মোঃ আবু শহীদ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :- দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কতিপয় প্রভাবশালী মহল সওজ এর জায়গা দখল করে মাটি ভরাট করায় বন্ধ হয়ে পড়েছে দির্ঘদিনের পানি প্রবাহের পথ। এতেকরে বর্ষার পানিতে তলিয়ে আওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ঘর-বাড়ীসহ কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি।
জানা গেছে দিনাজপুর- গবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ফুলবাড়ী পৌর শহরের ঢাকা মোড় থেকে বারকোনা হয়ে পূর্ব নারায়নপুর পর্যন্ত মহাসড়কটির দুই পার্শ্বের সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।
সরেজমিনে দেখা যায় বারকোনা মৌজায় ২০ শতাংশ জমি খরিদ করেছে। তিনি তার জায়গার সামনে প্রায় ৩০ শতক সড়ক ও জনপদের জায়গা মাটি ভরাট করেছে। দুই ধারে সড়ক ও জনপদের জায়গায় মাটি ভরাট করেছে উজ্জল মহন্ত,সুমির কুমার, প্রকৌশলী লুৎফুল হুদা চৌধুরী, আব্দুল কাদের দুলাল, হাজি মনসুর আলী সরকারসহ আরো অনেকে। এতেকরে পৌর এলাকার পুর্ব গৌরীপাড়া, কাঁটাবাড়ী, বারকোনা, রেলস্টেশনের পুরো এলাকাসহ চকচকা গ্রামের আংশিক এলাকার দির্ঘদিনের পানি প্রবাহের পথটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার গুলোর বাড়ী-ঘরসহ কয়েকটি মৌজার প্রায় তিন হাজার বিঘার অধিক ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বারকোনা গ্রামের কৃষক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আবু রায়হান বুলবুল বলেন এই পথ দিয়ে বারকোনাসহ আশপাশের গ্রামের ও ফসলের মাঠের পানি প্রবাহিত হয়, কিন্তু পানি প্রবাহের পথটিতে মাটি ভরাট করে ইমারত নির্মাণ করায় সেই পানি প্রবাহের পথটি বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন মাঘ মাসের সামান্য বৃষ্টিপাতে পানি জমে গেছে। বর্ষা মৌসুমে যে এই এলাকা পানিতে তলিয়ে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। তিনি বলেন এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার মিলেনি। একই কথা বলেন কাঁটাবাড়ী গ্রামের তমাল হোসেন ও মন্টু মিয়া।
কৃষকরা বলছেন সময় থাকতে পানি প্রবাহের পথ খুলে দেয়া না হলে, পানিতে তলিয়ে গিয়ে ফসলহানীর আশঙ্কা দেখা দিবে কয়েক হাজার বিঘা জমির, পথে বসতে হবে কয়েক’শ কৃষক পরিবারকে।
সওজ এর জায়গায় মাটি ভরাটকারী ডাক্তার তাপস এর সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সকলে ভরাট করছে তাই তিনিও ভরাট করেছে। সুমির চন্দ্র বলেন প্রয়োজনে পানি প্রবাহের পথ খুলে দেয়া হবে। কেউ কেউ দাবী করেছেন তাদের জমির সামনে থাকা সড়ক ও জনপদের জায়গা তাদের ব্যবহারের অধিকার আছে এই জন্য তারা ভরাট করেছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিতি চাকমা বলেন অল্প সময়ের মধ্যে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখলমুক্ত করায় অভিযান করা হবে।
এদিকে মাটি ভরাট করে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করার বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply