দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি>>পটুয়াখালীর দুমকীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম প্রিন্স। ১৬ জানুয়ারী সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগম কর্তৃক দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মিথ্যা চাঁদাদাবি মামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম প্রিন্স অভিযোগ করেন, ফেসবুকের একটি ¯ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগমের ছেলে আবু নাসের মো: সফিউল্লার নেতৃত্বে বিএনপি ও ছাত্রদলের ৭/৮ জন ক্যাডার গত বছর ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসের জয়বাংলা চত্তরে হামলা চালিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা ছাত্রলীগের আরও একাধিক সহকর্মীকেও মারধর করে। খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদারের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতাকর্মীরা খবর পেয়ে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এঘটনায় আহত রাব্বিকুল ইসলাম বাদি হয়ে অভিযুক্ত আবু নাসের মো: সফিউল্লাহ ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে ওইদিন রাতেই দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। দুমকি থানার মামলা নং-০১, তাং ৩০/১২/২২। এ মামলার দায় এড়াতে এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই মামলার প্রধান আসামী আবু নাসের মো: সফিউল্লার মা নাসিমা বেগম গত ১৫ জানুয়ারি আমাকেসহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যে চাঁদা দাবির সাজানো মামলা করেছেন। যার আদৌ কোন সত্যতা নেই। এমন অসত্য, ভিত্তিহীন, হয়রানিমূলক সাজানো মামলা দিয়ে আ’লীগ ও ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন। মামলার সত্যতার বিষয়ে নাসিমা বেগম বলেন, ভিডিও ফুটেজসহ প্রমানাদি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সবুজ শিকদারসহ অন্যান্য শীর্ষনেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।###
গোলাপ হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধি>>>জয়পুরহাট প্রায় তিন শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নিকট শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল দশটায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা পুলিশের আয়োজনে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার নুরে আলম কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আফসার আলীর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সভাপতি সাজ্জাদ আহমেদ ময়না, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মো. বসুনিয়া সহ মুক্তিযুদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। ###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্ব ও পশ্চিমে এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ও ডাবের খোসা। এসব ময়লা আবর্জনা দেখে সমুদ্র কন্যা হিসেবে খ্যাত দেশের অন্যতম এ পর্যটন কেন্দ্র বেড়াতে আসা পর্যটকদের মুখে বিরক্তির ছাপ ফুটে উঠেছে। এদিকে প্রশাসন কর্তৃক সৈকত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ না নেওয়া এবং অসচেতন কিছু পর্যটকদের কারণে সৈকতের এমন অবস্থা বলে দাবি করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা একাধিক পর্যটকরা জানান, ইটপাথরের পরিবেশ থেকে নিজেদের একটু প্রশান্তি দিতে সমুদ্রে বেড়াতে আসা। এখানে এসে পর্যটন স্পটগুলো দেখে সবাই যেমন মুগ্ধ হন তেমনি সৈকতের যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পলিথিন ও প্লাস্টিক সবার মধ্যে বিরক্তির জন্ম দিচ্ছে। এসব পলিথিন ও প্লাস্টিকের কারণে শুধু যে সৈকতের পরিবেশই নষ্ট হচ্ছে তা নয় সঙ্গে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যও পড়েছে হুমকির মুখে।মেহেরপুর থেকে আসা পর্যটক ফোরকান-রাহেলা দম্পত্তি বলেন, কুয়াকাটার সবকিছুই বেশ ভালো। তবে কুয়াকাটা সৈকতে অনেক প্লাস্টিক রয়েছে। এসব বর্জ্যের কারণে আমরা অনেকটা বিরক্ত হয়েছি। এগুলো পরিস্কার না করলে পর্যটকরা সহজে সৈকতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। বরগুনা থেকে আসা পর্যটক ইমন সরকার বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। তবে সৈকতে পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিবেশটা নষ্ট করছে। মূলত আমরা যারা ভ্রমণে আসি তারাই সৈকতটাকে অপরিস্কার করে ফেলি। সবাই একটু সচেতন হলে সৈকতের এই দুরাবস্থা থাকতো না। তবে আমরা বন্ধুরা মিলে কিছু পলিথিন ও প্লাস্টিক কুড়িড়ে ডাষ্টবিনে ফেলেছি। ’ কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘সৈকতকে পরিস্কার রাখার জন্য আমরা ১০-১২ টি পেশার ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের মাধ্যমে ট্রেনিং করিয়েছি। এছাড়া গত বুধবার টোয়াকের উদ্যোগে প্রায় দুইশো ময়লা রাখার ডাষ্টবিন বিভিন্ন পয়েন্টে দেওয়া হয়েছে । তবে সরকার যদি আরো একটু খেয়াল দিতো তাহলে সৈকত সব সময় পরিস্কার রাখা সম্ভব।’কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, ‘সৈকতে যেন ময়লা না ফেলা হয় সে জন্য আমরা বারবার মাইকিং করে সতর্ক করি। সপ্তাহে একবার আমাদের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাই। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি সবসময় লোক নিয়োজিত রাখে তাহলে সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব।’ কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকতকে পরিস্কার রাখার জন্য সার্বিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের কয়েকটি টিম সকাল বিকেল ময়লা পরিস্কার করছে। কিন্তু কিছু অসচেতন পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের কারণে এই সমস্যাটা রয়েই গেছে।’ কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকতে যত্রতত্র ময়লা পরিস্কার এবং সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’###
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি>>চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে দুরুল হোদা (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সখ করে মাছ ধরতে গিয়ে লাশ হলেন তিনি বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাতাস মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।মৃত ব্যক্তি সদর উপজেলার একই ইউনিয়নের সরদার পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেল দুরুল হোদার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকাল বেলায় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে গিয়ে ডুবে যান। খবর পেয়ে স্বজনরাই ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। তিনি জেলে নন, সখ করে বিলের ধারে গিয়ে মাছ ধরতেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর জাহান বলেন, ওই ব্যক্তি মৃগীরোগে ভুগছিলেন, মাছ ধরতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নাই। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডিডি (অপমৃত্যু) মামলা দায়ের করা হবে।###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ দেশের অন্যতম সমুদ্র সৈকত সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের কুয়াকাটা। