মোঃ ইদ্রিস আলী, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট >>> হতদরিদ্র শ্বশুড়-শ্বাশুড়ীর সংসারে বোঝা হয়ে পড়েন রেহেনা। স্বামীসহ দুই সন্তানকে নিয়ে কি করবেন এই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। এরই মধ্যে শ্বশুর-শ্বাশুড়ী তাদের সংসার থেকে পুথক করে দেন। সামনের দিনগুলো অন্ধকার দেখতে পান তিনি। তবুও হাল ছেড়ে দেননি রেহেনা। শ্বাশুড়ীর দেওয়া দুটি ভেড়া থেকে আজ তিনি এলাকার রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আত্ম বিশ্বাসই তাকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে গেছে।জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের হরেন্দা গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুর রহিমের স্ত্রী রেহেনা বেগমের সাথে কথা হয় এই প্রতিনিধির। তার অতীত জীবনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন রেহেনা। বাবা-মা’র সংসারে অভাব অনটনের কারণে পড়াশুনা করতে পারেননি, ঠিকমত খাবারো জোটেনি তাদের। অল্প বযসে রেহেনার বিয়ে দেন তার বাবা-মা। স্বামীর সংসারে এসে রেহেনা দেখতে পান ৫শতক জমির উপরে জরাজীর্ণ কুড়েঘরেই ভ্যানচালক স্বামীরসহ শ্বশুড়-শ্বাশুড়ীর পরিবার। স্বামীর সামান্য আয়ে বহুকষ্টে চলে তাদের সংসার। ফলে বাধ্য হয়ে পাশের বাড়িতে ঝি’য়ের কাজ নেন তিনি। বিয়ের তিন বছরের মধ্যে রেহেনার কোলে আসে রাশেদ ও আশিক। খরচ বেড়ে যাওয়ায় শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী তাদের পৃথক করে দেন। বহু কষ্টে তাদের দিনসংসার চলতে থাকে। ছেলেদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। শ্বাশুড়ী পুত্রবধু রেহেনাকে ভবিষ্যতের সঞ্চয়ের জন্য দুটি ভেড়ার বাচ্চা দেন। শিশু দুই সন্তানের সাথে ভেড়ার বাচ্চাটিকেও লালন পালন করতে থাকেন রেহেনা। প্রথমে দুটি বাচ্চা দেয় একটি ভেড়াটি। বছরে ভেড়া তিনবার বাচ্চা দেওয়ায় স্বল্প সময়ে তার খামারে সংখ্যা বাড়তে থাকে।রেহেনা বলেন, এপর্যন্ত তার খামার থেকে প্রায় এক’শ ভেড়া বিক্রি করেছেন। এখন ছোটবড় অর্ধশতাধিক ভেড়া রয়েছে তার খামারে। রেহেনার বড় ছেলে রাসেদ চাটার একাউন্টেডেন্ট নিয়ে ঢাকায় আর ছোট ছেলে আসিক স্থানীয় হাকিমপুর কৈজুড়ী বিএনআর উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। রেহেনার মতে কষ্ট করলে একদিন তার ফল পাওয়া যায়। দেশের গ্রামের মেয়েরা আমার মত যদি সাবলম্বী হওয়ার জন্য ধর্য্যসহকারে পরিশ্রম করে তাহলে কারো অভাবী সংসার থাকবে না। তিনি বলেন, সরকারী ভাবে সাহায্য সহযোগীতা পেলে তার ভেড়া পালনে উৎসাহ বেড়ে যাবে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নিয়াজ কাযমির বলেন, হরেন্দা গ্রামের রেহেনা বেগমের ভেড়া পালনের মাধ্যমে সাবলম্বি হওয়ার খবরে আমরা তার খোঁজ খবর নিয়েছি। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল উদ্যোগ। অনেকে তাকে দেখে অনুসরণ করবে। ইতিমধ্যে রেহেনার সাফল্যের বিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কৃতপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করছি অচিরেই সরকারীভাবে সাহায্য আসবে। আসলে আমরা তার নিকট পৌঁছে দিব।###
মোহাঃ ইমরান আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ >>> চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মার গর্ভে প্রায় ২ ঘন্টার মধ্যে ৪৬টি বাড়ি-ঘর বিলীন হয়েছে। আর হুমকির মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩ শতাধিক বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নদী ভাঙনের প্রবণতা আর সাধারণ মানুষদের আহাজারী। নদীর গর্ভে বাড়ি-ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন অনেকে। আবার মাথা গুচার ঠাঁইয়ের জন্য অনেকে অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে নদী ভাঙনের কবলে পড়া শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের মৃত জোহর আলীর ছেলে আব্দুস সামাদ জানান, মাত্র ২ঘন্টার ব্যবধানে প্রায় ৪৬টি বাড়ি পদ¥ার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। তার মধ্যে ২৬টি বাড়ির মালিক এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা ও বাকী ২০টি পরিবার ভাঙ্গনের কারণে অন্য স্থান থেকে এসে এখানে বাড়ি করেছিল। আমার ১০বিঘা বসতের ৪/৫বার ভাঙনের কবলে পড়ে আগেই প্রায় সাড়ে ৯বিঘা বিলীন হয়েছে। এবার বাকী সবটুকুই বিলীন হয়ে গেলো। আমার ৮টি ছেলের ৮টি বাড়ি সহ সবকিছুই বিলীন হয়ে এখন খোলা আকাশের নীচে বাস করছি। চেষ্টা করছি কারো জমি বর্গা নিয়ে অস্থায়ীভাবে বাড়ি তৈরী করবো। তিনি আরো বলেন, ঈদুল আযহার প্রায় এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে সন্ধ্যার সময় ভাঙন শুরু হয়। মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে ৪৬টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেলো। যা জীবনে আর কোনদিন দেখিনি।