কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)>>১৯৫৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অধিকার থেকেই বঞ্চিত ছিল বাঙ্গালী জাতির পিছনের কারণ খুঁজতে গেলে বাঙ্গালী জাতির মূর্খতা দৈন্যতা ও ধর্মান্ধতাকেই দায়ী করা যায়।
মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সর্ম্পকে লিখতে গিয়ে যতটুকু না বললেই নয়। এই অধিকার গুলো আদায়ের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বা স্বাধীনতা যুদ্ধে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দুইজন সাহসী যুবক যারা প্রথম যাত্রাতেই ক্রাষ্ট হয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে। তাদের নাম শহীদদের তালিকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্থান পেলেও স্বাধীনতার ৫১বছর পরেও তাদের পরিবারের খোঁজ রাখেনি কেউ।
প্রথম শহীদ মাগুড়া ইউনিয়নের বীর সন্তান শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আব্দুর রশিদ, পিতা-মরহুম তফেল উদ্দিন, মাগুড়া, উত্তরপাড়া। তিনি ৫ভাই ১ বোনের মধ্যে চতুর্থ সন্তান। মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি বদরগঞ্জ উপজেলার সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে সরাসরি মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং লালমনিরহাট জেলার মোঘলহাট এলাকায় পাকিস্তানী সেনাদের সাথে সম্মূখ যুদ্ধে শহীদ হন।
শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আব্দুল বারেক, পিতা-মরহুম জফুর উদ্দিন সরকার, গ্রাম- মাগুড়া, ঠাটারী পাড়া। তিনি ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি সবার থেকে ছোট ছিলেন। মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি নীলফামারী সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে সরাসরি মুক্তি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং জুলাই মাসে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরাঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরী রেলওয়ে ব্রীজ ধ্বংস করার সময় পাকিস্তানী সেনাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন।
দেশ স্বাধীনতা লাভের বেশ কিছুদিন পর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আব্দুর রশিদ এর পরিবার মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে দুই হাজার টাকা করে ভাতা পেলেও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আব্দুল বারেক এর পরিবার সেটুকু সহযোগিতাও এখন পযর্ন্ত পাননি বলে জানান তার চাচতো ভাই মোঃ ইকবাল হোসেন।###
Leave a Reply