ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শয়নের অনুসারীদের সম্মিলিত পক্ষ এবং ঢাবি সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরে হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমের কক্ষ (২০১) ভাঙচুর করা হয়। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে দশটায় শুরু হয়ে রাত দেড়টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতরা হলেন, সৈকতের অনুসারী হল ছাত্রলীগ নেতা ইমামুল হাসান, মাহমুদুল হাসান, পারভেজ রেদোয়ানুর, শাহরিয়ার হাসান কল্লোল, সাদমান রিসান, হাসিবুল হাসান শাহেদ। অন্যদিকে সম্মিলিত গ্রুপের তানজিন আলম, সাদেক হোসেন, সাব্বির হোসেন, ফিরোজ কবীর, ফুয়াদ বিন রায়হান, মো. জালাল মিয়া, সিয়াম হোসেন, কামরুল আহমেদ, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১৩টি আবাসিক হল রয়েছে। এসব হলে সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। হলগুলোতে বিভিন্ন পক্ষের ছাত্রলীগের নেতারা আসন ভাগাভাগি করে থাকেন। দেড় মাস আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাবি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর শীর্ষ চারজন নেতাকে কেন্দ্র করে হলগুলোতেও নতুন নতুন পক্ষ তৈরি হয়েছে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে নিয়মিতই দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে পক্ষগুলো। ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা জানান, হলের দক্ষিণ ভবনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকতের অনুসারীরা। অন্য তিন পক্ষের অনুসারীদের অভিযোগ, সৈকতের অনুসারীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় প্রতিনিয়তই তারা বিভিন্ন কক্ষে অন্য গ্রুপের অনুসারীদের সিট থেকে নামিয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে নিজেদের কর্মীদের সিটে তুলে দিচ্ছেন। তাই বাকি তিন গ্রুপের অনুসারীরা একত্র হয়ে সোমবার রাতে ৫০০৬ নম্বর রুমে সৈকতের গ্রুপের কর্মী সাব্বির অনিককে সিট থেকে নামিয়ে দেয়। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম সমাধানের চেষ্টা করলে তার কক্ষে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে সৈকতের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। হলের একাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয় সমকালের। তারা জানান, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে দুই পক্ষই তাদের কর্মীদের হলের নিচের তলায় নামিয়ে আনে। এ সময় হলের বিভিন্ন কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল থেকে সৈকতের অনুসারীরা এসে এ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ ওঠেছে। এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন নাঈম বলেন, বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে আমি একটি ‘হাস পার্টির’ আয়োজন করেছিলাম। রাত দেড়টার দিকে আমার কক্ষে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে চার নেতাকে জানাই। হল ছাত্রলীগের নেতা শাওন চৌধুরী, জিহাদুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ আসাদ, মাহিদুর রহমান বাঁধন ও সানজিদ হোসেন হলে সৈকতের গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। ঘটনার বিষয়ে সানজিদ হোসেন সমকালকে বলেন, ‘তারা পূর্বপরিকল্পিভাবে ৫০০৬ নং কক্ষে ঝামেলা শুরু করে। এরপর আমাদের অনুসারীরা সেখানে যায়। পরে আমরা গিয়ে দেখি, আমাদের ছোট ভাইদের মারধর করা হয়েছে, কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে আমাদের কয়েকজন মূল ভবনে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে। তারা সমাধানে না এসে আমাদের অনুসারীকে মারধর করে সিট ফেলে নামিয়ে দেওয়া হয়। তবে আমরা নাঈম ভাইয়ের কক্ষ ভাঙচুর করিনি।’ অন্যদিকে হল ছাত্রলীগের নেতা ফিরোজ কবির, মাসুদ রানা, শাফিনুর রহমান, ফয়সাল হক জামি ও জাহিদ হাসান রুবেল হলে শেখ ইনানের গ্রুপের এবং রবিউল ইসলাম রবি, হুমায়ুন কবির সবুজ এবং মাকফুর রহমান সাদ্দাম হোসেনের গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। জাহিদ হাসান রুবেল, রবিউল ইসলাম রবি ও হলে শয়নের অনুসারী মাইনুদ্দিন চৌধুরী বাপ্পীর সঙ্গে কথা হয় সমকালের। তারা বলেন, নতুন কমিটির পর সৈকতের অনুসারীরা ৩০১০ নম্বর কক্ষ থেকে আমাদের ছোট ভাইকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আরও কয়েকটি কক্ষে একই ঘটনা ঘটেছে। তাই তারা সমাধান করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ওপর হামলা করা হয়। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সমকালকে বলেন, কেউ যদি বিভাজনের রাজনীতি করে, সাংগঠনিক নিয়ম পরিপন্থীকাজে জড়িত হয়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ থাকবে, রাতের সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে যেন একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক । তানভীর হাসান সৈকত বলেন, সংঘর্ষে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মুহাম্মদ মাসুম বলেন, আমরা আবাসিক শিক্ষকদের বৈঠক ডেকেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, রাতেই বিষয়টি জেনেছি। প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা বিষয়টি দেখবেন।