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের পড়তে হচ্ছে আবাসিক সংকটে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ২৩, ২৪ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি ও ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে কুয়াকাটায় বুকিং হয়েছে শতভাগ হোটেল মোটেল। আবাসিক হোটেলে রুম না পেয়ে আশেপাশের বাসা বাড়িতে রাত্রীযাপন করতে হয়েছে আগত ভ্রমণ পিপাসুদের। আসাবিক হোটেলের সংখ্যা বৃদ্ধির তাগিদ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী ও পর্যটকদের। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, টানা তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে। ছুটি উপভোগ করতে ভ্রমণ পিপাসুরা বেছে নিয়েছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটাকে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর সারা দেশের সঙ্গে কুয়াকাটার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। মাত্র ৫-৬ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে পর্যটকরা আসতে পারছেন কুয়াকাটায়। সাগরের বিশালতায় এতদিন কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা যে সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছিলো তা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তাই দিনকে দিন কুয়াকাটায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। আবাসিক হোটেল কানসাইন এর ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর এখানে দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা পর্যটক নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা সরকারি ছুটি পেলেই কুয়াকাটা আসি। কিন্তু প্রতিবারই হোটেলে রুম না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রুম নিতে হয়েছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আরও ভিন্ন। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও কোথাও রুম পাওয়া যায়নি। তাই রুম না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এবারের টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকদের পদভারে মুখর সাগরকন্যা কুয়াকাটা। আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের মিতালিতে মেতে উঠেছেন। কেউ কেউ ওয়াটার বাইকে গভীরে গিয়ে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ কেউ টিউব ভাড়া নিয়ে সাঁতার কাটছেন। কেউ আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখছেন। তাদের আনন্দের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গ্রুপ নিয়ে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা সৈকতে ফুটবল খেলছে। কেউ কেউ আবার বালুর ওপরে প্রিয় জনের নাম লিখে ছবি তুলছেন। মোট কথা এখানে আগত পর্যটকরা যে যার মতো আনন্দ উপভোগ করছেন। শুধুমাত্র সৈকতের জিরো পয়েন্টেই নয় আগত পর্যটকরা আশেপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠেছেন। আর এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি মহিপুর থানা পুলিশও পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। এবারের এ ছুটির চতুর্থ দিনেও কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দিনাজপুর থেকে আসা পর্যটক মো. বারি বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে এই প্রথমবার কুয়াকাটায় এসেছি। খুবই আনন্দ উপভোগ করছি। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক বেড়েছে। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে কুয়াকাটা। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কুয়াকাটা পৌরসভার সর্তক দৃষ্টি রয়েছে।কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছি। পর্যটন স্পটগুলোতে আমাদের টহল জোরদার করেছি।###
জয়পুরহাট প্রতিনিধি : ২৪ ডিসেম্বর,২২মহান স্বাধীনতার ৫১ বছরেও স্বীকৃতি পায়নি ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে দেশে ফেরার পথে পাক বাহিনীর হাতে নিহত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীর শাহা্র পরিবার। তার লাশও পায়নি তার পরিবার এ বেদনা বয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁর একমাত্র ছেলে আঃ রাজ্জাকও পাঁচ মেয়ে মনোয়ারা ছাবিরুন নেহা ছোবেদা বেগুম এ বিষয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে যুদ্ধকালীন বলা না বলা কথা বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছিলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দীন শাহা্র ছেলে আঃ রাজ্জাক । জানা গেছে, ১৯৭১ সালে সেদিন মুক্তিকামী অন্যদের সাথে যোগ দেন উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বেলতা বানদিঘি গ্রামের মৃত বছির শাহা্র ছেলে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীর উদ্দীন শাহ্ তিনি ১১ নং সেক্টেরের ভারতে প্রশিক্ষণ নেন। পরে সেখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে দেশে ফেরার পথে (১০ডিসেম্বর) জেলার ধলাহার ইউনিয়নে জামাতী আর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে আটক হন শহীদ নবীর উদ্দীন শাহ্ ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধে যোগদান করায় নির্মমভাবে খুন হন অসংখ্য বাঙালি। তেমনই বর্বরতার শিকার শহীদ নাবীর উদ্দীন শাহ্ বিজয়ের আগ মুহূর্তে রাজাকারের সহায়তায় পাকসেনারা হত্যা করে নবীর উদ্দীন শাহ্কে৷ ২৪ ডিসেম্বর দুপুর গড়িয়ে কেবলই পশ্চিমে হেলেছে সূর্য। উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বেলতা বানদির্ঘী গ্রামের শহীদ নবীর উদ্শাদীন শাহ্ ছেলে আঃ রাজ্জাকের সংঙ্গে দির্ঘ আলাপ কালে তিনি বলেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিলো মাত্র ১৩ বছর মায়ের মুখে শুনেছি আমার বাবা যুদ্ধে গেছে যুদ্ধ চলাকালে এমন সময় খবর আসে আমার বাবা জামাতী ও পাকবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন জেলার ধলাহার ইউনিয়নে সেখান থেকে জেলার বাজলা স্কুল মাঠে নিয়ে আসে বাবাকে তিন দিন আটক রাখে তখন আমার মা এলাকার বাসির সহয়াতায় তখন কার ক্ষমতা ধর রাজাকার আঃ আলিমের সংঙ্গে যোগা যোগ করেন বাবাকে ফিরিয়ে আন্তে তাতেও লাভ হয়নি পরের দিন আক্কেলপুর নিয়ে এসে পাকিস্থানি মিলিটারিরা আমার বাবাকে মেরে গণ কবর দিয়েছে তখন অস্থিতিশীল দেশ৷ আমার বিধবা মা বাবার সোগে দিশেহার হয়ে পরেন৷ দেশ সাধীনের এক বছর পর আক্কেলপুর বধ্যভূতিতে এক হৃয়বিদারক ঘটনা সরকারি অফিসারা আমাদের খবর দিলে আমি আমার মা সহ কয়েজক গিয়েছি আমার বাবাসহ অনেক লাশের কঙ্কাল তোলা হয়েছে আমার বাবার পড়নে নতুন লঙ্গী ছিলো পিছনে তামার তার দিয়ে হাত বাধা ছিলো তখন লোক জন কম ছিলো ভয়ে মানুষ জন সেখানে আসত না আমার সব ঘটনা মনে আছে তখন আক্কেলপুর ব্যংকের মাধ্যমে সরকার আমাদের দুই হাজার টাকা দিয়েছে দেশ সাধীনের পর থেকে আমার মা বাবার সোগে কাতর খুব কষ্টে আমাদের মানুষ করেছে দেশে অনেক মুক্তি যদ্ধা ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে আমার বাবা ও একজন শহীদ মুক্তিযুদ্ধা আমার বাবাকে রাষ্টিয়ও ভাবে তালিকা ভুক্তি করার জন্য কয়েক বছর ধরে দারে দারে ঘুড়েছি আমার মাও মারা গেছে আমার বাবার জন্য আক্কেলপুর বদ্ধভূতিতে গিয়ে শহীদ বাবার জন্য পরিবারের সবাই কবর জিয়ারত ও দোয়াখায়ের করে আসি আমার বাবার নাম ওই গন কবরের মধ্য তিন নং সিরিয়ালে উল্লেখ করা আছে তবুও আমার বাাবার নাম মুক্তিযুদ্ধের তালিকা করা হয়নি৷ শহীদ নবীর উদ্দীন শাহ্ নাতি মোঃ নাসির আক্ষেপ করে বলেন আমরা শহীদ পরিবারের সন্তান দেশে কত ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা সম্মান পায় রাষ্টের কাছে আমার দাবি আমার দাদা এদেশের জন্য জীবন দিয়েছে পাকিস্তানি মেলিটারিরা দাদাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে আমার দাদা রাষ্টিও ভাবে সম্মান পাওয়ার যগ্য আমরা তো কোন সাহায্য চাইনি দাদা একজন শহীদ মুক্তিযুদ্ধা বাংলাদের ইতিহাসে তার নাম থাক এটি আামাদের শহীদ পরিবােরর প্রত্যাসা শহীদ নবীর উদ্দীন শাহার গ্রামের প্রবিণ ব্যক্তিরা যানান নবীর উদ্দীন যুদ্ধে গিয়েছিলো আমরা জানি ভারত থেকে টেনিং করে আসার পথে ধলাহার ইউনিয়নে আটক করে মেলিটারিরা পাঁচ দিন পর গ্রামে খবর আসে পাকাস্তিনারা নবীরকে হত্যা করেছে তখন ছোট গ্রাম ছিলো হাতে গনা কয়েকটি লোকের বসবাস কে কার খোজ রাখে নবীর একজন শহীদ মুক্তিযুদ্ধা এলাকা বাসী চান শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হোক নবীরকে। সেইসঙ্গে দাবি জানান, সেই কবরটি সংরক্ষণেরও। শহীদ নবীর উদ্দীন শাহা্র স্ত্রী আকেলজান বেওয়ার ন্যাশলাল আইডি কাডে মৃত স্বামী নাবীর উদ্দীন শাহ্ এবং নবীর উদ্দীনের ছেলে আঃ রাজ্জাকের ন্যাশলাল আইডি কাডে পিতা মৃত নবীর উদ্দীন শাহ্ শহীদ নবীর উদ্দীন শাহার পৈত্রিক ভিটার আর এস খতিয়ানে নবীর উদ্দীন শাহা্র নাম লিপিবদ্ধ আছে শহীদ নবীর উদ্দীনের পাঁচ মেয়ে এক ছেলে বড় মেয়ে মনোয়ারা মারা গেছেন এবং আক্কেলপুর বধ্যভূমি গনকবরে শহীদ নবীর উদ্দীন শাহা্র ন্যামপ্লেট নাম সহ গ্রামের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে৷ বধ্যভূমিটি ও গনকবর অবস্থিত আক্কেলপুর সদর উপজেলার নিকটবর্তী আমুত্ত গ্রামের মাঠে। ১৯৭১ সালে ২২ জন মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে এখানে নিহত হন। শহীদদের স্মরণে এখানে একটি সৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে। এদের মধ্য ২২ জন মুক্তিযোদ্ধাও ছিল। ১৯৯৬ সালে আক্কেলপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন তালুকদার এই গণকবরের উপর একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান করেন। তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ছয়জন গাড়োয়ান সহ এই গণকবরে শায়িত আছেন নাম না জানা অনেকে। তবে যাদের নাম জানা যায় তারা হলেন..১) মোঃ সাবের জোয়ারদার (গোপিনাথপুর)২) মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (গোপিনাথপুর)৩) মোঃ নবির উদ্দিন শাহ্ (বানদিঘি)এ ব্যাপারে আক্কেলপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হাই জানান, এই পরিবারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া উচিৎ। জানতে চাইলে মামুদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম যানান! একটি দুটি নয় মুক্তিযুদ্ধের সময় এমন ঘটনা রয়েছে অসংখ্য। কজনইবা মনে রেখেছে তাদের। তাই দিনে দিনে জোরালো হচ্ছে দেশের জন্য আত্মত্যাগ করা এমন যোদ্ধাদের তালিকা করে যথাযথ মর্যাদা দেয়ার দাবি যানাই৷ ক্ষেতলাল উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নবীর উদ্দীন শাহ্ জোরালো ভূমিকা রাখে পাকবাহিনি রাজাকার কর্তৃক হত্যা হওয়া সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা প্রণয়ন করা হয় তাতে নবীর শাহ্ নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তিনি যুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনির হাতে নিহত হন নবীর উদ্দীন শাহা্র পরিবার আমাদের কাছে একবার এসে ছিলো ওনাদের বলেছি আক্কেলপুরে শহীদ হয়েছে ওখানে শহীদ নবীর শাহা্র তালিকা আছে ওখানকার সনদ আর মামুদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সনদ নিয়ে আমাদের ক্ষেতলাল মুক্তিযোদ্ধা অফিসে জমা দিলে আমরা শহীদ নবীর উদ্দীন শাহা্র বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রেরন করবো৷ ###
রংপুর প্রতিনিধি >>> রংপুরের পাগলাপীরের বিভিন্ন স্থানের হাট বাজারে গরু ছাগলের মাংসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মাংসের বেপরোয়া মূল্যে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় পাগলাপীর অঞ্চলের ভূক্তভোগী ক্রেতা সাধারনের নাভিঃশ্বাস বেড়েই চলছে।
জানা গেছে পাগলাপীরের কাঁচাবাজার নামাহাট, শিবের বাজার, বিড়বাড়ী, পানবাজার, পরিষদের বাজার, হরকলি, শলেয়াশাহ্, নেকীরহাট, সেন্টারেরহাট, গলাকাটার বাজার, ত’বাজার, মমিনপুর, মুন্সিরহাট, ধনতোলা, বেতগাড়ী, খলেয়া গঞ্জিপুর, খাপড়িখাল, চন্দনের হাট, খিলালগঞ্জ সহ অঞ্চলের বিভিন্ন হাট বাজারে গরু ছাগলের মাংসের মূল্য হু হু করে বেড়ে গেছে। মাস পূর্বে ব্যবসায়িরা প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০/৫৫০ টাকা এবং ছাগল-খাঁশি ৬০০/৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলেন।এখন আকস্মির্ক মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়িরা সেই মাংস গরুর প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা এবং ছাগল-খাঁশি ৭৫০/৮০০ টাকা দরে বিক্রি করতেছেন। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে মূল্য বেড়েছে ৯০/১০০ টাকা। একই অবস্থা বিরাজ করছে মুরগির বাজারে। মাস পূর্বে ব্যবসায়িরা মুরগি পাকিস্তানি ১৫০/১৮০ টাকা, ব্রয়লার ১১০/১৩০ টাকা এবং দেশি ২০০/২২০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলেন ব্যবসায়িরা।
এখন মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়িরা পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ২৮০/৩০০ টাকা এবং ব্রয়লার ১৭০/১৯০ টাকা ও দেশি মুরগি ২৫০/৩০০ টাকা দরে বিক্রি করতেছেন। সরেজমিনে পাগলাপীর সহ অঞ্চলের ভূক্তভোগী ক্রেতা সাধারনের অভিযোগ সরকার ও প্রশাসনের হাটবাজারে যথাযথ তদারকি ও মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়িরা ছিন্ডিগেট সৃষ্টি করে একেক দিন একেক সময় নানা অজুহাত দেখে ইচ্ছামাফিক দরে ক্রেতাদের কাছে গরু ছাগলের মাংস এবং মুরগি বিক্রি করতেছেন।###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন। জানা গেছে, আনোয়ার হাওলাদার পটুয়াখার মহিপুর থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি পদে থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে তিনি ভোটের আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমানের পক্ষে নির্বাচনের মাঠে কাজ করেন। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনোয়ার হওলাদার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ সময় নৌকার প্রার্থী কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লাকে হারিয়ে সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন আনোয়ার হাওলাদার। এরপর থেকেই কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লার সঙ্গে নির্বাচনী বিরোধ ক্রমেই রাজনৈতিক বিরোধে রূপ নিতে থাকে।আওয়ামী লীগে যোগদান প্রসঙ্গে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার দলে যোগ দিয়ে কুয়াকাটাবাসীর উন্নয়নে কাজ করাই আমার লক্ষ্য। আওয়ামী লীগে যোগদানকালে অন্যান্যের মধ্যে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ গোলাম ফারুক, গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মো. হারিচুর রহমান, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ বারী আজাদ, কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মোঃ মনির শরিফ, কুয়াকাটা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ, কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সগির মোল্লা, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি আব্দুল রব হাওলাদার (মাঝি), কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল হক হাওলাদার (মাঝি), কুয়াকাটা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন পহলান, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ আবদুর রহিম, কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।###
