ইউএনও (UNO) -র ক্যানাডিয়ান এম্বাসেডর ডেভিড ফাওলারের কাছেও প্রেরণ করেন।৪) এর মধ্যে একটি বছর পার হয়ে গেলো। ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে হাসান ফেরদৌস সাহেব রফিক এবং সালামকে উপদেশ দেন ইউনেস্কোর ভাষা বিভাগের জোশেফ পডের সাথে দেখা করতে। তারা জোশেফের সাথে দেখা করার পর জোশেফ তাদের উপদেশ দেন ইউনেস্কোর আনা মারিয়ার সাথে দেখা করতে। এই আনা মারিয়া নামের এই ভদ্রমহিলাকে আমরা কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করবো, কারণ এই ভদ্রমহিলাই রফিক-সালামের কাজকে অনেক সহজ করে দেন। আনা মারিয়া রফিক-সালামের কথা মন দিয়ে শোনেন এবং তারপর পরামর্শ দেন তাদের প্রস্তাব ৫ টি সদস্য দেশ – ক্যানাডা, ভারত, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড এবং বাংলাদেশ দ্বারা আনীত হতে হবে। ৫) সে সময় বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এম এ সাদেক এবং শিক্ষা সচিব কাজী রকিবুদ্দিন, অধ্যাপক কফিলউদ্দিন আহমেদ, মশিউর রহমান (প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারিয়েটের তৎকালীন ডিরেক্টর), সৈয়দ মোজাম্মেল আলি (ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত), ইকতিয়ার চৌধুরী (কাউন্সিলর), তোজাম্মেল হক (ইউনেস্কোর সেক্রেটারি জেনেরালের শীর্ষ উপদেষ্টা) সহ অন্য অনেকেই জড়িত হয়ে পড়েন।তারা দিন রাত ধরে পরিশ্রম করেন আরো ২৯ টি দেশকে প্রস্তাবটির স্বপক্ষে সমর্থন আদায়ে। অন্যান্য বাংলাদেশী এবং প্রবাসীদের কাছে ব্যাপারটা অগোচরেই ছিল- পর্দার অন্তরালে কি দুঃসাহসিক নাটক চলছিলো সে সময়। এই উচ্চাভিলাসী প্রজেক্টের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা এবং ক্যানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরের জনা কয়েক লোক কেবল ব্যাপারটা জানেন, এবং বুকে আশা নিয়ে তারা সেসময় স্বপ্নের জাল বুনে চলেছেন প্রতিদিন। ৬) ১৯৯৯ সালের ৯ ই সেপ্টেম্বর। ইউনেস্কোর প্রস্তাব উত্থাপনের শেষ দিন। এখনো প্রস্তাব এসে পৌঁছায়নি। ওদিকে রফিক সালামেরা ব্যাপারটি নিয়ে বিনিদ্র রজনী অতিক্রম করে চলেছেন। টেলিফোনের সামনে বসে আছেন, কখনো চোখ রাখছেন ইমেইলে। আসলে প্রস্তাবটির পেছনে প্রধানমন্ত্রীর একটি সই বাকি ছিলো। আর প্রধানমন্ত্রী তখন পার্লামেন্টে। পার্লামেন্টের সময়সূচীর পরে সই করতে করতে প্রস্তাব উত্থাপনের সময়সীমা পার হয়ে যাবে। সেটা আর সময় মত ইউনেস্কো পৌঁছুবে না। সব পরিশ্রম জলেই যাবে বোধ হয়।৭) প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে অনুরোধ করা হলো তিনি যেন প্রস্তাবটি সই করে ফ্যাক্স করে দেন ইউনেস্কোর দপ্তরে। অফিসের সময়সীমা শেষ হবার মাত্র একঘণ্টা আগে ফ্যাক্সবার্তা ইউনেস্কোর অফিসে এসে পৌঁছুলো।৮) ১৬ই নভেম্বর কোন এক অজ্ঞাত কারণে (?) বহুল প্রতাশিত প্রস্তাবটি ইউনেস্কোর সভায় উত্থাপন করা হলো না। রফিক সালামেরা আরো একটি হতাশ দিন পার করলেন। পর দিন – ১৭ই নভেম্বর, ১৯৯৯। এক ঐতিহাসিক দিন। প্রস্তাব উত্থাপন করা হলো সভার প্রথমেই। ১৮৮ টি দেশ এতে সাথে সাথেই সমর্থনজানালো। কোন দেশই এর বিরোধিতা করলোনা। সর্বসম্মতিক্রমে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে গৃহীত হলো ইউনেস্কোর সভায়। এভাবেই একুশে ফেব্রুয়ারি একটি আন্তর্জাতিক দিনে পরিণত হলো। বিস্তারির….