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দুমকিতে আজিজ আহম্মেদ কলেজ কর্তৃক উপজেলার অন্যতম শিক্ষানুরাগী, সমাজসংস্কারক ও দান বীর মরহুম আজিজ উদ্দিন আহম্মেদ পরিবারের প্রথমবারের মত মিলন মেলা ও তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ৬ ফেব্রুয়ারী সকালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত আজিজ আহম্মেদ কলেজ অডিটোরিয়ামে গভর্ণিং বডির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডক্টর হারুন-অর-রশীদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অধ্যক্ষ মোঃ আহসানুল হক এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতার মেঝ ছেলে আলহাজ্ব এ্যাড,খাতিব আহমেদ কাম্বার এর স্ত্রী ও সাবেরা আজিজ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নাসরীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আকন সেলিম, কলেজ প্রতিষ্ঠাতার দৌহিত্র তাওকীর আহমেদ শাবাব,পটুয়াখালী জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, মোঃ জসিম উদ্দিন হাওলাদার,মুরাদিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মাহফুজ খান, প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের অসংখ্য সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষক-কর্মচারীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মরহুম আজিজ উদ্দিন আহম্মেদ আহম্মেদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এতিমখানাসহ ৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করে স্মৃতিচারণ করেন। অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন দোয়া ও মোনাজাত করে তাঁর পরিবারের সকল মৃত্যু সদস্যের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও জীবিত সকলের শান্তি কামনা করেন।
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি>>১৩১ বছর পার হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। পটুয়াখালী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৮৯২ সালে। ১৩১ বছর পার হলেও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জায়গা ঠিক করতে পারেনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে আবর্জনা। এতে দুর্গন্ধে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।পৌরসভার বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নদীর পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে আসছিল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এসব ময়লা জোয়ারের পানিতে ভেসে যেতো নদীতে। ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নদীর তীরে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বাধা দেয় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এরপর থেকে পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের পাশে পটুয়াখালী টোলপ্লাজার পূর্ব পাশের সড়কের খোলা জায়গায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে পুরো সড়ক ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ওই এলাকার মানুষজন। সরেজমিনে দেখা গেছে, পটুয়াখালী-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের পটুয়াখালী সেতুর পূর্ব পাশে টোলপ্লাজার পেছনে বিকল্প সড়কের ওপরে ফেলা ময়লা ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। সেই ভাগাড়ে জ্বলছে আগুন। ময়লা- আবর্জনায় ঢেকে গেছে সড়কের অর্ধেক। বাতাসে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা। বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব। সবাই নাক চেপে ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চান বাসিন্দারা।ওই এলাকার বাসিন্দা আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘পৌর শহরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তবে ময়লার ভাগাড়টি সব উন্নয়নকে ফিকে করে দিয়েছে। ময়লার দুর্গন্ধে এলাকায় থাকা যায় না। কবে মুক্তি মিলবে, তাও জানি না।’স্থানীয় অটোরিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুর্গন্ধের কারণে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। যাত্রী নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে আশপাশের বাসাবাড়িতেও বসবাস করা কষ্টকর। ’অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে হচ্ছে জানিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে হয়তো বাসাবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে।’পৌরসভার সব ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে জানিয়ে একই এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, ‘আগে রাস্তার পাশে ফেললেও এখন রাস্তার ওপরে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। দুর্গন্ধের কারণে আমার বাসা থেকে ভাড়াটিয়ারা চলে গেছে। এই এলাকার সব বাসার অবস্থা একই। কোনও ভাড়াটিয়া আসতে চায় না। কিন্তু আমরা স্থানীয় বাসিন্দারা কোথায় যাবো? আমাদের বাধ্য হয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে। এখান থেকে ময়লার ভাগাড় না সরালে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়বো। ময়লার ভাগাড় সরাতে মেয়রকে অনেকবার বলেছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি, আদৌ হবে কিনা জানি না।’১৩১ বছরের পুরনো পৌর শহরে ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থান নেই বলে স্বীকার করেছেন পৌরসভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শাখার পরিদর্শক মো. ফিরোজ সিকদার। তিনি বলেন, ‘আগে নদীর কূলসহ বিভিন্ন স্থানে শহরের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হতো। বর্তমান মেয়রের নির্দেশনায় শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আগে শহরে দুই-তিন টন ময়লা উৎপাদন হতো। বর্তমানে গৃহস্থালির বর্জ্যসহ প্রতিদিন প্রায় ১৫ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। যা অপসারণ ও ধ্বংস করা চ্যালেঞ্জিং।’ এই পৌর শহর অনেক ঘনবসতিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে সেটি অপেক্ষাকৃত ফাঁকা এলাকা। শহরের প্রবেশপথ হলেও বাধ্য হয়ে স্থানটি বর্জ্য অপসারণের জন্য সাময়িক নির্ধারণ করা হয়েছে। ডাম্পিং স্টেশন হলে শহরবাসীর কষ্ট দূর হবে।’