এখলাকার দেলওয়ার হোসেন, মুক্তার হোসেন, আমরুল হক, জোবদুল হক জোহর আলি, খাইরুল ইসলাম সহ ওই গ্রামের প্রায় ২০/২৫জন বলেন, এখনো গ্রামের জামে মসজিদসহ প্রায় ২০/২২টি বাড়ি মাত্র ৬/৮ফুটের ব্যবধানে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে আছে। ওই গ্রামের এনামুল হক বলেন, ভাঙ্গন রোধের কাজ চলছে, তবে ত্রæটিযুক্ত। যেখান থেকে কাজ শুরু করেছে তার উজানে প্রায় ৫/৬’শ মিটার ভাঙনের মুখে। এটা রোধ না হলে মনোহরপুর ৩০রশিয়া ও ঝোপপাড়া গ্রামের প্রায় ২’শ বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও কয়েকশ বিঘা জমি বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তিনি আরো বলেন, এর আগে মনোহরপুর ক্যাইঠাপাড়া গ্রাম বিলীন হয়েছে। তারা এ পর্যন্ত কোন সাহায্য পায়নি। বারবার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার আইডি কার্ড নিয়ে গেলেও আমাদের কপালে এক ছটাক চাউলও জুটেনি। অত্যন্ত গরীব হওয়ায় ও আর কোন জমি না থাকায় কোথাও যেতে পারছি না। আমরা দুই মাস থেকে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করলেও কেউ সাহায্যেও হাত বাড়াননি। বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপে ভাঙন রোধ হলে লোকজন আতংকের মধ্যে। ত্ইা কেউ কেউ বাড়ি ঘর অন্যত্রে সরিয়ে নিয়েছে। কারণ এখনো বন্যা বাড়ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ দ্রæত কাজ না হওয়ায় তাদের এ দুর্দশা। ওই গ্রামে গত ১আগষ্ট থেকে পদ্মা বাম তীর সংরক্ষন প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে।ঘটনাস্থলে উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের চঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মবিন বলেন, ৬০লাখ টাকা ব্যয় ধরে ৩টি প্যাকেজে কাজ শুরু হয়েছে। প্রতি প্যাকেজে ৭৫ফিট করে মোট ২২৫ফিটের কাজ চলছে। কখন শেষ হবে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, একমাত্র ঠিকাদারই বলতে পারবেন। তবে আশা করছি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। মনোহপুরের কুপপাড়া গ্রামের সোহরাব আলী বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তিগুলো দিনে দিনে পদ্মার ভাঙনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এই এলাকায় ছাড়া আর আমার কোথাও জায়গা জমি নাই। কোথায় যাবো, কোথায় থাকবো। পরের জমিতে ঘর তুলেছি। এ জমির মালিক এখন কিছু না বললেও, স্থায়ীভাবে তো আর জায়গা ছেড়ে দিবে না।ভাঙনের কবল থেকে বাঁচতে বাড়ি ভেঙে মুন্সিপাড়ায় ঘর তুলেছেন তবজুল। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এই এলাকায় নদী ভাঙন নতুন কিছুই না। এর আগেও কয়েকবার ভাঙন থেকে বাঁচতে পূর্বের ভিটামাটি ছেড়ে এসেছি। আর কতবার এলাকা ছাড়লে, কর্তৃপক্ষের নজরে আসবে।এব্যাপারে দূর্লভপুর ্ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মনোহরপুর কুপপাড়া সহ সব ভাঙন কবলিত এলাকার তালিকা তৈরী করা হয়েছে। তাদের কয়েকবার চাল দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকার অনুদানের ব্যাপারে দূর্লভপুর ইউনিয়নে এখনো টাকা দেয়া হবে। তবে কাদের নাম তালিকা তা আমি সঠিকভাবে বলতে পারবো না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আরিফুল ইসলাম বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকার তালিকা ইউপি চেয়ারম্যান দিয়েছেন এবং সে তালিকা মোতাবেক অনুদান দেয়া হয়েছে। এ প্রসংগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মুখলেশুর রহমান জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ও পাকা ইউনিয়নের ১০কিলোমিটার জুড়ে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। তার মধ্যে মনোহর কুপপাড়াও তার ভাটিতে ৪৫০ মিটারে টিউবসিস্টেমের