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি>>গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ৬ ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহনে ইচ্ছুক প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা প্রদান শুরু করেছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদারের কাছে প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে যার যার জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদকের কাছে দূর্গাপুর ইউনিয়নের মনোনয়ন পেতে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ) শেখ মফিজুর রহমান টুটুল। উল্লেখ্য, আগামী ১৬ই মার্চ নির্বচনের তারিখ ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন । প্রাথীরা এখন থেকেই নিজ নিজ এলাকায় তাদের প্রচারনা শুরু করে দিয়েছেন।###
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি>>গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ৬ ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহনে ইচ্ছুক প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা প্রদান শুরু করেছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদারের কাছে প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে যার যার জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারী) দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোবরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সফিকুল রহমান চৌধুরী টুটুল জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন।উল্লেখ্য, এখনো নির্বচনের তারিখ ঘোষণা হয়নি। প্রাথীরা এখন থেকেই এলাকা এলাকায় তাদের প্রচারনা শুরু করে দিয়েছেন।
কাওছার হামিদ,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ধনী পাড়ায় মা আয়েশা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা পরিদর্শন করলেন নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ী থেকে নেতাকর্মিদের নিয়ে পায়ে হেটে মাদ্রাসায় উপস্থিত হন এবং মাদ্রাসার কতজন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন দিক খোঁজ খবর নেন। ওই সময় এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেলের হাত দিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের গলায় আইডিকার্ড পড়িয়ে দেন এবং বই হাতে তুলে দেন। এ সময় এমপি মহোদয় মাদ্রাসার ঘরের অবকাঠামো তৈরীর প্রতিশ্রæতিদেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শীতবস্ত্র হিসেবে বিশ পিছ কম্বল উপহার দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমপি আদেলের পিএস রায়হানুল আহসান রমি,জাতীয় ছাত্র সমাজ কিশোরগঞ্জ উপজেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিক, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিল, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সেলিনা বেগম,অত্র মাদরাসার শিক্ষক জোবেদা বেগম, মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব লাইজু বেগম, সহঃসভাপতি ফরিদা বেগম সাধারণ সম্পাদক জেলেখা বেগম,সদস্য জোসনা বেগম, দাতা সদস্য ডাঃ জহুরুল আলম ও উপদেষ্টা ডাঃ আনছারুল হক প্রমুখ।###
আমতলী (বরগুন) প্রতিনিধি>>এখনো আমি আমতলীর এমপি। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পরে অবহেলিত আমতলী অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ওইখানের সকল উন্নয়ন আমি দেখবো। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় তুতীয় পর্যায় ৪ টি বিভাগের ১৩ জেলার ৪৫ টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত ৪৫ টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ আশরাফুল আলমের সঞ্চালনায় ভিডিও কনফানেন্সে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। তিনি আরো বলেছেন, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পায়রা নদী পাড় হয়ে বরগুনার আমতলী-তালতলী জনপথে অনেক ঘুরেছি। আমতলী-তালতলী জনপথের অনেক মানুষের সাথে আমার দেখা হয়েছে। ওই জনপথের মানুষের ভালোবাসায় এমপি হয়েছি। ওখানের সব কিছুই আমি দেখবো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমতলী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আমিন উল আহসান, ডিআইজি এস এম আখতারুজ্জামান, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ দেবব্রত পাল, বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ জাহাঙ্গীর কবির, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুস ছালাম, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মাদ ফজলুল হক, আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত), মোঃ মজিবুর রহমান,পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমান, সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নাজমুল আহসান নান্নু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মুনয়েম সাদ, বিভাগীয় কমিশনারের একান্ত সচিব নজরুল ইসলাম, ওসি একেএম মিজানুর রহমান, নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ¦ গোলাম সরোয়ার ফোরকান,সাধারণ সম্পাদক জিএম ওসমানী হাসান, পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর জিএম মুছা ও সুফলভোগী মৌলুভী মোঃ আব্দুল মান্নান প্রমুখ। সুফলভোগী মৌলুভী আব্দুল মান্নান কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, চোখের মাংশ বৃদ্ধি ও ছানি পরেছে। ওই মাংশ ও ছানি অপসারণ করতে বে-সরকারীভাবে ৪৪ হাজার টাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ডাঃ আব্দুল মুনয়েম সাদের সহযোগীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিশন সেন্টারের তত্বাবোধানে বরিশাল শের-ইবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ন্যাশনাল আই কেয়ার সেন্টারে বিনামুল্যে চিকিৎসা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনী আমার চোখের আলো দিয়েছেন। আমার জীবনে এর চেয়ে আনন্দের আর কিছুই হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুভলভোগীর কথা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেছেন। এ অনুষ্ঠানে সরকারী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, সাংবাদিক, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বরগুনা জেলার আমতলী ও পাথরঘাটা উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন করা হয়। উল্লেখ গত বছর ৭ জুন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হয়। গত ছয় মাসে উপজেলার এক হাজার ৫’শ ৭০ জন চক্ষু রোগীকে বিনামুল্যে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।###
শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত বিতর্কিত সিনেমা ‘পাঠান’। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এ সিনেমা। ২০ জানুয়ারি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও তা শুরু হয় ১৮ জানুয়ারি থেকে। আর প্রথম দিনেই সিনেমাটির অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে। বক্স অফিস বিশ্লেষক অতুল মোহন এক টুইটে জানিয়েছেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে মোট ৯০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে পিভিআর: ৩৫ হাজার, আইএনওএক্স: ৩০ হাজার ও সিনেপোলিস: ২৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। টিকিট বিক্রির পরিসংখ্যান ১৮ জানুয়ারি রাত ৯টা পর্যন্ত। হিন্দুস্তান টাইমসকে অতুল মোহন বলেন, ‘পরিসংখ্যান বলছে যদি অগ্রিম বুকিংয়ের প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রি হয়, তাহলে মুক্তির আগের দিন এই বিক্রির পরিমাণ শীর্ষে ওঠে যাবে। তাই নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এটা সিনেমার জন্য ভালো লক্ষণ। সিনেপোলিস, পিভিআর এবং আইএনওএক্স-এর মতো হলগুলো ‘পাঠান’ সিনেমা পাঁচটির মধ্যে চারটি স্ক্রিনে দিয়েছে। আরেক বক্স অফিস বিশ্লেষক তরন আদর্শ এক টুইটে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাঠান সিনেমার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার। যার মধ্যে পিভিআর: ৫১ হাজার, আইএনওএক্স: ৩৮ হাজার ৫০০ ও সিনেপোলিস: ২৭ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেছের সুনামি লোডিং। শুক্রবার থেকে টিকিট বিক্রি পুরোদমে শুরু হবে। বক্স অফিস বিশ্লেষক অক্ষয় রাঠি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন— ‘‘প্রথম দিনে ‘পাঠান’ সিনেমা আয় করবে ৩৫ কোটি রুপি। বুধবার (২৫ জানুয়ারি, মুক্তির দিন) কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও এটি বড় প্রাপ্তি। আমার বিশ্বাস, ২৬ জানুয়ারি সিনেমাটি ৪৫ কোটি রুপি আয় করবে।’###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। দিনটিকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও পেশার ভ্রমণপিপাসু মানুষ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আসেন। দিনভর নানা আয়োজনে মেতেছিলেন তারা। তবে খাবারের মান এবং হোটেল ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা। তাদের দাবি, বিষয়টি স্থানীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরে নেওয়া উচিত।কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের মধ্যে কেউ ঘুরেছেন লেম্বুর চর, গঙ্গামতি চর, ফাতরার বন, কাঁকড়ার চর ও রাখাইন পল্লী, রাখাইন মার্কেটসহ অন্যান্য আকর্ষণীয় স্পটগুলো। কেউ কেউ উপভোগ করছেন সাগরের নীল জলরাশি ও প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য। কেউ আবার সেলফি তুলে, সমুদ্রে সাঁতার কেটে, ঘোড়ায় চড়ে স্মরণীয় করে রেখেছেন মুহূর্তগুলো। সবমিলিয়ে পর্যটকদের পদচারণায় ১৮ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকতটি মুখরিত হয়ে ওঠে।শুক্র ও শনিবার দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রোববারের বড়দিনের ছুটি। টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে ভ্রমণপ্রেমিরা ছুটে আসেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসতে শুরু করেন।এদিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পর্যটকদের আনন্দ কিছুটা হলেও ম্লান করে দিয়েছে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলের ভাড়া এবং খাবারের মান। খাবারের অতিরিক্ত দাম ও হোটেলে গলাকাটা ভাড়া নেওয়ায় অভিযোগ করে পর্যটকরা বলছেন, বিষয়টি স্থানীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরে নেওয়া উচিত।ঢাকা থেকে আগত ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, কুয়াকাটা অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরা। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা যায়। আমি এর আগেও একবার এখানে এসেছিলাম। তখন ব্যয় অনেক কম ছিল। কিন্তু এবার এসে দেখি সবকিছু বদলে গেছে। তিনি বলেন, এর আগেরবার যে হোটেল ভাড়া দিয়েছিলাম এক হাজার টাকা, এবার সেই হোটেল ভাড়া দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। খাবার হোটেলেরও একই অবস্থা। খাবারের মানের চেয়ে দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। এসব পর্যটন এলাকার জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এতে পর্যটন এলাকার ক্ষতি হচ্ছে।ঢাকা থেকে আগত আরেক পর্যটক ইসমাইল হোসেন বলেন, কুয়াকাটা অনেক সুন্দর। কিন্তু খাবারের মান ও দাম দেখে সবকিছু ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খাবারের মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। মান ভালো করে এবং দাম কমালে পর্যটকরা খুশি হতো এবং পর্যটকদের আগমন আরও বেড়ে যেত।এ ব্যাপারে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ বলেন, বড়দিনের ছুটিকে ঘিরে কুয়াকাটা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। হোটেল-মোটেলের শতভাগ রুম বুকিং ছিল। তবে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ বাড়তি ভাড়া নিলে এবং তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কুয়াকাটা জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জানান, তিনদিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। বড়দিনকে ঘিরে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য। কোনো নিয়ম-কানুনের বালাই নেই। যে যেভাবে পারছে পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মোঃ শাহ শোয়াইব মিয়া জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর তিনি এখানে যোগদান করেছেন। জানুয়ারিতে পর্যটকদের ভরা মৌসুমে কুয়াকাটায় অভিযান চালানো হবে এবং সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হবে। কেউ নিয়ম না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ তিন দিনের সরকারি ছুটির দ্বিতীয় দিনেও শনিবার ২৪ ডিসেম্বর পর্যটকে টইটুম্বর হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশাকে উপক্ষো করেই সকাল থেকে সৈকতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা। এদিকে, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করে চলেছে প্রশাসন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আগত পর্যটকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সৈকতের জিরো পয়েন্টে সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালিতে মেতেছেন। অনেকে আবার সেলফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউবা আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আবার অনেকেই বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় করে ছুটি চলেছেন। এছাড়া কুয়াকাটার চর বিজয়, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর, ঝাউবন, শুটকি পল্লী, লেবুর বন ও তিন নদীর মোহনাসহ সবকটি পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। পর্যটকদের এমন ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তাই অনেকটা খুশি ব্যবসায়ীরা। এদিকে আজ রোববার পর্যন্ত বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার শতভাগ হোটেল মোটেল। অনেক পর্যটক হোটেলের সিট না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়দের বাসা বাড়িতে। কুয়াকাটা চৌরাস্তা থেকে শুরু করে পৌরসভা পর্যন্ত যানযট লেগে থাকছে প্রায়ই। কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে কথা হয় পর্যটক তামান্না রহমানের সঙ্গে কথা হয় ডেইলি তালাশ এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থেকে পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। সকাল থেকে বাচ্চারা সৈকতের বালিয়াড়িতে খেলাধুলা করছে। আমরা বেশ আনন্দ করছি।’ সাতক্ষীরা থেকে আসা অপর পর্যটক মিথিলা সাকিব বলেন, প্রিয় জনকে সঙ্গে নিয়ে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে সাগরের ঢেউ উপভোগ করা এক অন্যরকম অনুভ‚তি। সকাল থেকে বেঞ্চিতে বসে আছি। নানা বয়সের মানুষ দেখছি। কুয়াকাটায় এসে মনটা ভরে গেছে।’ কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, ‘যে কোনো অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে সবকটি পর্যটন স্পটে আমাদের ট্যুরিষ্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে।’###