তবে এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলে নগরবাসীকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ। আগামী তিন মাসের মধ্যে ডাম্পিং স্টেশনের কাজ শেষ করে সেখানে বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছেন তিনি। মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আগে পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। একটি শহর প্রতিষ্ঠার আগে ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে, তা নির্ধারণ করা উচিত ছিল। কিন্তু এতদিনেও এই কথা চিন্তা করেনি কেউ। অধিকাংশ পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র প্রায় একই। সবাই পৌর এলাকার বর্জ্য সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন স্থানে ফেলে। অনেক পৌরসভা আবার এসব বর্জ্যে আগুন দিয়ে কমানোর চেষ্টা করছে। পুরো দেশে মাত্র কয়েকটি পৌরসভায় ডাম্পিং স্টেশন আছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। লোহালিয়া ইউনিয়নে সাত একর জমি অধিগ্রহণ করেছি। সেখানে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের কাজ চলমান। লোহালিয়া নদীতে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ শেষ হলেই ডাম্পিং স্টেশন ব্যবহার শুরু করতে পারবো আমরা। বাউফল এবং গলাচিপা পৌরসভাও তাদের ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলতে পারবে। আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে ডাম্পিং স্টেশনের কাজ শেষ হবে। তখন ভোগান্তি কমে যাবে।’###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পরিবারের খাবার জোটাতে ইদ্রিস আলীকে প্রতিদিন যেতে হয় ময়লার স্তুপে। স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে ইদ্রিস আলীর (৫৫) পরিবার। তাদের চার জনের খাবার জোটাতে তাকে প্রতিদিন যেতে হয় ময়লা-আবর্জনার স্তুপে। তিনি প্রতিদিন সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়লার স্তুপ থেকে প্লাস্টিকের বোতল, লোহাসহ নানা ধরণের বস্তু খুঁজে বেড়ান। তারপর খুঁজে পাওয়া লোহার রড ও প্লাস্টিকের বোতলসহ অন্যান্য সামগ্রী ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেন। এ থেকে তার প্রতিদিনের আয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা। ইদ্রিস আলীর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে। পৌরসভার বালিকা বিদ্যালয় ও বাজার রোডের সংযোগ সড়কে ফেলে রাখা প্রতিদিনের ময়লার স্তুপ থেকে চলছে তার পরিবার। ইদ্রিস আলী আক্ষেপ করে বলেন, সরকার বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ দিলেও আমার মতো হতভাগার ভাগ্যে কোনটাই জোটেনি। চেয়ারম্যান মেম্বারদের সঙ্গে যাদের সখ্যতা আছে তারাই বার বার চাল, ডাল, তেল ও টাকা পেয়ে থাকে। ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, আমি গরিব ময়লা ছানি, আমাকে চোখে দেখে না কেউ। বাউফল পৌসভার পরিচ্ছন্নকর্মী সেলিম বলেন, প্রতিদিন পৌরসভার বিভিন্নস্থান থেকে আনা ময়লা থেকে ইদ্রিস ভাই খুঁজে পুরানো জিনিসপত্র নিয়ে থাকে। দেখেছি প্রতিদিন এভাবে কুড়াইয়া আনে। তার কোনো অসুখ-বিসুখ দেখিনি। আল্লাহর কী লিলা খেলা, বড়লোকেরা বাসি খাবার খায় না। লোকটা গরীব মানুষ, বড়লোকের ডাস্টবিনে ফেলে রাখা খাবার তুলে নিয়ে খায় অথচ তার কিছু হয় না। এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম মহসিন বলেন, আমি মাত্র কয়েক মাস হলো নির্বাচিত হয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ###
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি>>পটুয়াখালীর দুমকীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম প্রিন্স। ১৬ জানুয়ারী সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগম কর্তৃক দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মিথ্যা চাঁদাদাবি মামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম প্রিন্স অভিযোগ করেন, ফেসবুকের একটি ¯ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগমের ছেলে আবু নাসের মো: সফিউল্লার নেতৃত্বে বিএনপি ও ছাত্রদলের ৭/৮ জন ক্যাডার গত বছর ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসের জয়বাংলা চত্তরে হামলা চালিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা ছাত্রলীগের আরও একাধিক সহকর্মীকেও মারধর করে। খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদারের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতাকর্মীরা খবর পেয়ে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এঘটনায় আহত রাব্বিকুল ইসলাম বাদি হয়ে অভিযুক্ত আবু নাসের মো: সফিউল্লাহ ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে ওইদিন রাতেই দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। দুমকি থানার মামলা নং-০১, তাং ৩০/১২/২২। এ মামলার দায় এড়াতে এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই মামলার প্রধান আসামী আবু নাসের মো: সফিউল্লার মা নাসিমা বেগম গত ১৫ জানুয়ারি আমাকেসহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যে চাঁদা দাবির সাজানো মামলা করেছেন। যার আদৌ কোন সত্যতা নেই। এমন অসত্য, ভিত্তিহীন, হয়রানিমূলক সাজানো মামলা দিয়ে আ’লীগ ও ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন। মামলার সত্যতার বিষয়ে নাসিমা বেগম বলেন, ভিডিও ফুটেজসহ প্রমানাদি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সবুজ শিকদারসহ অন্যান্য শীর্ষনেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।###
গোলাপ হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধি>>>জয়পুরহাট প্রায় তিন শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নিকট শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল দশটায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা পুলিশের আয়োজনে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার নুরে আলম কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আফসার আলীর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সভাপতি সাজ্জাদ আহমেদ ময়না, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মো. বসুনিয়া সহ মুক্তিযুদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। ###
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার চাওচা পূর্বপাড়া গ্রামের ওয়াদুত খান হত্যা মামলায় তিন জনের জাবজ্জীবন ও এক জনের ৬ মাসের কারাদন্ডের রায় দিয়েছে আজ আদালত।
