পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মহিপুর নদীর তীর লাগোয়া ২ একর সরকারি খাস জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ছগির খানের বিরুদ্ধে। নিজাপুর গ্রামে বেড়িবাঁধের বাইরে দলবল নিয়ে ওই জমি দখল করে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দিয়েছেন তিনি। এ সময় স্থানীয় শুঁটকি মাছ প্রক্রিয়াজাতকারী শ্রমিকদের হুমকি দিয়ে ওই জমি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ একাধিক জেলেদের।
এ ছাড়া ছগির খান পটুয়াখালী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি পদ পাওয়ার পর থেকেই তিনি মহিপুর এলাকায় সালিশ বাণিজ্য থেকে শুরু করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠর নেতাদের। সরজমিন দেখা য়ায়, গত শুক্রবার ছগির খানের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী ওই জমিতে গিয়ে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেন।
এ সময় স্থানীয় শুঁটকি ব্যবসায়ীদের শুকটি শুকানো বেশ কিছু জাল ছিঁড়ে ফেলা হয়। ওই সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ক্রয়সূত্রে জমির মালিক মো. ছগির খান। স্থানীয় শুঁটকি ব্যবসায়ী হান্নান মিয়া জানান, এ জমিটা মূলত আমাদের রেকর্ডীয় জমির পাশে। প্রায় ২০ বছর ধরে আমরা ওই জমিতে শুঁটকি শুকিয়ে রোজগার করছি। কিন্তু গতকাল হঠাৎ যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে তাতে আমরা অনেকটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।
মহিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল মিয়া জানান, তার কর্মকাণ্ডে আমরা বিব্রত। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। মহিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফেরদৌস হাওলাদার জানান, সে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি হওয়ার পরই জমি দখল ও সাধারণ মানুষদের হুমকি-ধমকিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। আমরা ছোট থেকে জানি নিজাপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন জায়গাটি ১নং খাস খতিয়ানের যায়গা।
ওখানে গরিব জেলেরা মাছ শুকিয়ে শুঁটকি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু গতকাল স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনলাম সে নাকি ওই জায়গা দখলে নিয়েছে। পটুয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছগির খান জানান, ১৯৫২ সালে তরিবুল্লাহ নামের এক ব্যক্তির নামে সরকার বন্দোবস্ত দিয়েছে। তার কাছ থেকে ক্রয় করেছি। আমি কোনো সরকারি জমি দখল করিনি। মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার রফিক মিয়া জানান, ওই জমি আমাদের দখলমুক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, এ বিষয়ে তহসিলদারকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।###
Leave a Reply