ফিরোজ মাহমুদ রংপুর।।
রংপুর সহ উত্তর অঞ্চলের মানুষের কাছে এখন প্লাস্টিকের বস্তায় আদা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সৌখিন ভাবে অনেকের পাশাপাশি বানিজ্যিক ভাবে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করছে। কৃষক রাসেল জানায়বস্তায় আদা চাষ করতে গেলে প্রথমে একটি বস্তায় তিন ঝুড়ি মাটি, এক ঝুড়ি বালি, এক ঝুড়ি গোবর সার ও ২৫ গ্রাম ফিউরাডন লাগবে। বালি পানি নিষ্কাশনে সাহায্য করে, ফিউরাডন উইপোকার উপদ্রব থেকে রক্ষা করবে। মাটির সঙ্গে গোবর, বালি ও ফিউরাডন ভালোভাবে মিশিয়ে সিনথেটিক বস্তায় ভরে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে মিশ্রনটি ভালোভাবে চেপে সম্ভব হলে ১চামচ পটাশ সার মিশিয়ে দিতে হবে। আলাদা একটি বালি ভর্তি টবে তিন টুকরো অঙ্কুরিত আদা পুঁতে রাখতে হবে। ২০-২৫ দিন পর ওই আদা থেকে গাছ বের হবে। তখন আদার চারা সাবধানে তুলে বস্তার মুখে তিন জায়গায় বসিয়ে দিন। দিনের অধিকাংশ সময় রোদ পায় এমন স্থানে বস্তাটি রাখতে হবে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আদা গাছ বাড়তে থাকবে। চারা লাগানোর দু’মাস পরে আধ চামচ ইউরিয়া প্রয়োগ করুন মাটিতে। মাঝে খুঁড়ে মাটিটা একটু আলগা করে দিলে ভালো হয়।জুন-জুলাই মাসে আদা লাগালে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে তোলার উপযুক্ত হয়ে যাবে। এক একটি বস্তায় তিনটি গাছ থেকে এক-দেড় কেজি পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। আদা তুলে নেওয়ার পর সেখানে সবজি চাষ(মরিচ, টমেটো, লেটুস প্রভূতি) করা যেতে পারে। সে জন্যে নতুন করে মাটি তৈরি করারও দরকার নেই এক খরচে অনেক চাষের জন্য মাটি তৈরী হচ্ছে ফলে আমার মতো অনেকে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে লাভবান হতে বস্তায় আদা চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন এই পদ্ধতিতে আদা চাষে খরচ কমানোর পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকেরা বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছে আশা করা হচ্ছে বিগত দিনের চেয়ে আগামীতে এ অঞ্চলে আদার উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে###
Leave a Reply