ডেইলি তালাশ ডেস্ক>>চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘির ফেসবুকের একটি পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দীঘির অভিযোগ, তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে রাজনীতির শিকার হয়েছেন। পরিচালকের বিরুদ্ধে তিনি কথা দিয়ে কথা না রাখার অভিযোগ করেছেন। এবিষয় নির্মাতা রায়হান রাফিও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘দীঘির উচিত টিকটক বাদ দিয়ে অভিনয়ে মনোযোগী হওয়া।তার ফিটনেসের দিকে আরও মনোযোগী হওয়া উচিত। তাকে শুধু আমার সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিষয়টা এমন না, অন্যরা কেন তাকে সিনেমা থেকে বাদ দিল? নিশ্চয়ই তার কোনো ঘাটতি আছে।’ এদিকে পরিচালক রাফির এই মন্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা মডেল-অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা সুবাহ। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন- বাংলাদেশের রেকর্ড হয়ে থাকল! এইভাবে কোনো দিন কোনো বড় ডিরেক্টর, কোনো নায়িকাকে প্রকাশ্যে তার ফিগার নিয়ে অপমান করতে দেখিনি। উনি এমনভাবে কথা বলেছেন যেন ইন্ডিয়ান নির্মাতা করণ জোহর বা সঞ্জয়লীলা বানসালি হয়ে গেছেন। রায়হান রাফিকে ইঙ্গিত করে সুবাহ আরও বলেন, যে প্রেম করতে পারবে সেই ভালো নায়িকা, ভালো ফিগারের সুন্দরী নায়িকা!…… এটা কি ধরনের মিনিং!’ এই অভিনেত্রী আরও লেখেন- বর্তমান যুগে অনেক বড় বড় বলিউড এবং বাংলাদেশের নায়ক-নায়িকারা অনেকেই টিকটক করেন।এভাবে একটা নায়িকাকে অপমান করা হলো বিষয়টা খুব কষ্টের তারপরও সে (দীঘি) ছোট থেকেই অভিনেত্রী আবার স্টারকিড। তিনটা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে আছে। সে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী, তাকে অবশ্যই সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত ছিল তার। সুবাহ আরও লেখেন- চলচ্চিত্রের প্রযোজক পরিচালক মানে সিনেমার বাবা মা, ওনারা যদি এইভাবে এই ভাষায় অভিনেত্রীদের নিয়ে কথা বলে তাহলে বিষয়টা খুবই দুঃখজনক এবং হতাশার। এইভাবে বডি শেমিং করা ঠিক হয়নি। আপনাদের সবার উচিত এই সব ফালতু মন মানসিকতার মানুষদের শিক্ষা দেওয়া। আমিও চলচ্চিত্রের একজন অংশ এবং আমিও একটা মেয়ে তাই বিষয়টি আমার খারাপ লেগেছে আর আমি পারসোনালি দিঘিকে অনেক পছন্দ করি। আমি কখনো কাউকে ছাড়ে কথা বলিনি এবং বলবও না আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে ওই ডিরেক্টরের কথাবার্তাগুলো। দিঘির জায়গায় হয়তো আমিও এ রকম বাজে ভাবে বডি সেভিং এর শিকার হতে পারি দুদিন পর! ওনার মতো ডিরেক্টর এর কাছে। দিঘির বাবা আমার ছবিতে আমার বাবা হয়েছিলেন অনেক ভালো মানুষ আর দিঘির মা অনেক নামকরা নায়িকা দোয়েল ছিলেন। দিঘি একটা অল্প বয়সের মা হারা মেয়ে।###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর রাঙাবালী উপজেলার শেষ প্রান্তের সমুদ্রের তীরে জেগে ওঠা চর হেয়ারে সূর্যাস্তের অপরূপ। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এবং প্রশাসনের উদ্যোগের অভাবে অবহেলিত রয়ে গেছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন পর্যটন স্পট। পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার শেষ প্রান্তে সমুদ্রের কোল ঘেঁষে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য নিয়ে জেগে ওঠা সম্ভাবনাময় একটি পর্যটন কেন্দ্রের নাম ‘সোনারচর’। পাশেই রয়েছে চর হেয়ার দ্বীপ ও জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত। সবুজ বনায়ন, পাখির কলরব, বন্যপ্রাণীর ঝাঁক, জেলেদের উচ্ছ্বাস আর সাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশি মিলে নয়নাভিরাম প্রকৃতি সৌন্দর্যে ভরপুর এ সব চরাঞ্চল। কিন্তু এ সব চরাঞ্চলে যাতায়াতের নেই কোন মাধ্যম। স্থানীয় একমাত্র ভরসা ইঞ্জিনচালিত নৌকা। কিন্তু তাও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। এছাড়া অসুস্থ রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নেই কোন হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি, বন ও চরাঞ্চলে প্রকৃতি সৌন্দর্যে ভরপুর থাকলেও কোন কাজে আসছে না বলে স্থানীয়রা জানান। তাই দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন চরে নিয়মিত নদী খননেন মাধ্যমে লঞ্চ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর দাবি তাদের।মোঃ আলী হোসেন হাওলাদার নামের চরমোন্তাজ গ্রামের এক বাসিন্দা ডেইলি তালাশকে বলেন, ‘আমার বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজের ৭ নম্বর ওয়ার্ড। সাগরে মাছ ধরা আমাদের প্রধান পেশা। তবে অনেকেই কৃষি কাজ করেন। কিন্তু সাগরের লবণ পানির কারণে জমিতে তেমন ফসল হয় না। এলাকা থেকে আগে ঢাকা আসার কোন লঞ্চ ছিল না। গলাচিপায় এসে লঞ্চে উঠতে হতো।একদিন আগেই সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকেলে ঢাকার লঞ্চ ধরতে হতো। এতে ঢাকা যেতেই দুইদিন চলে যায়। ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায় না। সাগরের মাছ পরিবহনে নেই তেমন ব্যবস্থা। এই এলাকায় অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে কিন্তু যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা নেই।’ চরাঞ্চল উন্নয়নে লঞ্চ ও স্পিডবোট সার্ভিস চালুর দাবি জানান তিনি। চর হেয়ারে রয়েছে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর উপজেলার সোনারচর ও চর হেয়ারে রয়েছে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। কিন্তু যাতায়াতের কোন মাধ্যম না থাকায় এই সৈকতে কোন পর্যটক ও দর্শনার্থী নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জেলে নৌকায় মাধ্যমে চরে যাতায়াত করেন। কিন্তু সন্ধ্যা নামার আগেই ফিরে আসতে হয় নৌকা না থাকার কারণে। এই চরে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার একর আয়তনের পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। বিশাল বনাঞ্চল, সমুদ্র তীরে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। এই সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয়ের দৃশ্য উপভোগ করা যায় বলে স্থানীয়রা জানান। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, নগর থেকে বহু দূরের এই সৈকতের সৌন্দর্য এখনও অনেকের কাছেই অজানা। সোনারচর ও চর হেয়ারের আকর্ষণ যে কোন মানুষকেই কাছে টানে। এখানে পা না ফেললে এটা বোঝার উপায় নেই বলে দর্শনার্থীর জানান। মোঃ জহুরুল আলম নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা থেকে আমরা ঘুরতে এসেছি। এই সমুদ্র সৈকতে একই স্থানে দাঁড়িয়ে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরূপ সৌন্দর্য। লাল কাঁকড়া দলের অসাধারণ শিল্পকর্ম। এখানে রয়েছে হরিণ, বুনো মহিষ, মেছো বাঘ, শূকর, ভোঁদড়সহ নানা প্রজাতির পশু-পাখি। শীত মৌসুমে স্থানীয় পাখির দলে যোগ দেয় হাজারো অতিথি পাখি। সাইবেরিয়ান হাঁস, সরাইল, গাঙচিলসহ নানা জাতের পাখির আগমন হয় এখানে। কিন্তু যাতায়াতের তেমন ব্যবস্থা না থাকার কারণে এই সৈকতের তেমন প্রচার নেই।’শুধু ইঞ্জিনচালিত নৌকাই যাতায়াতের মাধ্যম। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচরে রয়েছে অসংখ্য চ্যানেল। এসব চ্যানেলে পর্যটকরা ঘুরতে আসতে পারে। এ সব চরে একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যমে হলো ইঞ্জিনচালিত নৌকা (ট্রলার)। চ্যানেলের দু’পাশে একাধিক বনাঞ্চল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি চরের কোল ঘেঁষে অবস্থান মৌসুমি জেলেদের। শুকনো মৌসুমে নানা স্থান থেকে ব্যবসার জন্য এই চরটিতে আশ্রয় নেন। অগনিত জেলে। এসব দেখে মনে হবে এক অন্যরকম জগৎ।