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী পৌরসভায় পেনশনবঞ্চিত ১৭ কর্মচারী পেলেন সোয়া কোটি টাকা। পটুয়াখালী পৌরসভার সাধারণ শাখায় ১৯৯২ সালের ১ আগস্ট চাকরিতে যোগদান করেন আব্দুল মজিদ প্যাদা। দীর্ঘ সময় নগরবাসীকে সেবা দিয়ে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি অবসরে যান মজিদ। এরমধ্যে জীবনের অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছেন। অবসরের পরে নিজের কর্মস্থল থেকে আনুতোষিক সম্মানিও পাননি তিনি। চিকিৎসার অভাবে রোগের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে কাটাচ্ছেন জীবন। শেষ বয়সে আনুতোষিক সম্মানির আশা ছেড়ে দিয়ে রোগশোক ও অভাব অনটনে দিন কাটাতে শুরু করেন। হঠাৎ আব্দুল মজিদ পেলেন অবসর কালীন পেনশন, এককালীন ছয় লাখ টাকা। শুধু আব্দুল মজিদ নয়, পটুয়াখালী পৌরসভা থেকে অবসরপ্রাপ্ত এমন ১৭ জন কর্মচারী পেনশনবঞ্চিত ছিলেন। এবার কেউ ২২ বছর, কেউ ২০ বছর, কেউ ১০ বছর ও কেউ ৫ বছর পর নিজের প্রাপ্য অধিকার বুঝে পেয়েছেন। পৌরসভার কর্মচারীদের মাঝে এককলাীন পেনশনের এক কোটি একুশ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে বিরল ঘটনা।সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পৌরসভার হলরুমে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক হস্তান্তর করেন মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ। এসময় পটুয়াখালী পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পটুয়াখালী জেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, পৌরসভায় সারাজীবন চাকরি করে শেষ জীবনে নিজের অধিকার পেনশনের টাকা না পাওয়ার যে ট্রেডিশন, সেটি ভাঙার চেষ্টা করেছি। আজ যখন এসব মানুষের হাতে এককালীন তাদের প্রাপ্য টাকার চেক তুলে দিতে পেরেছি তখন নিজের কাছেই একটা ভালো লাগা কাজ করেছে।###
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২২ জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়নের নওপাড়া পল্লীবালা এলাকার সাহেব আলীর ছেলে ওয়াজ কুরুনী সজীব (২২) হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব- ৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।গ্রেপ্তারকৃত আসামী জয়পুরহাট সদর উপজেলার নমুজা গ্রামের মোঃ এলি হোসেনের ছেলে রুবেল (২৮)।
সোমবার সকালে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানাগেছে, ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর নওপাড়া পল্লীবালা বাজারের পাশে পুকুরপাড়ে একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ওয়াজ কুরুনী সজিবের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তে ছয়জন অভিযুক্তের নাম উঠে আসে পুলিশের হাতে। এর মধ্যে মোঃ রুবেল হোসেন (২৮) অন্যতম। জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার প্রধান আসামী নিজ এলকায় অবস্থান করছেন। এমন গোপন সংবাদ পেয়ে সদর উপজেলার কুঠিবাড়ী ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিআইডি কার্যালয়, জয়পুরহাটে জিডি মূলে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি>>এরশাদ সরকারের পতনের পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিএনপির দখলে ছিল জয়পুরহাট-২ আসন। ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করায় আসনটি হারাতে হয়। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে নির্বাচন করলেও হেরে যান দলটির হেভিওয়েট প্রার্থী টানা চারবারের এমপি আবু ইউসুফ মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। আগামী নির্বাচনে কোনো ভুল করতে চায় না বিএনপি। আসন ফিরে পেতে এখন থেকেই মাঠে বেশ তৎপর একাধিক নেতাকর্মী। তবে বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের দখলেই আছে মাঠ। যদিও দলটিতে রয়েছে কোন্দল। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আক্কেলপুর, কালাই ও ক্ষেতলাল উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং জয়পুরহাট জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর নির্বাচনে গেলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে গোলাম মোস্তফা। এরপরই যাঁর নাম বেশি আলোচিত, তিনি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন। তালিকায় আছেন সাবেক এমপি খলিলুর রহমান, বিএনপির নেতা রওনকুল ইসলাম টিপু চৌধুরী, কামরুজ্জামান কমল, অধ্যক্ষ আলী হাসান মুক্তা ও লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ। জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী আবুল কাসেম রিপন এবং জেলা কমিটির সহসভাপতি আবু সাঈদ নুরুল্লাহ মাসুম মনোনয়ন চাইতে পারেন। জামায়াতে ইসলামী থেকে এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা নুরুজ্জামান।এরই মধ্যে মাঠে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন বর্তমান এমপি স্বপন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরছেন তিনি। তবে মাঠে বেশ তৎপর গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সমাবেশ ও আলোচনা সভায় তিনি এই আসন থেকে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী মর্মে ঘোষণা দেন। এ নিয়ে স্বপনের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বও এরই মধ্যে প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। হুইপ স্বপনের পক্ষে কথা বলেন কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন। তিনি সাংবাদিককে বলেন, ‘বড় দল হওয়ায় এই আসনে আরও দু-একজন মনোনয়ন চাইতে পারেন। কিন্তু সর্বস্তরের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের চাওয়া—আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আবারও এমপি হোক।’ তবে গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর বলেন, ‘তিনি (স্বপন) তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন। আমি নির্বাচনী এলাকার অসহায়, দুস্থ ও অসুস্থ রোগীদের মাঝে ১ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেছি, যা আমার সুপারিশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়েছেন। বর্তমানে আমি জোরেশোরে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন এবং দলীয় সিদ্ধান্ত আমার পক্ষেই থাকবে।’ বিএনপির নেতা-কর্মীরা ২০১৪ সালের সরকারকে ‘অবৈধ সরকার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আর ২০১৮ সালের সরকারকে তাঁরা ‘আগের রাতের ভোট ডাকাতির সরকার’ হিসেবে উল্লেখ করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা (বিএনপি) বর্তমানে কিছু দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে সফল হলে দলটি নির্বাচনে যাবে। বিএনপির গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে আমি এমপি নির্বাচিত হয়েছিলাম। তখন এলাকার উন্নয়নে জনগণের জন্য কাজ করেছি। নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থেকেছি। ফলে তাদের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, যা এখনো বহাল। আগামী নির্বাচনে বিএনপি আমাকেই দলীয় মনোনয়ন দেবে বলে আমি বিশ্বাসী। ওবায়দুর রহমান চন্দন বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরা হয়েছে। সেই দাবি সফল করতে এখন কাজ করছি। আপাতত এমপি, মন্ত্রী হওয়ার কথা ভাবছি না। দলই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবে বলে আমি আশাবাদী।’ জাপার কাজী আবুল কাসেম রিপন বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েও চাপের মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। এলাকায় আমার বা জাতীয় পার্টির কত লোক, তা জানতে পারিনি। তাই জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ফিরে না আসা পর্যন্ত আমি আর ভোট নিয়ে খেলা-খেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চাই না।’ নির্বাচন বিষয়ে ভাবনা জানতে চাওয়া হয় বেশ কয়েকজন ভোটারের কাছে।তারা বলেন, বিগত নির্বাচনে তাঁরা সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এবার হারানো ভোটাধিকার ফিরে পেতে চান। কেননা সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় তাঁরা অবহেলিত, ন্যায়বিচারক থেকে বঞ্চিত। সব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবের কাছে তারা জিম্মি। তাই ভোটারদের প্রত্যাশা, শুধু ভোটের সময় নয়, নির্বাচিত এমপি সারা বছরই তাঁদের গ্রাম-মহল্লায় আসবেন।###
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ গ্যাস,বিদ্যুৎ,চাল,ডাল,তেলসহ নিত্যপন্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জাতীয় তত্বাবধায়ক সরকার দাবী, বেগম খালেদা জিয়া ও নেতা কর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নেতৃত্বে শত শত কর্মী সদস্যরা। শনিবার ১১ মার্চ সকাল ৯ টায় কলেজ রোডস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া, সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ ইউনুচ আলী মোল্লা, জেলা বিএনপির সদস্য এ্যাড. মুজিবুর রহমান টোটন, মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান নান্নু, মোফাজ্জেল হোসেন খান দুলাল, আলমগীর হোসেন বাচ্চু, মিজানুর রহমান, জেলা মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা সিমা, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রুমা, জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, নিউমার্কেট মৎস্য সমবায় সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মন্নান ফকিরসহ তিন শতাধিক নেতা কর্মী। বক্তারা বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল নেতা কর্মীদের মুক্তি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুশিয়ারী করেন।###
জয়পুরহাট প্রতিনিধি ৪/ ফেরুয়ারী জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজ মাঠে দুই দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ক্যাম্প-২০২৩ আজ শনিবার সমাপনী দিন। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল, আক্কেলপুর উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম আকন্দ, ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহান বন্যা, কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাত আরা তিথি, আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে হুইপ স্বপন বলেন, আজকের এ সমাবেশ কোন দলীয় সমাবেশ নয়, এ সমাবেশ শিক্ষকদের সঙ্গে সেতুবন্ধন তৈরি করার এ সমাবেশ। বঙ্গবন্ধু শিক্ষার জন্য যা করেছেন তা আর কেউ করতে পারে নাই। করোনায় গোটা পৃথিবী থমকে গেছে। আবার ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে গোটা পৃথিবী থমকে গেছে। আজ গোটা পৃথিবী টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ১০ বছর আগে যেটা ছিল সেটা এখন নেই, এখন অবকাঠামো অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে, সম্পদ সীমিত হওয়ায় আমি তিন উপজেলা এবং উপজেলার জনপদকে ব্যালেন্স করে কাজ করি। আপনারা আমাকে ভোট দান করেছেন। আপনারা আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন রাষ্ট আমাকে বেতন দেয়৷ আপনাদের যে কোন সমস্যার কথা শুনতে আমি বাধ্য৷ আমি আপনাদের সমস্যাগুলো নেত্রীর কাছে উপস্থাপন করবো।