আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বড়দিনের সঙ্গে সরকারি দুদিনের ছুটিতে টানা তিনদিনের ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন পর্যটকরা। তাই দেশের বিভিন্ন পর্যটন স্পষ্টগুলো এখন কাণায় কাণায় পূর্ণ। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাও টইটম্বুর নানা বয়সের পর্যটকে।
এই বিপুলসংখ্যক পর্যটক নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।টানা তিনদিন বন্ধের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, রাখাইন মার্কেট, শুঁটকি মার্কেট, সীবিচ মার্কেটসহ সব পর্যটন পয়েন্টে পর্যটকদের বিচরণ লক্ষ্য করা যায়।কুষ্টিয়া থেকে আসা হোসেন পাটোয়ারী জানান, গতকাল কুয়াকাটায় এসেছি। কাল ঘোরাঘুরি করলাম, আজ কেনাকাটা করছি, তাজা শুঁটকি, বার্মিজ আচারসহ পরিবারের জন্য অনেক কিছু কিনলাম।। ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের এখন দম ফেলার সুযোগ নেই।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে বেশ জমজমাট ব্যবসা চললেও নভেম্বর মাসে একটু খারাপ গেছে। তবে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এসে আবারও বেশ ব্যস্ত সময় যাচ্ছে তাদের।আচার দোকানি মুবিব্বুল্লাহ জানান, করোনায় পাঁচ লাখ টাকা ঋণী হয়েছি। ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছি। তবে এই তিনদিন অসংখ্য পর্যটক কুয়াকাটায়। আমরা ব্যবসায়ীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছি৷ হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, কুয়াকাটায় ছোট-বড় ১৫০টির বেশি হোটেল রয়েছে। যার ধারণক্ষমতা প্রায় ১৫-২০ হাজার। এই বন্ধে অনেককে আমরা রুম দিতে পারিনি, রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক কুয়াকাটায় এসেছে এবার।পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সব প্রকার
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, পৌরসভা, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা টিম কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে জানান, টানা তিনদিন বন্ধের আজ দ্বিতীয় দিন, আমাদের কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত।
এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দায়িত্বরতদের নির্দেশ দেওয়া রয়েছে, যাতে কোনো পর্যটক হয়রানির স্বীকার না হন সে দিকে খেয়াল রাখতে।###
Leave a Reply