জি আর ব্যাগা দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করা হয়েছে। মনোহর কুপপাড়া যেখান থেকে কাজ শুরু হয়েছে তার উজাইের কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে। বাকী বাকী ভাঙন কবলিত এলাকা নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, পদ্মার ভাঙন কবলিত এলাকা নিয়ে সরাসরি প্রধান মন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। ইতিমধ্যে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়েছে এবং বর্তমানে ভাঙন রোধ রয়েছে। মনোহরপুর কুপপাড়ার উজানেও ভাঙন রোধে টিউব সিস্টেম জি আর ব্যাগ ফেলে সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাছাড়া ভাঙন কবলিত এলকার একটিও মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যা দ্রæত বাস্তবায়ন হবে।###
মোঃ ইদ্রিস আলী, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট >>> জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চলতি মৌসুমে পাটের বাম্পার ফলন হলেও তীব্র তাপদাহ ও প্রয়োজনীয় পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। তাপদাহের কারণে জমিতেই মরে যাচ্ছে পাট। পাটের আঁশ শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় সময়ে চাহিদামত বৃষ্টিপাত না হলে পাটের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ মাস শেষের পথে হলেও উপজেলায় কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চাষিদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে অধিকাংশ খাল-বিলে পানিতে ভরপুর থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ খাল-বিল এখন শুকনো। উপজেয়ায় কয়েক দিনে বিভিন্ন স্থানে যে হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং জলাশয়ে যেটুকু পানি রয়েছে তা খুবই অপ্রতুল যা পাট পঁচানোর জন্য যথেষ্ট নয়।এদিকে চাষিদের অনেকেই বৃষ্টিপাতের আশায় পাট কেটে জমির পাশে, কেউবা রাস্তার পাশে, খাল-বিল বা ডোবার পাশে স্তুপ করে রেখে দিয়েছেন। যারা তাপদাহ থেকে পাটকে রক্ষা করতে কেটেছে, তারা পানির অভাবে জমিতে খড় ও আর্বজনা দিয়ে ঢেকে রেখেছে। এদের মধ্যে অনেকে আবার খাল-বিল বা জলাশয় এর অল্প পানিতেই পাটের উপর মাটি ও ভারী কিছু দিয়ে পাট পচানোর চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ ডোবা কিংবা জলাশয়ে পাট জাগ দিয়ে পচানোর জন্য শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে পানি দিতে দেখা গেছে। আবার কেউ ভ্যানে করে পানি এলাকায় নিয়ে গিয়ে জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। চাষিরা শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে রোপা-আমন লাগানোর জন্য পাট কেটে ফেললেও পানি না থাকায় রোদে এসব কাঁচা পাট নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছে ।উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের ইউনুছ আলী, শ্রীমন্তপুরের ফারায়েজ হোসেন, রতনপুর গ্রামের মোক্তাদিরসহ একাধিক কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,বর্ষা মৌসুমে প্রকৃতিতে চলছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ার মাঠের পাট মাঠেই পুড়ছে। এ অবস্থায় পাট কাটার সময় হলেও পাট জাগ দেওয়ার অসুবিধার কথা ভেবে পাট কাটতে পারছি না। অনেকে পাট কেটেও পানির অভাবে জাগ দিতে না পেরে জমিতে স্তুপ করে রেখেছেন। অনেক কৃষক পুকুর বা ছোট জলাশয়ে সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করলেও তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। নিশ্চিত লাভ জেনেও প্রকৃতির বিরুপ আচরনে কৃষকের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় এখনও প্রচুর পাট ক্ষেতেই রয়ে গেছে। প্রচন্ড তাপদাহে জমিতে পাটগাছের উপরের পাতা, কান্ড ও গোড়া মরতে শুরু করেছে। কৃষকরা জানায়, একবিঘা জমিতে পাটচাষে খরচ হয় প্রায় ১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় গড় ফলন ১০ মন। প্রতিমন পাটের বর্তমান বাজার দর ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা। এ দামে পাট বিক্রি করলে তারা খুব বেশি লাভবান হবেন না। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় দেশী ও তোষা জাতের পাট ১হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, পাট জাগ দেওয়ার আধুনিক রিবন রেটিং পদ্ধতি এ উপজেলায় তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি, কারণ এ পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ের একদিন পরেও যদি পাট জাগ দেওয়া হয় তাহলে পাটের আঁশ সঠিকভাবে ছাড়িয়ে নেওয়া যায় না। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্য দিকে সনাতন পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ায় পরিবেশ দূষিতও হয়। তবে আধুনিক ভাবে পাট জাগ দেওয়ার বিরন রেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে এই এলাকার কৃষকরা জ্ঞান সম্পন্ন না হওয়ায় তারা এখনও সনাতন পদ্ধতি অবলম্বন করছে। কৃষকরা যেনো পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হয় সেজন্য উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে চাষিদেরকে আধুনিক পদ্ধতিতে স্বল্প পরিমান পানিতে পাট জাগ দেওয়ার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।###
মোঃ ইদ্রিস আলী, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট >>> জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে সাপের কামড়ে নুর মোহাম্মদ বাবু (২২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার (৩ আগস্ট) ভোরে উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের পূর্ব উচনা গ্রামে। নিহত যুবক ঐ গ্রামের উকিল হোসেনের ছেলে।স্থানী ইউপি সদস্য লাইজুর রহমান জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জমি থেকে ফেরার সময় একটি বিষধর সাপ তার পায়ে ছোবল মারে। বাড়ীর লোকজনকে বিষয়টি জানালে রাতেই তাকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ভ্যাকসিন না থাকায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।###
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ৩৮ বছরে পা রাখলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্ত-অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি। এবারের জন্মদিনটা একটু বেশি স্পেশাল। কারণ মা হতে যাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। জন্মদিনে সোনম তার বেবি বাম্পের কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। সাদা রঙের পোশাকে সোনমের সাহসী অবতার নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। এসব ছবি দেখে নেটিজেনদের একাংশ কটাক্ষ করতেও ছাড়ছেন না। যদিও এসব মন্তব্যের প্রভাব স্পর্শ করেনি সোনমকে। ছবির ক্যাপশনে সোনম কাপুর লিখেছেন—‘মাতৃত্বের শেষ সময়ে আমার জন্মদিন। আমি যেমনটা অনুভব করি, তেমন পোশাক পছন্দ করি—অন্তঃসত্ত্বা, শক্তিশালী, সাহসী এবং সুন্দর।’ সবকিছু ঠিক থাকলে কয়েক মাস পরেই সন্তানের মুখ দেখবেন সোনম। কিছুদিন আগে তার স্বামী আনন্দ আহুজা বেবিমুনের জন্য তাকে ইতালিতে নিয়ে গিয়েছিলেন। যার কিছু স্থিরচিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন এই অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৮ সালের ৮ মে আনন্দ আহুজার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন সোনম কাপুর। এরপর একাধিকবার তার মা হতে যাওয়ার গুঞ্জন চাউর হয়, তবে এ গুঞ্জন সত্যি নয় বলে দাবি করেন সোনম। অবশেষে সংসার আলো করে আসতে যাচ্ছে এই দম্পতির প্রথম সন্তান।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি >>> গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড় গ্রামে বীরেন্দ্র সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উদ্যোগে “হৃদয়ে বৈশাখ” নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (২৫ই এপ্রিল) বিকাল থেকে রাত সাড়ে ৮ পর্যন্ত সাতপাড় দীননাথ গয়ালী চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘিরে বিদ্যালয় মাঠে বসেছে বৈশাখী মেলা। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিতিশ রায়, বিষেশ অতিথি ছিলেন সাতপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রনব বিশ্বাস বাপ্পি, বীরেন্দ্র সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস, সাতপাড় দীননাথ গয়ালী চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ হালদার, সাতপার বাজার কমিটির সভাপতি পালু বিশ্বাসসহ বীরেন্দ্র সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সকল সদস্যগণ ও ইউনিয়নের গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বীরেন্দ্র সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি নির্মলেন্দু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ, ২০০৬ সাল থেকে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা, মানবিক সমাজ বিনির্মানের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করে একঝাক যুবকের হাত ধরে বীরেন্দ্র সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর যাত্রা শুরু হয়। ওই ইউনিয়নের সকল সামাজিক কাজ, দরিদ্রদের শীত বস্ত্র বিতরণ, শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করা, যে কোন জাতীয় সংকটে রাজ পথে থাকা, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহোযোগিতা, সামাজিক বৈষম্য দূর করতে কাজ করে যাচ্ছে বীরেন্দ্র সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। করোনাকালীন মহামারী সময় দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য ও করোনা প্রতিরোধ সরঞ্জাম বিতরণ করে বীরেন্দ্র সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী। এরা সাতপাড় ইউনিয়নের সকল উন্নয়ন কজে সর্বদা ব্যাস্ত থাকে।###
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি >>>পঞ্জকিা মতে বৃহস্পতবিার সন্ধ্যায় প্রতি বছররে বশৈাখ সংক্রান্তরি উপলক্ষ্যে সদর উপজলোর সাতপাড় পশ্চমিপাড়া গ্রামরে কালা বশ্বিাসরে বাড়ি আয়োজন করা হয় নীল পূজা।পূজা শষেে লোহা দয়িে তরৈী দুটি করে বড়শি ফোরানো হয় দুই যুবকরে পঠি।ে পরে মন্দরিরে পাশরে একটি মাঠে গাছ দয়িে বানানো চৌকাঠরে দুই মাথায় রশি দয়িে বঁেধে ঝুলয়িে দওেয়া হয় ওই দুই যুবক ক।ে পরে অপর প্রান্তরে রশি দয়িে বঁেধে ঘুরানো হয় কয়কে দফা। গোধূলী র্পযন্ত চলে এ চড়ক ঘুড়ানো।এ চড়ক ঘুল্লী ও মলো দখেতে গোপালগঞ্জ জলোর বভিন্নি এলাকার শশিু-নারীসহ হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমান। এ চড়ক ঘুল্লীকে কন্দ্রে করে বসে গ্রামীন মলো। খাবার, গহনা, মষ্টিরি দোকান ও মাটরি খলেনা সহ বসে বভিন্নি দোকান।মেলায় ঘুরতে আশা শান্তুনু রায় বলেন, আমি প্রতি বছর আমাদের হিন্দু ধর্ম র্ধমাবলম্বীদরে নীল পূজা ও চড়ক ঘুল্লী দেখতে আসি। প্রতি বছর সাতপাড় পশ্চিমপাড়া গ্রামে কালা বিশ্বাসের বাড়িতে নীল পূজা হয় ও পূজা শেষে চড়ক ঘুল্লি হয়। এ চড়ক ঘুল্লি উপলক্ষে এখানে গ্রামীন মেলাও বসে।সাতপাড় ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান প্রনব বিশ্বাস বাপ্পি বলেন, করোনার কারনে দুই বছর কোন ধরনের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। এবছর সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মালম্বীদের ভির চোখে পড়ার মত। সাতপাড় পশ্চিমপাড়া কালা বিশ্বাস প্রতি বছর বশৈাখ সংক্রান্তরি উপলক্ষে নীল পূজা ও চড়ক ঘুল্লি অনুষ্ঠান করে আসছে। এবছর আমাদের সাতপাড় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পূজাকে সাফল্য করতে সর্বদা কাজ ####
বরগুনা জেলা সংবাদদাতা >>> বরগুনার তালতলী উপজেলার ছোট বগী ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামের আবাসনে ধর্ষণের শিকার হয়েছে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ।
শনিবার রাত ৯ টার দিকে ঘরে ঢুকে জোর করে ধর্ষণ ও মারধর করেছে একই গ্রামের প্রভাবশালী প্রতিবেশী আকাব্বর কাজীর ছেলে বারেক কাজী। পরে গৃহবধুর মা টের পেয়ে বাহির থেকে দরজা তলা বন্ধ করে রাখে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা তালা ভেঙে লোকজন নিয়ে দর্ষক বারেক কাজীকে নিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ৯৯৯ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে গৃহবধূকে উদ্ধার করে বরগুনা জেলার হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