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন ক্ষেতলালের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুবর রহমান চঞ্চল। তিনি বলেন, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফিস কাম কম্পিউটার শিক্ষক থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস কাম কম্পিউটার শিক্ষক নেই। এজন্য অনেক সময় দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনে তাদেরকে বাহিরে যেতে হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন ক্ষেতলাল আটিদাশড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক রতন। তিনি বলেন, বিষয় ভিত্তিক দক্ষ শিক্ষকের অভাব, মাধ্যমিক পর্যায়ে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না থাকা, বেতন ভাতার বৈষম্যের কারণে মানসিক চাপ তৈরি হয়। এতে ভালোভাবে শিক্ষার ওপরে মনোনিবেশ দিতে পারে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটবে। মাদ্রাসা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন কালাই থুপসাড়া সেলিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক নাজমুল হক। তিনি বলেন, ঘন ঘন ক্যারিকুলাম পরিবর্তন, বিষয় ভিত্তিক দক্ষ শিক্ষকের অভাব, এবতেদায়ী পর্যায়ে উপবৃত্তি না দেওয়া, তদারকির অভাব, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার ওপরে গুরুত্ব দেওয়া। এগুলো নিরসন করা হলে শিক্ষার মান উন্নয়ন ঘটবে। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন ক্ষেতলাল ইটাখোলা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ জি এম কিবরিয়া। তিনি বলেন, দুর্বল ভৌত অবকাঠামো, ব্যবহারিক যন্ত্রপাতির অভাব, সীমিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার, কারিগরি (বিএম) শাখায় উপবৃত্তি না থাকা, কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা এগুলো নিরসন করা হলে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়ন ঘটবে। কলেজ পর্যায়ের পক্ষ থেকে সমস্যা তুলে ধরেন ক্ষেতলাল সরকারি ছাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের প্রভাষক ও জীব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কে এম ফেরদৌস হোসেন। তিনি বলেন, সিলেবাস ও ক্যারিকুলাম ঘন ঘন পরিবর্তন, বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার বৈষম্য, পদোন্নতির সুযোগ কম, গভর্নিং বডির দ্বন্দ্ব, ব্যবহারিক ক্লাসের গুরুত্ব, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা এগুলো নিরসন করা হলে শিক্ষার মান উন্নয়ন ঘটবে। বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ক্যাম্পের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হুইপের একান্ত সচিব তোফাজ্জল হোসেন বলেন, হুইপ অনেক আগেই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক ক্যাম্প অনুষ্ঠান করার কথা ভেবেছিলেন। করোনার কারণে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করতে দেরি হয়েছে। শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা তারা এতো সুন্দরভাবে আয়োজনটি সফল করার জন্য।###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ মুজিব ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি অফিসে হামলা। পটুয়াখালীর বাউফলে মুজিব চত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের একটি অংশ ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাউফল উপজেলা বিএনপি অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্র ও গ্লাস ভাংচুর করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পৌর শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন বিএনপি কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। য়স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শনিবার দিবাগত রাতে হাতুড়ি বা ইট দিয়ে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের একটি অংশ ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বিকেলে ম্যুরালটির অংশ ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়ে এক পথচারী পৌর মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জানান। পরে সন্ধ্যায় বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে ফেলার চেয়ে জঘন্য কাজ আর কী হতে পারে? এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি। বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলেও বলেন তিনি। বিএনপির কার্যালয়ে হামলার বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদার বলেন, যুবলীগের ব্যানারে শান্তি র্যালি থেকে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এটা অপরাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়। ফলকটি যে বা যারা ভেঙেছে, তাঁদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-মামুন জানান, বঙ্গবন্ধুর ফলক ভাঙার বিষয়ে তদন্ত চলছে। হামলার ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।###