আজ বুধবার (১০ই আগষ্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো: আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেয়।
জাবজ্জীবন দন্ডপ্রপ্ত আসামীরা হলেন একই গ্রামের মৃত হোসেন মোল্যার ছেলে হায়দার মোল্যা, নুর মোহাম্মদ মোর্যার ছেলে মো: ইউনুছ মোল্যা ও হিটলার মোল্যা এবং ৬ মাসের কারাদন্ডপ্রপ্ত আসামী হলেন বাদশা মোল্যার ছেলে সাগর মোল্যা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৬ সালের ৮জুলাই বাদীর বসত বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আসামীগণ ওয়াদুত খানকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাক্তক জখম করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াদুত খান মারা যায়। দীর্ঘ ৬বছর পর মামলার নথি পর্যালচনা করে আজ মামলার রায় দেয় আদালত। রায় পেয়ে সন্তষ্টি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী। ###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ চার বছরের উন্নয়নের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান। রোববার বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়া পৌর শহরের শহীদ শেখ কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্সে চার বছরের উন্নয়নের কর্মকাণ্ড নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সংসদ সদস্য মোঃ মহিববুর রহমান। রোববার বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়া পৌর শহরের শহীদ শেখ কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্সে। কলাপাড়া উপজেলাকে জেলা হিসেবে ঘোষণার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ মহিববুর রহমান। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়া পৌর শহরের শহীদ শেখ কামাল স্মৃতি কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা জানান।সংসদ সদস্য মোঃ মহিববুর রহমান বলেন, দক্ষিণ জনপদে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কলাপাড়া উপজেলা। এ উপজেলাকে প্রশাসনিক জেলা হিসেবে ঘোষণা, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ভাঙন রোধ, রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নকে পৌরসভায় রূপান্তর ও মহিপুর থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।কলাপাড়ায় প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে মহিববুর রহমান বলেন, উপজেলার চাকামইয়া ও ধুলাসার ইউনিয়নে দুটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বিমানবন্দরের জন্য জায়গা চিহ্নিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত একটি দেশের কোম্পানিকে কুয়াকাটা সৈকত সংরক্ষণ ও এর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে সেই দেশের রাষ্ট্রদূত আমাদের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলসহ কুয়াকাটা সৈকত এলাকা পরিদর্শন করবেন। সবকিছু ঠিক থাকলে কুয়াকাটা সৈকতের দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধান হবে।’সংবাদ সম্মেলনে ‘বঙ্গবন্ধু–কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের মহাসড়কে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা এবং মহিপুর থানা’ শিরোনামে একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মূলত এ প্রকাশনার মাধ্যমে চার বছরে উপকূলের এ জনপদে সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান যেসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছেন, তার বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার। সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দিন, রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল বারেক মোল্লা, কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসীম প্রমুখ।###
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলা বিএনপি’র আয়োজনে বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত। গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির ১০ দফা দাবি ও বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর দাবি এবং ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩১ জানুয়ারী মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় পটুয়াখালীর বধুয়া কমিউনিটি সেন্ট্রারে জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবদুর রশিদ চুন্নু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপির বরিশাল’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসাবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান মৃধা, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, দুমকি উপজেলা বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান, মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন নান্নু, জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ারা শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রুমা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মশিউর রহমান মিলন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শিবলু খান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাহিদুর রহমান বাবু খান, জেলা কৃষক দলে সভাপতি জহিরুল ইসলাম ইভান, জেলা তাতী দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাহিন, জেলা মৎস্য দলের সভাপতি ভিপি শাহিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বাশার উজ্জ্বলসহ জেলা বিএনপির, উপজেলা বিএনপির নের্তৃবৃন্দ । এ সময় বক্তৃতারা ৪ ফেব্রুয়ারিতে বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য সকল নেতা- কর্মীদেরকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।###