গৃহবধূর মা বলেন, আমার মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকায় আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বিয়ের আগ থেকেই বারেক কাজী আমার মেয়েকে বিরক্ত করে আসছে । বিয়ের পরে যখন মেয়ে বাড়িতে আসে তখনও কুপ্রস্তাব দেয় বারেক। গতকাল রাতে আমি ঘর থেকে বাহিরে বের হলে সুযোগ বুঝে বারেক কাজী ঘরে প্রবেশ করে এবং আমার মেয়ের মুখ চেপে ধর্ষণ করে। আমি বাহির থেকে দরজা তালা বন্ধ করে আশপাশের লোকজন ডাকলে ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা লোকজন নিয়ে এসে তালা ভেঙে মেয়েকে এলোপাথাড়ি মারধর করে বারেক গাজীকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর জন্য খেয়াঘাট পযন্ত আগিয়ে দিয়ে যায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ধর্ষিত গৃহবধূ বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তালতলী থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাতে ৯৯৯ ফোন পেয়ে থানা থেকে পুলিশ গিয়েছিল এবং ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য বরগুনা হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ###
বরগুনা জেলা সংবাদদাতা >>> কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে জ্বালানি তেল ও দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরগুনা জেলা বিএনপি । শুক্রবার ( ১২আগষ্ট) সকাল ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু, সদস্য এজেডএম সালেহ ফারুক, তালিমুল ইসলাম পলাশ, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ হোসেন মোল্লা, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চৌধুরী মোঃ ফারুক,জেলা ওলামাদলের সভাপতি শাহাজালাল রুমি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রীমা জামান, ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল ইসলাম রনি প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন এড আহসান হাবিব স্বপন। বক্তারা বলেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি থাকর।###
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি >>>জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির অংগ সংগঠন কৃষক দলের ডাকা বিক্ষোভ মিছিল করার সময় মিছিলকারী ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় একজন পুলিশ অফিসার ও বিএনপির সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহ্জাহান আলি সহ আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষ দর্শীর সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ডাকে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে শিবগঞ্জ পৌরসভা মার্কেটের সামনে পুলিশ বাধা দিলে উভয় সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং লোকজন বাজার থেকে এদিকওদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। এ সময় পুলিশ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিএনপির নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানালে বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে দুটি মোটরসাইকেল ও ইসলামী ব্যাংকের তিনটি জানালা ভাঙচুর করে একটি অটোরিকশা উল্টে দেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে বাড়তি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিবগঞ্জ থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বিক্ষোভকারীদের ইটের আঘাতে শিবগঞ্জ থানার এস আই আনাম আলি আহত হয়। পরে তাকে তার সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অন্যদিকে বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক এমপি অধ্যাপক শাহ্জাহান আলী ইটের আঘাতে আহত হন। তিনি শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। রাত সাড়ে ৮টায় এ সংবাদ লিখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মেদ জানান এস আই আহত নেই। পরিস্থিতি শান্ত আছে। পুলিশ বাজারে টহল অব্যহত রেখেছে।###
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ।আজ শুক্রবার দুপুরে সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তাবক অর্পন করে এ শ্রদ্ধা জানান তারা। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন তারা।এ সময় রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান, মহাসচিব আরিফুর রহমান , সহ-সভাপতি আনোযার হোসেন, শেখ ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মকবুল আহমেদ, শাহরিয়ার হোসেন, ইমাম আব্দুল্লাহ প্রমূখ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। ###