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি, নির্দলীয় ও নিরেপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন,গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের- ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পদযাত্রা ও সমাবেশ করেছে জয়পুরহাট জেলা বিএনপি। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের স্টেশন থেকে পদযাত্রা বের হয়ে শহরের রেলগেটে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয় ও সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক গোলজার হোসেন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন,জেলা বিএনপি জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধান, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক সেলিম রেজা ঢিউক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিন খন্দকার ডালিম সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বলেন, এই পদযাত্রা থেকেই আমরা স্বৈরাচারি সরকারের পতন ঘটাবো। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলছে। বিএনপির এই আন্দোলন গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিত্য পণ্যের মূল্য কমানোর আন্দোলন।বক্তারা আরো বলেন ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য ওয়ার্ড পর্যায়ে পদযাত্রা ও নানা, কর্মসূচি দেওয়ার আহবান জানান।
অভিনেতা ও নির্দেশক আবদুল আজিজ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত শনিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কাকরাইলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) নেওয়া হয় অভিনেতাকে। বর্তমানে সেখানেই সিসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি। এবিষয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বলেন, আজিজ ভাই শিল্পকলার মাঠে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানেই হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসকেরা জানান, তার হার্টে গুরুতর অ্যাটাক হয়েছে। একই সঙ্গে ফুসফুসে পানি জমেছে। এখন জরুরিভাবে এনজিওগ্রাম করতে হবে। বেতার নাটক দিয়ে আবদুল আজিজের মিডিয়ায় পথচলা শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে তিনি বেতারনাটকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেন। দীর্ঘ ৬ দশকের ক্যারিয়ারে তিনি শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বেতার নাটকের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে। নাটক সিনেমায় তাকে নিয়মিত দেখা না গেলেও নিয়মিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে দেখা যায়।
ভারতের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী বাণী জয়রাম মারা গেছেন। শনিবার চেন্নাইতে নিজের বাড়িতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি ১৯টি ভাষায় প্রায় ১০ হাজার গান গেয়েছেন। এবার বাণী জয়রাম পদ্ম বিভূষণ সম্মান পেয়েছেন। তার অত্যন্ত জনপ্রিয় হিন্দি গান হলো বোলে রে পাপিহরা। বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। তার স্বামী আগেই মারা গেছেন। বাণীর কোনো সন্তান ছিল না। গৃহপরিচারিকা জানান, প্রতিদিনের মতো এদিনও তিনি কাজ করতে বাড়ি আসেন। কিন্তু বারবার বেল বাজালেও দরজা খোলা হয়নি। পরে তিনি শিল্পীর আত্মীয়স্বজনকে খবর দেন। তারা পুলিশকে জানান। আত্মীয়দের উপস্থিতিতে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে, তিনি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মালারকোডি প্রায় ১০ বছর ধরে বাণী জয়রামের বাড়িতে কাজ করছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে তার। আচমকা পড়ে গিয়ে কপালে চোট পেতে পারেন।
নবম ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের (ডিআইএমএফএফ) সমাপনী আসরের পর্দা নামল। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারে স্টার সিনেপ্লেক্সে এর আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী বক্তৃতায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য প্রফেসর ইমরান রহমান বলেন, ডিআইএমএফএফ খুব ভালো কাজ করছে এবং এরকম সুন্দর একটি উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে গর্বিত করছে। পরে পুরো হল ভর্তি উৎসুক জনতা নিয়ে দ্বিতীয় দিনের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অভিনেতা ও এশিয়াটিক ইএক্সপির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ যাকের। তিনি বলেন, মোবাইল ফোন হোক কিংবা ক্যামেরা, গল্প বলার জন্য ডিভাইসের ওপর ডিপেন্ড না করার এই প্রচেষ্টা অনেক ভালো লেগেছে। এরপর প্রফেসর ইমরান রহমান ও প্রফেসর জুড উইলিয়াম হেনিলো ক্রেস্ট তুলে দেন উৎসবের স্পন্সর এবং প্রধান অতিথিকে। সাথে প্রধান অতিথি ইরেশ যাকের ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর সাম্বিতুল ইসলামকে ক্রেস্ট তুলে দেন। ডিআইএমএফএফ বেস্ট ফিল্ম আওয়ার্ড পায় রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে আসা গ্লেব লেসচেঙ্কোর ‘দ্য ম্যান অন দ্য চেয়ার’, সিনেমাস্কোপ ফিল্ম আওয়ার্ড পান পাকিস্তান থেকে আসা ইরফান নুর কে-এর ‘দ্য ল্যান্ড অব মাই ফোরফাদার্স’, ইউল্যাব ইয়াং ফিল্মমেকার আওয়ার্ড পান বাংলাদেশের শাহিনুর আক্তারের চলচ্চিত্র ‘শিক্ষা এটিএম’, এমএসজে বেস্ট মোজো স্টোরি অ্যাওয়ার্ড পায় বাংলাদেশের ‘স্টোরি অ্যান্ড আননোন’ এবং ডিআইএমএফএফ বেস্ট ভার্টিকাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পায় বাংলাদেশের আসিফ উল ইসলামের ‘ফেস টু ফেস’। বিশ্বের ২৫টি দেশ থেকে মোট ১৬৩টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল উৎসবে। এতে বাংলাদেশ তিনটি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের আসর শেষে ধন্যবাদ জানান ডিআইএমএফএফর ফেস্টিভাল উপদেষ্টা সৈয়দা সাদিয়া মেহজাবিন। এ বছর ডিআইএমএফএফর ডকুমেন্টারি পার্টনার হিসেবে ছিল ফিল্মিজম। ওয়্যারড্রোব পার্টনার ব্ল্যাকিস্টিক এবং ফুড পার্টনার চাউ-ম্যান, ফেস্টিভ্যাল পার্টনার মিনা। