আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বৃষ্টির সময় ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। ছাদের পলেস্তারা খসে খসে গায়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের। ছাদের নিচে পলিথিন টানিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। পটুয়াখালীর গলাচিপায় উত্তর চরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পলেস্তারা খসে পড়েছে। ছাদের নিচে পলিথিন টানিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটির ছাদ ও বিমের অনেক স্থানে বেরিয়ে আছে রড।
বর্ষাকালে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। মাঝেমধ্যে পলেস্তারা খসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গায়ে ও মাথায় পড়ে। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা—এই আতঙ্ক নিয়েই ভবনটিতে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। সংস্কারের অভাবে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উত্তর চরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের এই অবস্থা।
দ্বিতল ভবনটিতে পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ, একটি বিজ্ঞানাগার ও একটি অফিসকক্ষ রয়েছে। স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী হারিজা আক্তার প্রথম আলোকে বলে, শ্রেণিকক্ষে এসে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। বৃষ্টির সময় ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। এছাড়া প্রায় সময়ই ছাদের পলেস্তারা খসে খসে তাদের গায়ে পড়ে। ছাদের নিচে পলিথিন টাঙিয়ে রাখার পরও ভয়ে থাকতে হচ্ছে।
এই অবস্থায় শ্রেণীকক্ষে পড়ায় মন দেওয়া যাচ্ছে না।‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছ থেকে ডিও লেটার নিয়ে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
মোঃ শহিদুল ইসলাম, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর পটুয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছ থেকে ডিও লেটার নিয়ে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।
’সদর ইউনিয়নের উত্তর চরখালী গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১৯৭০ সালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে তিন একর জমিতে উত্তর চরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। টিনশেড ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৯১ সালে বন্যায় টিনসেড ভবনটি ধসে পড়ে। গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হলে ১৯৯৩ সালে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বিদ্যালয়টির দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির বাইরেও কোথাও কোথাও পলেস্তারা খসে গেছে। দোতলায় অফিসকক্ষে ছাদের পলেস্তারা খসে নিচে পড়ে ও রড বেরিয়ে রয়েছে।
শিক্ষকেরা বলেন, একাডেমিক ভবনটি নির্মাণের পর এখন পর্যন্ত সংস্কার করা হয়নি। ছাদ, ভীম ও পিলারের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বর্ষায় ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। দেয়ালের চুনকাম ও দরজা-জানালা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর এটি ব্যবহারের উপযোগী নেই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, তাঁদের বিদ্যালয়ের একটি মাত্র একাডেমিক ভবন। সেটিও ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এখনো ওই ভবনেই পাঠদান চলছে ।###
Leave a Reply