বরগুনা জেলা সংবাদদাতা >>> দলকে শক্তিশালী, গতিশীল ও আন্দোলনমুখী করার লক্ষ্যে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা ও পৌর, বেতাগী উপজেলা ও পৌর, পাথরঘাটা উপজেলা ও পৌর এবং বামনা, তালতলী উপজেলার আটটি ইউনিট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা। এর আগে মঙ্গলবার রাতে এ পাঁচ উপজেলা ও তিন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন করা হয়। বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে জেলার সকল উপজেলার সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। নতুন আহ্বায়ক কমিটি যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে সব ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। বরগুনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু জানান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা, সদস্য সচিব তারিকুজ্জামান টিটু ও দুই যুগ্ম-আহবায়ক এজেডএম সালেহ ফারুক, তালিমুল ইসলাম পলাশ স্বাক্ষরিত এ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। এবিষয় তালতলীর বিএনপির ত্যাগী নেতা আক্কাস মৃধা বলেন মোল্লা লিমিটেট এর হাত থেকে বরগুনা বিএনপি কে বের করে নিয়ে আসতে হবে তা না হইলে বরগুনায় বিএনপির কিছু আশা করা যায় না। বিএনপির আর এক নেতা মনিরুল ইসলাম মনির বলেন ফিরুজ্জামান মামুন মোল্রা কোনদিন ছাত্রদল যুব দল করে নাই, কিন্তু তাকে একটি বড় পদ দেয়া হয়েছে। তাকে দলীয় পদ থেকে বাদদিয়ে আগে সদস্য ফর্ম পুরন করান উচিৎ।৷ তাকে কোনদিন রাজপথে দেখি নাই।##
গোলাপ হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধি >>>১০/আগস্ট,২২ নিজের ধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ৯ম শ্রেণির এক মাদ্রসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার বাদি হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা কুসুম্বা ইউপির একটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।গ্রেপ্তারকৃত যুবক- পাঁচবিবি উপজেলার বাঁশখুর গ্রামের শ্রী বিপিন চন্দ্রের ছেলে নয়ন চন্দ্র (১৯)।বুধবার দুপুরে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার থেকে জানাযায়, ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মা-বাবা দুজনেই ঢাকায় থাকেন। একারনে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী দাদির সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে একাই থাকেন। এই সুযোগে প্রতিবেশী নয়ন চন্দ্র তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। স¤প্রতি নয়ন চন্দ্র নিজের ধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে রাতের বেলায় মাদ্রসার ছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এদিকে মাদ্রসা ছাত্রীর মা-বাবা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে বিষয়টি জানতে পারলে তারা থানায় এসো ধর্ষণের মামলা করেন।পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব বলেন, এঘটনায় ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার বাদি হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা করলে পুলিশ আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ্দ করেছেন।###
জয়পুরহাট প্রতিনিধি >>> ১০/আগস্ট,২২ পাঁচবিবিতে ৫০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি।আজ বুধবার ১০ আগস্ট জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এসআই মোঃ আমিরুল ইসলাম, এএসআই মাহমুদ সিদ্দিকী, এএসআই মোঃ জাহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ পাঁচবিবির বাগজানা ইউপির উত্তর কৃষ্ণপুর(বাঙ্গাল পাড়া) গ্রামের বদিউজ্জামান @ টুকু এর বাড়ীর সামনে কাঁচা রাস্তার হতে ৫০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ উপজেলার আয়মারসুলপুর (ডিলার পাড়া) গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ কামাল হোসেন(৪৫), ও একই উপজেলার উত্তর কৃষ্ণপুর (বাঙ্গালপাড়া) গ্রামের মো: আছির উদ্দিনের পুত্র মোঃ শহিদুল ইসলাম(৪০)কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃত আসামী মোঃ কামাল হোসেন এর বিরুদ্ধে ১টি চোরাচালানসহ মাদকের ৪টি মামলা ও ধৃত আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে মাদকের ৫ টি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সূত্র জেলা পুলিশ।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বাড়িতে প্রবেশ পথে টিন ও নলকূপের পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিপক্ষ বিরুদ্ধে । প্রতিপক্ষের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই পরিবারের লোকেরা।