গোলাপ হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ২৮/জানু,২৩ জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র ত্রি-বাষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৮ জানুয়ারি শনিবার বেলা ১১টায় ক্ষেতলাল উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আয়োজনে থানার পশ্চিম পার্শ্বে সূর্যবান গ্রামের মাঠে পরিত্যক্ত জমিতে এ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক খালেদুল মাসুদ আনঞ্জুমান এর সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক নাফিউল হাদী মিঠুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জয়পুরহাট জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শামসুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম- আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, যুগ্ম- আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, জেলা মহিলা দলের সাধরণ সম্পাদক জায়েদা কামাল। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৈমুর রেজা, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শামস মতিসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ওই সম্মেলনে উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগামী তিন বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটির আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলজার হোসেন। এসময় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে উপজেলা বিএনপি’র নবনির্বাচিত সভাপতি খালেদুল মাসুদ আনঞ্জুমান , সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থ ও আব্বাস আলী নির্বাচিত হয়েছে। এবং পৌর বিএনপি’র নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল আলীম, সাধারণ সম্পাদক নাফিউল হাদী মিঠু ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছে। এসময় জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন। জানা গেছে, আনোয়ার হাওলাদার পটুয়াখার মহিপুর থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি পদে থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে তিনি ভোটের আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমানের পক্ষে নির্বাচনের মাঠে কাজ করেন। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনোয়ার হওলাদার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ সময় নৌকার প্রার্থী কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লাকে হারিয়ে সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন আনোয়ার হাওলাদার। এরপর থেকেই কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লার সঙ্গে নির্বাচনী বিরোধ ক্রমেই রাজনৈতিক বিরোধে রূপ নিতে থাকে।আওয়ামী লীগে যোগদান প্রসঙ্গে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার দলে যোগ দিয়ে কুয়াকাটাবাসীর উন্নয়নে কাজ করাই আমার লক্ষ্য। আওয়ামী লীগে যোগদানকালে অন্যান্যের মধ্যে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ গোলাম ফারুক, গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মো. হারিচুর রহমান, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ বারী আজাদ, কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মোঃ মনির শরিফ, কুয়াকাটা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ, কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সগির মোল্লা, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি আব্দুল রব হাওলাদার (মাঝি), কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল হক হাওলাদার (মাঝি), কুয়াকাটা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন পহলান, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ আবদুর রহিম, কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।###
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি>>গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ৬ ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহনে ইচ্ছুক প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা প্রদান শুরু করেছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদারের কাছে প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে যার যার জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদকের কাছে দূর্গাপুর ইউনিয়নের মনোনয়ন পেতে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ) শেখ মফিজুর রহমান টুটুল। উল্লেখ্য, আগামী ১৬ই মার্চ নির্বচনের তারিখ ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন । প্রাথীরা এখন থেকেই নিজ নিজ এলাকায় তাদের প্রচারনা শুরু করে দিয়েছেন।###
অভিনেতা ও নির্দেশক আবদুল আজিজ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত শনিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কাকরাইলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) নেওয়া হয় অভিনেতাকে। বর্তমানে সেখানেই সিসিইউতে চিকিৎসাধীন তিনি। এবিষয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বলেন, আজিজ ভাই শিল্পকলার মাঠে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানেই হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসকেরা জানান, তার হার্টে গুরুতর অ্যাটাক হয়েছে। একই সঙ্গে ফুসফুসে পানি জমেছে। এখন জরুরিভাবে এনজিওগ্রাম করতে হবে। বেতার নাটক দিয়ে আবদুল আজিজের মিডিয়ায় পথচলা শুরু হয়। ১৯৬৪ সালে তিনি বেতারনাটকে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেন। দীর্ঘ ৬ দশকের ক্যারিয়ারে তিনি শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বেতার নাটকের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে। নাটক সিনেমায় তাকে নিয়মিত দেখা না গেলেও নিয়মিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে দেখা যায়।