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ঢাকা পোস্ট, অ্যাওয়ার্ড পার্টনার হিসেবে এসএকেপিডিএল, পাবলিক রিলেশন পার্টনার ব্র্যান্ডস্মিথ আইএমসিএল এবং উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই স্টার সিনেপ্লেক্স ছিল। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব।
গত ১৯ জানুয়ারি বিয়ে করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুশা চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের পরেই ১৩ বছরের অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নিচ্ছেন অভিনেত্রী। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই বিদেশে উড়ে যাবেন তিনি। সেখানেই ঘর বাঁধবেন। সুতরাং অভিনেত্রীর নতুন ইনিংসের সূচনায় একদিকে যেমন খুশি ভক্তরা, তেমনি মন খারাপও তাদের। কারণ বিয়ের আগেই রুশা জানিয়েছিলেন, অভিনয় ক্যারিয়ারে আপাতত ইতি টানছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনই তাঁর প্রায়রিটি লিস্টে এক নম্বরে। তবে রুশার বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসামাত্রই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় খিল্লি, কেননা অভিনেত্রীর উচ্চতার তুলনায় খানিকটা খাটো তাঁর স্বামী। অভিনেত্রীর ভাই বলে সম্বোধন করেছেন অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী বরের গলায় মালা পরিয়েছেন রুশা। যদিও অনুরণ কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন কিন্তু তাঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরে। রিসেপশনের পরের দিনই ছিল রুশার জন্মদিন, তাই বউভাতের রাতেই বাড়ির অতিথিদের সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছেন নায়িকা। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যে আবারও সেলিব্রেশন মুডে নবদম্পতি। উপলক্ষ বিয়ের পর প্রথম ভাইয়ের জন্মদিন। তাই বরকে আর পুরো পরিবারকে পাশে নিয়েই জন্মদিন উদযাপন করলেন রুশা। বিয়ের পর বিতর্কে জড়ালেও কোনো কিছুতেই প্রতিক্রিয়া জানাননি অভিনেত্রী। বরং স্বামীর সঙ্গে মাঝরাতেই কেক কেটে নিজের জন্মদিন উদযাপন করলেন নায়িকা।
শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত বিতর্কিত সিনেমা ‘পাঠান’। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এ সিনেমা। ২০ জানুয়ারি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও তা শুরু হয় ১৮ জানুয়ারি থেকে। আর প্রথম দিনেই সিনেমাটির অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে। বক্স অফিস বিশ্লেষক অতুল মোহন এক টুইটে জানিয়েছেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে মোট ৯০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে পিভিআর: ৩৫ হাজার, আইএনওএক্স: ৩০ হাজার ও সিনেপোলিস: ২৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। টিকিট বিক্রির পরিসংখ্যান ১৮ জানুয়ারি রাত ৯টা পর্যন্ত। হিন্দুস্তান টাইমসকে অতুল মোহন বলেন, ‘পরিসংখ্যান বলছে যদি অগ্রিম বুকিংয়ের প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রি হয়, তাহলে মুক্তির আগের দিন এই বিক্রির পরিমাণ শীর্ষে ওঠে যাবে। তাই নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এটা সিনেমার জন্য ভালো লক্ষণ। সিনেপোলিস, পিভিআর এবং আইএনওএক্স-এর মতো হলগুলো ‘পাঠান’ সিনেমা পাঁচটির মধ্যে চারটি স্ক্রিনে দিয়েছে। আরেক বক্স অফিস বিশ্লেষক তরন আদর্শ এক টুইটে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাঠান সিনেমার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার। যার মধ্যে পিভিআর: ৫১ হাজার, আইএনওএক্স: ৩৮ হাজার ৫০০ ও সিনেপোলিস: ২৭ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেছের সুনামি লোডিং। শুক্রবার থেকে টিকিট বিক্রি পুরোদমে শুরু হবে। বক্স অফিস বিশ্লেষক অক্ষয় রাঠি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন— ‘‘প্রথম দিনে ‘পাঠান’ সিনেমা আয় করবে ৩৫ কোটি রুপি। বুধবার (২৫ জানুয়ারি, মুক্তির দিন) কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও এটি বড় প্রাপ্তি। আমার বিশ্বাস, ২৬ জানুয়ারি সিনেমাটি ৪৫ কোটি রুপি আয় করবে।’###