এতে বাড়িটির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা । এছাড়া একমাত্র গভীর নলকূপের পানি নিতে না পারে পুকুরের পানি পান করতে হচ্ছে তাদের।দুই স্থানের বেড়া খুলে চলাচলের ব্যবস্থা করতে কোটালিপাড়া থানা অভিযোগ ও গোপালগঞ্জ আদালতে মালমাল দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলা কলাবাড়ি ইউনিয়নের কুমুরিয়া গ্রামের জগদীশ বিশ্বাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।ওই গ্রামের নকুল বিশ্বাসের ছেলে রাম বিশ্বাস, শক্তি বিশ্বাস, শ্যামল বিশ্বাস,লক্ষ্মণ বিশ্বাস ও ভরত বিশ্বাসে বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, কুমুরিয়া গ্রামের জগদীশ বিশ্বাসের বাড়িতে প্রবেশের পথে টিন ও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ওই বাড়িতে সাতটি পরিবারের জন্য সরকারি ভাবে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ওই টিউবয়েলের পাশেও বেড়া দেখা যায়। এতে পানি নিতে পারছেন ভুক্তভোগী পরিবার।ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য অঞ্জু বিশ্বাস বলেন, এই বাড়িতে আমারা চার পুরুষের বসবাস। ঠাকুদাদার জমির সমান তিন ভাগ করে ভোগ করে আসছি, সবাই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। শুক্রবার বেলা সাড়ে ৯ টার দিকে পুরুষের কাজে গেলে রাম বিশ্বাস তার লোকজন নিয়ে রাস্তায় বেড়া দেয়। আমরা নিষেধ করতে গেলে আমাদের সাবালকত্ব দিয়ে ধেয়ে আসে। পরে আমরা ওখান থেকে চলে আসি। ওই রাস্তা সরকার থেকে কীে দিয়েছে। আমদের যে জমি দিয়েছিলো তাও তারা দখল করে নিয়েছে অথচ আমরা সব জমির এক তৃতীয়াংশের মালিক।তাছাড়া বাড়িতে একটা মাত্র পানির কল ওই কল থেকে পানি পান করতাম। সেই পানির কলেরও বেড়া দিয়ে রেখেছে।আমরা বাধ্য হয়ে পুকুরের পানি পান করছি। আমরা বাধ্য হয়ে পুকুরের পানি পান করছি। তিনি আরো বলেন, তারা আমাদের কোন জায়গা দিতে চায়না দুদিন আগে আমাদের পুকুর দখল করে মাছে চাষ করছে। গতকল আদালতে মামলা করেছি। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এবিষয়ে জানতে রাম বিশ্বাসে বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়ানি, কথা হয় তার স্ত্রী অঞ্জলী বিশ্বাস ও ভাই শক্তি বিশ্বাসের সাথে, তারা বলেন আমাদের সব জমিতে অংশ আছে তাই মাছ ছেড়েছি। তাদের হাটতে দিবো না বলেই রাস্তায় বেড়া দিয়েছি। শনিবারে থানায় ডেকেছে সেকানে যায় হবার হবে।কলাবড়ির ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিজন বিশ্বাস বলেন, ওই বাড়িতে গতকাল যখন পুলিশ আসে তখন আমি বিষয়টা জানতে পারি। শনিবার থানা বিষয়টা নিয়ে বসবে এবং এর মিমাংসা হবে আশা করি।কোটালিপাড়া থানা পরিদর্শক মো. হাসমত উল্লা বলেন, এবিষটি নিয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে। আমি সেখানে গিয়েছিল তাদের বলে এসেছি বেড়া তুলে নিতে। শনিবার থানায় দুপক্ষকে ডাকা হয়েছে।###
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি >>> চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জ উপজেলার সোনামসজিদ সীমান্তে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রায় পৌনে ৬ লাখ টাকার ১ হাজার ৭’শ ১১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিজিবি। শুক্রবার গভীর রাতে সোনামসজিদ বিওপির বালিয়াদিঘী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। শনিবার দুপুরে ৫৯ বিজিবির পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অধিনায়ক লে. কর্ণেল আমীর হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে সোনামসজিদ বিওপির একটি বিশেষ টহল দল গভীর রাতে সীমান্ত পিলার ১৮৫/১০-এস হতে আনুমানিক ১’শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বালিয়াদিঘী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৭’শ ১১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫ লাখ ৭৩ হাজার/ ###
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোঃ আলমগীর হোসেন লেবু
যোগাযোগঃ- বি এস এস ভবন (৩য় তলা), ৪-দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০, ই-মেইল- dailytalash2015@gmail.com, মোবাইল-০১৭৩০৯২৭৯৬৯
Leave a Reply