ভারতের বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী বাণী জয়রাম মারা গেছেন। শনিবার চেন্নাইতে নিজের বাড়িতে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি ১৯টি ভাষায় প্রায় ১০ হাজার গান গেয়েছেন। এবার বাণী জয়রাম পদ্ম বিভূষণ সম্মান পেয়েছেন। তার অত্যন্ত জনপ্রিয় হিন্দি গান হলো বোলে রে পাপিহরা। বাড়িতে তিনি একাই থাকতেন। তার স্বামী আগেই মারা গেছেন। বাণীর কোনো সন্তান ছিল না। গৃহপরিচারিকা জানান, প্রতিদিনের মতো এদিনও তিনি কাজ করতে বাড়ি আসেন। কিন্তু বারবার বেল বাজালেও দরজা খোলা হয়নি। পরে তিনি শিল্পীর আত্মীয়স্বজনকে খবর দেন। তারা পুলিশকে জানান। আত্মীয়দের উপস্থিতিতে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে, তিনি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মালারকোডি প্রায় ১০ বছর ধরে বাণী জয়রামের বাড়িতে কাজ করছেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে তার। আচমকা পড়ে গিয়ে কপালে চোট পেতে পারেন।
নবম ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের (ডিআইএমএফএফ) সমাপনী আসরের পর্দা নামল। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারে স্টার সিনেপ্লেক্সে এর আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী বক্তৃতায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) উপাচার্য প্রফেসর ইমরান রহমান বলেন, ডিআইএমএফএফ খুব ভালো কাজ করছে এবং এরকম সুন্দর একটি উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে গর্বিত করছে। পরে পুরো হল ভর্তি উৎসুক জনতা নিয়ে দ্বিতীয় দিনের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অভিনেতা ও এশিয়াটিক ইএক্সপির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইরেশ যাকের। তিনি বলেন, মোবাইল ফোন হোক কিংবা ক্যামেরা, গল্প বলার জন্য ডিভাইসের ওপর ডিপেন্ড না করার এই প্রচেষ্টা অনেক ভালো লেগেছে। এরপর প্রফেসর ইমরান রহমান ও প্রফেসর জুড উইলিয়াম হেনিলো ক্রেস্ট তুলে দেন উৎসবের স্পন্সর এবং প্রধান অতিথিকে। সাথে প্রধান অতিথি ইরেশ যাকের ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর সাম্বিতুল ইসলামকে ক্রেস্ট তুলে দেন। ডিআইএমএফএফ বেস্ট ফিল্ম আওয়ার্ড পায় রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে আসা গ্লেব লেসচেঙ্কোর ‘দ্য ম্যান অন দ্য চেয়ার’, সিনেমাস্কোপ ফিল্ম আওয়ার্ড পান পাকিস্তান থেকে আসা ইরফান নুর কে-এর ‘দ্য ল্যান্ড অব মাই ফোরফাদার্স’, ইউল্যাব ইয়াং ফিল্মমেকার আওয়ার্ড পান বাংলাদেশের শাহিনুর আক্তারের চলচ্চিত্র ‘শিক্ষা এটিএম’, এমএসজে বেস্ট মোজো স্টোরি অ্যাওয়ার্ড পায় বাংলাদেশের ‘স্টোরি অ্যান্ড আননোন’ এবং ডিআইএমএফএফ বেস্ট ভার্টিকাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পায় বাংলাদেশের আসিফ উল ইসলামের ‘ফেস টু ফেস’। বিশ্বের ২৫টি দেশ থেকে মোট ১৬৩টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল উৎসবে। এতে বাংলাদেশ তিনটি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের আসর শেষে ধন্যবাদ জানান ডিআইএমএফএফর ফেস্টিভাল উপদেষ্টা সৈয়দা সাদিয়া মেহজাবিন। এ বছর ডিআইএমএফএফর ডকুমেন্টারি পার্টনার হিসেবে ছিল ফিল্মিজম। ওয়্যারড্রোব পার্টনার ব্ল্যাকিস্টিক এবং ফুড পার্টনার চাউ-ম্যান, ফেস্টিভ্যাল পার্টনার মিনা। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ঢাকা পোস্ট, অ্যাওয়ার্ড পার্টনার হিসেবে এসএকেপিডিএল, পাবলিক রিলেশন পার্টনার ব্র্যান্ডস্মিথ আইএমসিএল এবং উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই স্টার সিনেপ্লেক্স ছিল। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব।
গত ১৯ জানুয়ারি বিয়ে করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুশা চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের পরেই ১৩ বছরের অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নিচ্ছেন অভিনেত্রী। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই বিদেশে উড়ে যাবেন তিনি। সেখানেই ঘর বাঁধবেন। সুতরাং অভিনেত্রীর নতুন ইনিংসের সূচনায় একদিকে যেমন খুশি ভক্তরা, তেমনি মন খারাপও তাদের। কারণ বিয়ের আগেই রুশা জানিয়েছিলেন, অভিনয় ক্যারিয়ারে আপাতত ইতি টানছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনই তাঁর প্রায়রিটি লিস্টে এক নম্বরে। তবে রুশার বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসামাত্রই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় খিল্লি, কেননা অভিনেত্রীর উচ্চতার তুলনায় খানিকটা খাটো তাঁর স্বামী। অভিনেত্রীর ভাই বলে সম্বোধন করেছেন অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী বরের গলায় মালা পরিয়েছেন রুশা। যদিও অনুরণ কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন কিন্তু তাঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরে। রিসেপশনের পরের দিনই ছিল রুশার জন্মদিন, তাই বউভাতের রাতেই বাড়ির অতিথিদের সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছেন নায়িকা। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যে আবারও সেলিব্রেশন মুডে নবদম্পতি। উপলক্ষ বিয়ের পর প্রথম ভাইয়ের জন্মদিন। তাই বরকে আর পুরো পরিবারকে পাশে নিয়েই জন্মদিন উদযাপন করলেন রুশা। বিয়ের পর বিতর্কে জড়ালেও কোনো কিছুতেই প্রতিক্রিয়া জানাননি অভিনেত্রী। বরং স্বামীর সঙ্গে মাঝরাতেই কেক কেটে নিজের জন্মদিন উদযাপন করলেন নায়িকা।
শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত বিতর্কিত সিনেমা ‘পাঠান’। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এ সিনেমা। ২০ জানুয়ারি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও তা শুরু হয় ১৮ জানুয়ারি থেকে। আর প্রথম দিনেই সিনেমাটির অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে। বক্স অফিস বিশ্লেষক অতুল মোহন এক টুইটে জানিয়েছেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে মোট ৯০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে পিভিআর: ৩৫ হাজার, আইএনওএক্স: ৩০ হাজার ও সিনেপোলিস: ২৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। টিকিট বিক্রির পরিসংখ্যান ১৮ জানুয়ারি রাত ৯টা পর্যন্ত। হিন্দুস্তান টাইমসকে অতুল মোহন বলেন, ‘পরিসংখ্যান বলছে যদি অগ্রিম বুকিংয়ের প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রি হয়, তাহলে মুক্তির আগের দিন এই বিক্রির পরিমাণ শীর্ষে ওঠে যাবে। তাই নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এটা সিনেমার জন্য ভালো লক্ষণ। সিনেপোলিস, পিভিআর এবং আইএনওএক্স-এর মতো হলগুলো ‘পাঠান’ সিনেমা পাঁচটির মধ্যে চারটি স্ক্রিনে দিয়েছে। আরেক বক্স অফিস বিশ্লেষক তরন আদর্শ এক টুইটে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাঠান সিনেমার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার। যার মধ্যে পিভিআর: ৫১ হাজার, আইএনওএক্স: ৩৮ হাজার ৫০০ ও সিনেপোলিস: ২৭ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেছের সুনামি লোডিং। শুক্রবার থেকে টিকিট বিক্রি পুরোদমে শুরু হবে। বক্স অফিস বিশ্লেষক অক্ষয় রাঠি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন— ‘‘প্রথম দিনে ‘পাঠান’ সিনেমা আয় করবে ৩৫ কোটি রুপি। বুধবার (২৫ জানুয়ারি, মুক্তির দিন) কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও এটি বড় প্রাপ্তি। আমার বিশ্বাস, ২৬ জানুয়ারি সিনেমাটি ৪৫ কোটি রুপি আয় করবে।’###
আঃ মজিদ খান,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়খালী জেলার বাউফল উপজেলার মমিনুপর চরের তলদেশ থেকে বোম ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে একটি বালুখেকো চক্র। ওই চক্রের প্রধান হোতা হচ্ছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য। তাঁর নাম মোঃ শাহজাহান গাজী। তিনি উপজেলার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর মমিনপুর) ইউপি সদস্য। ওই বালু খেকো চক্রের অপর সদস্যরা হলেন মেম্বারের আপন দুই ভাই ও এক ভাইর ছেলে। অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলনের কারণে চরের শুরু হয়েছে ভাঙন। হুমকিতে পড়েছে ফসলি জমি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য মোঃ শাহজাহান গাজী ও তাঁর ভাই মোঃ কাশেম গাজী, মোঃ আফজাল গাজী ও ভাইর ছেলে রাব্বী গাজীসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ কেশবপুরের মমিনপুর এলাকায় অবৈধ বালুর ব্যবসা করছেন। চক্রটি মমিনপুরের চরাঞ্চল, খাল-বিল, পুকুর ও ডোবার তলদেশ থেকে নিষিদ্ধ বোম ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। ওই বালু স্থানীয় বসতবাড়ি নির্মাণ, নিচু জমি ভরাট ও রাস্তা নির্মাণ কাজে চড়া দামে বিক্রি করেন। অবৈধ বালু বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে চলে গেছেন মেম্বার পরিবার। মমিনপুর ও বরিশালে তাদের রয়েছে আলিশান বাড়ি। এছাড়াও বরিশাল ও এলাকায় গড়ে তুলেন একাধিক ব্যবসা বানিজ্য। সরেজমিন কেশবপুরের উত্তর মমিনপুর চরে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার দিয়ে চর কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলনকৃত বালু পাইপের মাধ্যমে পাশের একটি ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজীর ভাই আফজাল গাজী ও ভাইপো রাব্বী সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বলেন, ছবি তুলে নিউজ করলেও কিছু হবে না।এদিকে মমিনপুর চরের ছোট খাল থেকে বালু উত্তোলন করায় চরে ভাঙন শুরু হয়েছে। হুমকিতে পড়েছে ফসলি জমি। তবে ওই প্রভাবশালী মেম্বার পরিবারের ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। স্থানীয় এক কৃষক বলেন,‘ মেম্বার ও তার ভাইয়েরা মেশিন দিয়া বালু তোলে। আমাগো জমি নষ্ট হয়। হ্যার পরেও কিছু বলতে পারছি না। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয় অস্বীকার করেন ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজী। তিনি বলেন, আমি এর সাথে জড়িত না। আমার ভাই কাশেম গাজী ও তার ছেলে রাব্বী এ বালুর ব্যবসা করে। সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টাও করেন ওই ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজী। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন ,‘ অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’###
গোলাপ হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ০১/ফেব্রুয়ারি,২৩ স্কুল চলাকালে ১০ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ‘প্রেমের প্রস্তাব’ দেয়ার ঘটনায় স্কুলের এক সহকারি শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে এলাকাবাসী। ওই ছাত্রীর মুখে ঘটনার বিবরণ শুনে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মারপিট করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে আক্কেলপুর রাইকালি উচ্চ বিদয়লয়ে৷ অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম আব্দুস সালাম মানিক বুধবার ১ ফেব্রুয়ারি গ্রামের মানুষ ও অভিভাবকরা ওই শিক্ষককে আটকে রেখে মারধোর করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। বর্তমানে অভিযুক্ত শিক্ষক শুকৌশলে পালিয়ে যান৷ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ” ওনারা তো পড়াতে এসেছেন। গ্রামে এত ছোট ছোট ছেলেমেয়ে রয়েছে। ওনার ঘরেও তো মহিলারা রয়েছেন। বাচ্চা মেয়েদের এসব কী ধরণের আচরণ? আমরা ওনার শাস্তি চাইছি। ৩ সদস্যের কমিটি গঠন, করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে৷ উনি যেন এই স্কুলে আর পড়াতে না আসেন, সেটা আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।” রাইকালি উচ্চ বিদ্যলয়ে প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেনের মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি৷আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ঘটনা শুনেছি আমরা এখনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷###