জয়পুরহাট প্রতিনিধি>>জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছী এলাকা থেকে অপহৃত হওয়া এক নারীকে উদ্ধার করেছে র্যাব, ৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা। এঘটনায় অপহরণকারী প্রেমিক মোঃ নুরনবী ইসলামকে (২১) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারী- জয়পুরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম দোগাছী গ্রামের মোঃ মোতালেবের ছেলে। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ মোস্তফা জামান বলেন, অপহৃত হওয়া ওই প্রেমিকা বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলার পালোয়ানপাড়া গ্রামের তাঁর পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। প্রেমিক নূরনবী একই এলাকায় একটি দোকানে কাজ করতেন। একসময় তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হলে পরিবারের সমঝোতায় তা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু প্রেমিক নূরনবী বিষয়টি মেনে না নিয়ে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি প্রেমিকার পরিবার বুঝতে পেরে মেয়েকে বুঝালে সে তার ভুল বুঝতে পেরে সেই পথ থেকে সরে আসে এবং প্রেমিক নূরনবীকে বলে যে, তার সাথে আর কোন সম্পর্ক রাখতে পারবে না। প্রেমিকার মূখে এমন কথা শুনে নূরনবী ক্ষিপ্ত হয়ে গত (১১ মার্চ) তার দুই বন্ধুর সহায়তায় প্রেমিকাকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছী এলাকায় তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এদিকে মেয়েকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোন খোঁজ না পেয়ে স্থানীয় থানায় জিডি করেন। এঘটনায় মেয়ের মা বাদি হয়ে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করলে র্যাব অভিযান চালিয়ে অপহৃত প্রেমিকাকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে।###
রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু, ঝালকাঠি প্রতিনিধি>>ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল উত্তর মরিচ বুনিয়া গ্রাামের বেপারি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ কয়েক কাঠা জমিতে গাঁজা চাষের সন্ধান পেয়ে দুই গাজা চাষীকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় আটককৃতদের চাষকৃত জমি থেকে পুলিশ দুই শত পাঁচটি (২০৫টি) গাঁজা গাছ জব্দ করেছে বলে অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী জানিয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১১মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার পাটিখালঘাটা ইউনিয়নের উত্তর মরিচ বুনিয়া গ্রাামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গাজা চাষী (জমির মালিক) রমেন বেপারি (৬০) ও তার প্রতিবেশী সহযোগী পরেশ বেপারি (৪৬) কে আটক করে।আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসা বাদের এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে গাজা বাগানে নিয়ে গেলে সেখানে বিপুল পরিমান গাঁজা গাছের সন্ধান পাওয়া যায়। পুলিশ সেখান থেকে সবগুলো গাঁজা গাছ জব্দ করে ও অবৈধ মাদকের সাথে সংশ্লিষ্টতার দায়ে আটক দু’জনকে থানায় নিয়ে আসে।কয়েক ঘন্টাব্যাপী পরিচালিত এই অভিযানে কাঠালিয়া থানার ওসি মো.মুরাদ আলী, পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এম শাহীনসহ পুলিশের একটি দল অংশ গ্রহন করেন। খবর পেয়ে (রাজাপুর-কাঠালিয়াসার্কেল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.মাসুদ রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আটককৃত গাঁজা চাষীদের বিরুদ্ধে কাঠালিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। মামলা রুজু করা হলে আসামীদের ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হবে।উল্লেখ্য, আটককৃত রমেন বেপারী ওই গ্রামের মৃত গনেশ বেপারীর ছেলেএবং পরেশ বেপারী একই গ্রামের মৃত গোপাল বেপারীর ছেলে। দীর্ঘ দিন ধরে কৃৃষিকাজের আড়ালে তারা এহেন গাঁজা চাষ করে আসছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে হস্তান্তরের আগেই একটি নবনির্মিত বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্রে ফাটল ধরেছে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৭২ নং ছোট ডালিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০২০-২০২১ ইং অর্থবছরে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে একেমা অ্যান্ড জেবি নামের একটি প্রতিষ্ঠান সাড়ে ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করে। এরপর থেকে নিম্মমানের উপকরণ ব্যবহার ও সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করার অভিযোগ ওঠে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ভবনটির শতভাগ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বরাদ্দকৃত সমুদয় বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার। যে কোন মুহুর্তে ভবনটি হস্তান্তর করা হবে। রোববার ভবনটি পরিদর্শনকালে দেখা যায়, নীচ তলার মেঝেতে অসংখ্য ফাটল ধরেছে। পেছনে সিঁড়ির টি বিমে বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এসময় উপরে ওঠার জন্য প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার মালেক মুন্সিকে গেট খোলার অনুরোধ করলে তিনি চাবি নিয়ে আসার কথা বলে গা ঢাকা দেন। পরে মুঠোফোনে পটুয়াখালী থেকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বাপ্পি বলেন, সঠিক নিয়মে সিডিউল মেনেই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপসহকারি প্রকৌশলী আলী ইবনে আব্বাস বলেন, কিছু স্থানে হেয়ার ক্রাক হয়েছে। এটা ঠিক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নাজিরপুর ছোট ডালিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম বলেন, বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন বলেন, প্রকল্প পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।###