সোনারচরে স্বর্ণ না থাকলেও আছে সোনা রঙের বালু আর মৃদু বাতাসের নৃত্য। সকাল কিংবা শেষ বিকেলের রোদের আলো চরের বেলাভূমিতে পড়লে দূর থেকে পুরো দ্বীপটাকে সোনালি রঙের থালার মতো মনে হয়। বালুর ওপরে সূর্যের আলো পড়ে চোখের দৃষ্টিতে সোনারঙের আভা ছড়িয়ে যায়। মনে হবে দ্বীপটিতে যেন কাঁচা সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই দ্বীপটির নাম ‘সোনারচর’ রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।সোনারচরে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। জেলা শহর পটুয়াখালী থেকে গলাচিপা উপজেলায় পৌঁছাতে হবে দর্শনার্থীকে। সেখান থেকে আগুনমুখা নদী পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হবে রাঙ্গাবালী উপজেলায়। এরপরে উপজেলার গহীনখালী খেয়াঘাট থেকে বুড়াগৌরাঙ্গ নদী পাড়ি দিয়ে ট্রালারে যেতে হবে সোনারচর। এছাড়াও কুয়াকাটা থেকে সরাসরি ট্রলার অথবা স্পিডবোট নিয়ে যাতায়াত করা যায়। তবে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-চরমোন্তাজ রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ সার্ভিস শুরু হলে সহজে ঢাকা থেকে এই চরে যাতায়াত করা যাবে বলে স্থানীয়রা জানান। ১২ বছর পর চালু হচ্ছে ঢাকা-চরমোন্তাজ লঞ্চ সার্ভিস ॥ এ সব চরাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ ১২ বছর পর ঢাকা-চাঁদপুর-চরমোন্তাজ রুটে চালু হচ্ছে যাত্রীবাহী লঞ্চ সার্ভিস। ২০১০ সালে এই রুটে লঞ্চ চলাচল করতো। কিন্তু নদীর নাব্য সংকটের কারণে নৌ-পথটি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। এই রুটটি চালু হলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচর ও হেয়ারচর সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের যাতায়াতের সহজ বলে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।জানা গেছে, পদ্মা সেতু চালুর ফলে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের লঞ্চে যাত্রী সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাই লোকসানে পড়তে হচ্ছে লঞ্চ মালিকদের। এ সমস্যা সমাধানের নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় নৌ-পথের নতুন রুট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন চর এলাকায় যাত্রী ও পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য বিলাসবহুল লঞ্চ সার্ভিস চালু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।এর মধ্যে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-চাঁদপুর-চরমোন্তাজ রুটে চালু হবে নতুন লঞ্চ সার্ভিস কুয়াকাটা-১। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৩ টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এই লঞ্চ। দুটি কোম্পানির তিনটি লঞ্চ এই রুটে চলাচল করবে বলে বিআইডব্লিউটিএর সূত্র জানায়। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নৌ-ট্রাফিক) মোঃ রফিকুল ইসলাম ডেইলি তালাশকে বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় বরিশালে লঞ্চ যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। তাই লঞ্চগুলোতে যাত্রী সংকট সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। যেখানে কোন লঞ্চ ছিলনা। এছাড়া দুর্গম চরাঞ্চলে যাত্রী ও পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য বিলাসবহুল লঞ্চ সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। এর মধ্যে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-চরমোন্তাজ রুটে নতুন করে তিনটি লঞ্চের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।এ বিষয়ে কুয়াকাট-১ লঞ্চের মালিক আবদুস সালাম ডেইলি তালাশকে বলেন, প্রাথমিকভাবে তিনটি লঞ্চ দিয়ে এই সার্ভিসটি পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে প্রতিদিন ঢাকা থেকে একটি এবং চরমোন্তাজ থেকে একটি করে দুটি লঞ্চ চলবে। আর একটি লঞ্চ ঢাকার সদরঘাটে রাখা হবে। একদিন পর পর পরিবর্তন করে এই তিনটি লঞ্চ চলাচল করবে। যাত্রীদের চাহিদা আলোকে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হবে।###
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বাউফলে সরকারি চাল বাজারজাত করার সময় বাবা-ছেলে আটক।পটুয়াখালীর বাউফলে টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) সরকারি চাল অন্য একটি কোম্পানির বস্তায় ভর্তি করে বাজারজাতকালে দু’জনকে জরিমানা করা হয়েছে। তারা হলেন মোতাহার উদ্দিন (৬০) ও তার ছেলে আউয়াল(৩০)। স্থানীয়রা তাদের আটক করে, পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জরিমানা করে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে কালাইয়া বাজার গরুহাট সংলগ্ন নুরু মসজিদের সামনের একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন গোডাউনে মোতাহার ও তার ছেলে আউয়াল টিআর ও কাবিখার সরকারি চাল নুরজাহান নামের একটি চাল কোম্পানির বস্তায় ভরার সময় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি তাদের আটক করে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) খবর দেন। এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বায়েজেদুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে যাই এবং টিআর ও কাবিখার চাল নুরজাহান নামক একটি কোম্পানির বস্তায় ভরা অবস্থায় দেখতে পাই। এ অপরাধে তাদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করি এবং মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেই। বাউফল উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কমল দে বলেন, টিআর ও কাবিখার চাল বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই চাল কোনো কোম্পানির বস্তায় ভরে বাজারজাত করার সুযোগ নেই। ###
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি>>র্যাবের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ইয়াবাসহ র্যাবের হাতে ৪জন আটক হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বালিয়াদিঘি আব্দুলপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে, শিবগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর টিয়াকাঠি গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে মোঃ পলাশ (২৪), একই ইউনিয়নের বালিয়াদিঘী কলোনী পাড়ার মৃত হযরত আলীর ছেলে মোঃ ইউসুফ আলী(৩০), মৃত মনিরুল ইসলামের ছেলে মাঃ জসিম উদ্দিন (২৫) ও -সোনাপুরের মৃত এমাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ একরামুল হক (৪০)। শুক্রবার সকালে র্যাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহষ্পতিবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বালিয়াদিঘি আব্দুলপাড়া গ্রামে কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার রুহ-ফি-তাহমিন তৌকির এবং কোম্পানী উপ অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।###
গোলাপ হোসেন,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ২৫/জানু জয়পুরহাটে প্রেমিকাকে অপহরণ, সাবেক প্রেমিকসহ গ্রেফতার ৪জয়পুরহাটের সদরে এক যুবতীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক প্রেমিকসহ ৪ জনকে গ্রেফতারর করেছে র্যাব-৫।বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদরের পাঁচুরমোড় এলাকা হতে প্রাইভেটকার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-৫। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, লালমনিরহাট সদরের উপজেলার পঞ্চগ্রাম খন্ডিকরপাড়া এলাকার ফয়জার রহমানের ছেলে হোতা আব্দুল্লাহ আল মাসুম (২২), শিবরাম এলাকার মৃত আলম মিয়ার ছেলে ওবায়দুল ইসলাম (২৬), সাদেক নগর এলাকার মো. ইসলামের ছেলে ময়নুল হক (২৩), ও একই এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা (২২)। র্যাব জানায়, অপহরণকারীরা ভিকটিমকে অপহরণের উদ্দেশে লালমনিরহাট থেকে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে নিয়ে জয়পুরহাট আসে। এরপর চক্রের মূলহোতা ভিকটিমের সাবেক প্রেমিক ও তার তিন সহযোগী ভিকটিমকে জোরপূর্বক ভাড়া করা সেই প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলটি র্যাব ক্যাম্প হতে আনুমানিক ৪০০-৫০০ গজ দূরে অবস্থিত। এসময় জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ৬ জন দায়িত্বরত এফএস সদস্য পাম্পে বাইকের জ্বালানি তেল নিতে যাওয়ার সময় বিষয়টি লক্ষ করে এবং কোম্পানি অধিনায়ককে বিষয়টি অবহিত করলে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপহরণকারী চক্রের হোতাসহ ৪ সদস্যকে আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর মো. মোস্তফা জামান বলেন, চক্রের হোতাসহ ৪ সদস্যকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে যে, ভিকটিমকে বিয়ে করার উদ্দেশে তারা তাকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন লালমনিরহাটে। তাদের বিরুদ্ধে জয়পুরহাট জেলার সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।###
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি>>গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের উজানী পঞ্চিম পাড়া গ্রামে ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে চলছে অপচিকিৎসা। জটিল ও পুরাতন সব ধরনের রোগের চলছে কবিরাজি চিকিৎসা। বিভিন্ন এলাকার মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে ঝার ফুক ও নানান ধরনের কবিরাজি ফর্মুলা ঔষধে চলছে এ অপচিকিৎসা। এসব অপচিকিৎসায় রোগীরা জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও কবিরাজ বিকল্প ঠাকুর (বৈদ্য) এর দাবি তার এমন চিকিৎসায় অনেক রোগীকে সুস্থ করে তুলেছেন । তিনি এভাবে দশ থেকে পনেরো বছর চিকিৎসা দিয়ে আসছেন আন্ডার ম্যাক্টিক পাশ কবিরাজ বিকল্প বৈদ্য। তিনি রোগীদের যে ঔষধ ফরমুলা দিচ্ছেন তা মানবদেহে কতটুকু উপকার বা ক্ষতি হবে জানেন না এই কবিরাজ। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার গ্রামঞ্চল ও বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব রোগী চলে আসে এ ধরনের চিকিৎসা নিতে। যার ফলে প্রতিনিয়ত সহজ সরল সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে । সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মা কালী দেবীর প্রতিমা স্থাপন করে সেই দেবীর সামনে একটা চেয়ারে বসে থাকে এই কবিরাজ। কবিরাজের সামনে বসে থাকে রোগীরা ও রোগীদের সাথে থাকা লোকজন। একটা থালা রাখা থাকে কবিরাজের সামনে। সেই থালায় রেখে দেয়া হয় তাবিজ বিক্রির টাকা। অভিনভ পদ্ধতিতে কাগজে মুডরিয়ে টাকা রেখে দেয় কবিরাজ। সহজে বোঝার উপায় থাকে না কাগজে মোড়ানো কি। অবশেষে মোড়ানো কাগজ সন্দেহ হলে খুলে দেখা হয় তার মধ্যে পাঁচশত ও হাজার টাকার নোট রয়েছে। আরও দেখা যায়, একজন রোগীকে পুরাণ তেতুলে বিচি ও শুকনা মরিচ কাষার থালায় ঘষে খাওয়ার পরামর্শ দেয় করিরাজ বিকল্প বৈদ্য। তবে মানবদেহে কতটা উপকার তা বলতে পারেন না কবিরাজ বিকল্প বৈদ্য। নাম প্রকাশ না করার সর্থে এক রোগী বলেন, প্রথম সপ্তাহে ( মঙ্গল অথবা শনিবার) কবিরাজ যে রোগীদের চিকিৎসা দিবেন সেইদিন সেই রোগীকে তাবিজ না দিয়ে তার কাছ থেকে নির্ধারিত ফি , হাজত (৫শত, ১হাজার, ১৫শত) টাকা ও রোগীর নাম লিখে কাগজে মুড়িয়ে রেখে দেন। পরবর্তী সপ্তাহে সেই রোগীকে টাকার বিনিময়ে তাবিজ ব্যবহার করতে দেয় কবিরাজ। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রনজিৎ রায় বলেন,আমার পর পর তিনটি মেয়ে, একটা ছেলের আশায় বিকল্প কবিরাজের কাছে যাই। আমার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য কবিরাজি ওষুধ লিখে দেয় এবং তাবিজের কথা বলে ৭০২ টাকা ধার্য করে। তাবিজ না নিতে চাইলে আমাকে বিভিন্ন অভিশাপ দিতে থাকে এবং আমাকে হুমকি দেয়। আমি আমার সম্ভ্রব রক্ষা করতে ওখান থেকে চলে আসি। স্থানীয় লোকজন বলেন, দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগীরা একবার এখানে আসলে আর দ্বিতীয় বার তাদের এখানে আসতে দেখা যায় না। কবিরাজের বিষয়টি আমাদের কাছে বেশি ভালো মনে হয় না। তবে সাধারণ সহজ সরল মানুষ প্রতারণা শিকার হচ্ছে আমরা বুঝতে পারি। টাকা নেয়ার বিষয়টি কবিরাজের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চিকিৎসা করছি। মানুষ চিকিৎসায় সুস্থ হয় তাই আমার কাছে চিকিৎসা নিতে আসে। গেপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, এ ধরনের চিকিৎসাকে আমরা স্বাস্থ্যাকর বলতে পারিনা । বরং এটা অস্বাস্থ্যকর বলবো । এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবারে পেটের পিড়া থেকে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে। আমরা এই ঠিকানা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবো।###
তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ বিভিন্ন সময় চুরি যাওয়া ৪টি মটরসাইকেল ও চোরাই সিন্ডিকেটের ২ চোরকে গ্রেফতার করে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ১টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে এসআই তোহাকুল ইসলাম, তোজাম্মেল ইসলাম, এএসআই সাইফুল ইসলাম, রায়হান সরকার, জিয়াউর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পাকা রাস্তা থেকে চোরাই ৩ ডিসকভার ও ১ টি প্লাটিনা মোটরসাইকেলসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় অজ্ঞাতনাম আরও ৫-৬ জন চোরাই সিন্ডিকেটের সদস্য মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। গ্রেফতাররা হলেন, রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের দক্ষিণ দোহাজারী এলাকার গহির উদ্দিন (খুদি)’র ছেলে মোঃ হাসানুর আলী হাসান (২৫) ও দোহাজারীর কাফিরীয়াটারি গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে আরিফুর ইসলাম (২৩)। তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশ কর্তৃক বিশেষ অভিযানে একাধিক গরু চুরি মামলার আসামি মাহাবুল সিকদার সহ ৩জন চোর আটক হয়েছে। এসময় ৩টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৩ জানুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পটুয়াখালী লোহালিয়া নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ৩টি চোরাই গরু সহ মোঃ মাহাবুল সিকদার (৪৬), মোঃ কামাল হাওলাদার (৪০), মোঃ জসিম (৩৮) নামে ৩জন পেশাদার গরু চোরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ১নং আসামী মোঃ মাহাবুল সিকদার (৪৬), পিতা-ফয়জের আলী সিকদার, সাং-পূর্ব লক্ষীপুর, ৮নং ওয়ার্ড, দশমিনা ইউপি, থানা-দশমিনার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী থানা এবং দশমিনা থানায় ০৫টি গরু চুরির মামলা চলমান রয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।###
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোঃ আলমগীর হোসেন লেবু
যোগাযোগঃ- বি এস এস ভবন (৩য় তলা), ৪-দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০, ই-মেইল- dailytalash2015@gmail.com, মোবাইল-০১৭৩০৯২৭৯৬৯
Leave a Reply