জয়পুরহাট প্রতিনিধি>> ৩১/২৩ জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় চাচার হাতে ভাতিজা খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউনিয়নের ইকরগাড়া গ্রামে আজ মঙ্গলবার এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মিলন (২৭)। নিহত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ব্যক্তির যেঠো আবু বক্কর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাতিজা মিলনের বাবা আঃ ছাত্তারের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই প্রতিপক্ষ আঃ কাদের আঃ ছাত্তরকে পিটিয়ে মেরেছে ১৮ বছর পূর্বে আজ তার ছেলেকেও মারলেো গত কাল সোমবার ৩০ জানুয়ারী সকাল ৯ টায় জমি নিয়ে কথা কাটা কাটির এক পার্যে মিলনকে ধাবরিয়ে নিয়ে আঃ কাদের সহিদুল ইালাম আফজাল হোসেন আওলাদ হোসেন সাজাদুল ইসলাম এমদাদুল হোসেন বাবু এরা পিটিয়ে মরেছে৷৷ এ সময় তাঁর ভাতিজা তাঁকে বাধা দেন। এ নিয়ে আঃ কাদের তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ভাতিজা মিলনকে আঃ কাদের সহ কয়েকজন মারধর করেন। গুরুতরভাবে আহতে হলে হাসপাতালে ভর্তি হন এতে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসা ধিন অবস্থায় আজ তাঁর মৃত্যু হয়। ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিবুল ইসলাম জানান আমরা এখনো অভিযোগ পাইনি ঘটনা শুনেছি তদন্ত চলছে৷###
কাওছার হামিদ,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)>>২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ভিজিডি কার্ডের আওতায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের সুবিধাভুগিদের জমাকৃত ৪৮০০/-চার হাজার আটশত টাকার থেকে প্রত্যেক সুবিধা ভোগিদের নিকট হতে দুইশত টাকা কর্তন করে পকেটে ভরলেন মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু। জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের মোট ভিজিডি কার্ড ৪৬১টি। সেই ৪৬১টি ভুক্তভোগীর সঞ্চয় জমা হয়েছে মোট ৯২২০০ টাকা। তাদের এই সঞ্চয় ফিরত দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় গত এক সপ্তাহ ধরে। গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে প্রত্যেকটি কার্ডধারীর নিকট হতে ২০০/-শত টাকা কর্তন করে পকেটে রাখতেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠু। সঞ্চয় টাকা ফিরত নিতে আসা ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন আমাদের কাছ থেকে জোড়পূর্বক ২০০/-টাকা করে কেটে নেন চেয়ারম্যান। এ বিষয়টা দেখার কাও নাই। আমরা কষ্ট করে ২বছরে ৪৮০০/- টাকা জমা করেছি। সেই টাকা থেকে ২০০/-টাকা করে কেটে নিয়ে ৪৬০০/-টাকা দিচ্ছেন চেয়ারম্যান। আমাদের কাছ থেকে ২০০/- টাকা করে কেন কেটে নিচ্ছেন, বললে তখন তারা কিছু বলেন না। ৪নং ওয়ার্ডে নিলুফা বলেন মুই গরীব মানুষ নিজে খাবার পাংনা। আবার মোর কাছ থাকি কি টাকা নেওয়ার উচিৎ হইছে কনতো তোমরা? দানের টাকা জোড় করি ন্যাওয়া যায়না। মোর টাকা ২০০/-ফিরত দিলে ভালো হইবে। ৩নং ওয়ার্ডে চিনিমাই বলেন,সরকার হামাক ভিজিডি কার্ড দেছে চাল খাবার জন্যে। আর ২০০/-টাকা করি জমা করির কইছি। সেই জন্যে হামরা কষ্ট করি জমা করছি। হামার কষ্ট করার টাকা আজ কেটে নেইল এটা কেমন কথা। এবিষয় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাবিকুন্নাহার বলেন,আমি চেয়ানম্যানকে নিষেধ করেছি। তারপরেও টাকা নিয়েছে আমার কথা শুনতেছে না। আপনারা রিপোর্ট করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠুর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।###
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ৩০/জানু জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩টি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করেছে র্যাব। রোববার রাতে আক্কেলপুর উপজেলার বটতলী এলাকার একটি মেহগনি বাগান থেকে উদ্ধার করেন। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা। সোমবার সকালে র্যাব জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।র্যাব জানায়, একটি সংবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে বটতলী এলাকায় ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত ছিল। তারা রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীদের অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই করত। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানোর সময় র্যাবের উপস্থিটি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এসময় সেখান দেশিয় ৩টি ওয়ানশুটার গান পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে সেগুলো জিডিমূলে আক্কেলপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আঃ মজিদ খান,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলউদ্দিন মৃধা নামের এক কৃষককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন তার প্রতিবেশি সেলিম মৃধা (৫৫) ও ফিরোজ (৩০) নামের দুই ব্যাক্তি। একই পরিবারের অপর আরও ৬জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ২৯ জানুয়ারি, রোজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ১৪নং নওমালা ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকায় এঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও অহতদের সূত্রে জানা গেছে, ডাল খেতে গরু প্রবেশ করে ফসল নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধেঁ। এতে সেলিম মৃধা ও ফিরোজ আলাউদ্দিনের উপর চড়াও হন। দল-বল নিয়ে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রাক্তাক্ত জখম করেন আলাউদ্দিনকে। এসময় আলাউদ্দিনের ছেলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিলেও দ্বিতীয় দফায় সেলিম, ফিরোজ ও রিয়াজের নেতৃত্বে ৮/১০ একটি দল পুনরায় আলউদ্দিনের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে আহত হন আলউদ্দিনের মেয়ে নাজিয়া, ভাই আনোয়ার, আন্তেসা, ডালিম ও সালমা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এব্যপারে বাউফল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়।অভিযুক্ত রিয়াজ মৃধাকে (০১৩০২-৭৮২৬৪১) নাম্বারে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর ফোনটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।এব্যপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।###
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোঃ আলমগীর হোসেন লেবু
যোগাযোগঃ- বি এস এস ভবন (৩য় তলা), ৪-দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০, ই-মেইল- dailytalash2015@gmail.com, মোবাইল-০১৭৩০৯২৭৯৬৯
Leave a Reply