, জয়পুরহাট প্রতিনিধি>> সহজ-সরল মানুষদের বোকা বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্প সদস্যরা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার হাটপাড়া এলাকা থেকে আটক করেছে ইমরান হোসেন (২৫) নামে কথিত জী্বনের বাদশাহ্কে। আটককৃত ইমরান দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার হাটপাড়া গ্রামের হায়দার নগর পাড়ার মৃত আক্তার নবাব খানের ছেলে।আজ রোববার সকাল সারে ৮ টাার দিকে র্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্প অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কথিত জী্বনের বাদশাহ্কে গতকাল সন্ধ্যায় আটক করে রাতে ক্যাম্পে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা দায়েরসহ তাকে ঘোড়াঘাট থানায় সোপর্দ করা হয়।র্যাব জানায়, ইমরান দীর্ঘ দিন ধরে নিজেকে জী্বনের বাদশাহ্ পরিচয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার সহজ-সরল মানুষদের তান্ত্রিক ঝাড়-ফোঁকের নামে অপচিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন। এ ছাড়া গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।এ নিয়ে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে কথিত জ্বীনের বাদশা প্রতারক ইমরান হোসেন কবিরাজের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে পিতলের কলস, তাবিজ-কবজ সহ প্রতারণার বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয় বলেও জানান মেজর মোঃ মোস্তফা জামান।
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ জমি জমা লিখে নিয়েও ভাইজির নির্মম অবহেলায় অনাহারে ও রোগ শয্যায় কাতরাচ্ছে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ ফুপু। চিকিৎসার কথা বলে স্বামী-সন্তানহারা সোনাবান বিবি’র (৮৫) টিপসই নিয়ে সমুদয় সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন আপন ভাতিঝি হোসনেয়ারা। এছাড়াও অসুস্থ ফুপুকে বিনা চিকিৎসায় রেখে খাবার-দাবার ও ঔষধপত্র না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হোসনেয়ারা’র বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হোসনেয়ারা পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার সন্তোষদী গ্রামের মৃতঃ মোতাহার ফকির এর মেয়ে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে স্বামী-সন্তান হারিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে বাবা কালু ফকিরের বাড়ি সন্তোষদি গ্রামে চলে আসেন একচোখ অন্ধ সোনাবান বেগম। একসময়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়লে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া প্রায় ৬২ শতক জমি প্রতারণা করে লিখে নিয়ে যান ওই ভাতিঝি। সরেজমিনে গেলে সোনাবান বিবি অস্ফুটস্বরে কান্নায় জড়িত কন্ঠে যেমন বলছিলেন, ও (হোসনেয়ারা) বোঝলে না, টিপ অইলে খারাপ। নেলে ক্যা, ধরলে ক্যা। বুড়ি এহন করবে কি, খয়রাত করবে ? হ্যাও তো পারবে না, হাটতে পারে না। আমনেগো উপরে বিচার থুইলাম, আমনেরা য্যা হরেন। ওই বাড়ির জহুরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, হোসনেয়ারা সেই জমি বিক্রি করে স্বামীর বাড়িতে থাকে। ওখান থেকে কিছু টাকা দিলেও সোনাবান মরার আগে দু’মুঠো ভাত খেয়ে মরতে পারতো। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত হোসনেয়ারা বলেন, যে ভরন পোষন করতে পারবে তাকে ফুপুর জমি দেব। এ কথা বললেও আর পাওয়া যায়নি তাকে। মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ মসিউর রহমান বলেন, আমরা শত চেষ্টা করেও হোসনেয়ারার কাছ থেকে খাবার-দাবার বা ঔষধের টাকা পাইনি। এবিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, সোনাবান বিবি ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে লামিয়া নামের এক মেয়ে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে মানবেতর জীবনযাপন করছে। যাতে এ অবস্থায় না থাকে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, সর্বশেষ স্থানীয় লোকজনের চাপে অভিযুক্ত হোসনেয়ারা চাচাতো ভাই ইব্রাহিম চৌকিদার এর স্ত্রী শাহানাজকে ফুপুর সেবা শুশ্রূষার জন্য ওই জমি থেকে ৫ শতাংশ জমির দলিল দিলেও খাবার-দাবার ও চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা করেননি। ###
মোহাঃ ইমরান আলী, শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি>>চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজন আলী(২৫) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। বৃহষ্পতিবার রাতে শিবগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাজন আলী শিবগঞ্জ পৌর এলাকার শেখটোলার বাসিন্দা ও শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সুপার কমিটির সহ সভাপতি। শিবগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আলী রাজ, রাজনের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, ব্যক্তির দায় সংগঠন কোন ভাবেই নেবেনা। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজনের বিরুদ্ধে মোবাইলসহ বিভিন্ন ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল। ৯ মার্চ রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ১০ মার্চ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।###
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোঃ আলমগীর হোসেন লেবু
যোগাযোগঃ- বি এস এস ভবন (৩য় তলা), ৪-দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০, ই-মেইল- dailytalash2015@gmail.com, মোবাইল-০১৭৩০৯২৭৯৬৯
Leave a Reply