তারাগঞ্জ (রংপুর) সংবাদদাতাঃ রংপুরের তারাগঞ্জে নতুন চৌপথী বাস স্ট্যান্ডের পুরাতন কার্টুন ও কাগজ ব্যবসায়ীকে উত্তরা ইপিজেডের ঠিকাদার পুরাতন কাগজ ও কার্টুনের পরিবর্তে মাটির পাথর পঁচা কাপড়ের ঝুট সহ বিভিন্ন প্রকার ময়লা আবর্জনা ১১টি ট্রাকে লোড করে ব্যবসায়ীর কাছে পাঠিয়ে দিয়ে ১৭ লক্ষ টাকা আত্ত¡সাৎ করেও শান্ত না হয়ে উল্টো কাগজ ব্যবসায়ীর কাছে জোরপূর্বক ৩ শত টাকার ফাঁকা স্টাম্প ও ফাঁকা চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়েছে বলে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন কার্টুন ব্যবসায়ী। যার মামলার নং মিছ পিঃ ২৬৯/২২ ও অভিযোগ নং ৪/২২।
মামলা ও ট্রাক শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, নীলফামারী জেলা সদরের উত্তরা ইপিজেডের ঠিকাদার মের্সাস নাইসা ট্রেডার্সের প্রোঃ মোঃ নুরনবীর সঙ্গে তারাগঞ্জের কার্টুন ও কাগজ ব্যবসায়ী শ্রী টিটুল চন্দ্র রায় গত ২৭ জানুয়ারী/২২ তারিখে কার্টুন ক্রয়ের জন্য ১ লক্ষ টাকা জামানত রেখে চুক্তিবদ্ধ হয়। এরই প্রেক্ষীতে ঠিকাদার নুরনবী গত ১০ই মার্চ/২২ ইং তারিখে ১১ টি ট্রাক যোগে পুরাতন কাগজ ও কার্টুন, টিটুল চন্দ্র রায়ের দোকানে প্রেরণ করে। লোড আনলোড শ্রমিক মালামাল গুলো নামানোর সময় দেখতে পায়, পুরাতন কাগজ ও কার্টুনের সাথে অর্ধেক ভিজা মাটি ও পঁচা কাপড়ের ঝুট সহ বিভিন্ন প্রকার আবর্জনা দ্বারা পরিপূর্ন ছিলো। বিষয়টি নিয়ে নুরনবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টিটুল চন্দ্রকে নিয়ে চিকলী ডাঙ্গিরদোলা নামক স্থানে আহার হোটেলের সামনে ডাকেন। তার কথা মত ঘটনাস্থলে টিটুল চন্দ্র উপস্থিত হয়ে নুরনবীর সঙ্গে মালামালের বিষয়ে জানতে চাইলে, নুরনবী সহ তার সঙ্গীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তোমার সাথে আর কোনোদিন ব্যবসা করবো না। কথাবার্তার এক পর্যায়ে টিটুল চন্দ্রের মাথার উপর লাঠি উঠিয়ে ভয় দেখিয়ে ৩ শত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে এবং ফাকাঁ চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে দ্রæত ঘটনা স্থল ত্যাগ করে।
কার্টুন ও কাগজ ট্রাক লোড আনলোড শ্রমিক হাবিবুর রহমান জানান, মানুষ এতো খারাপ হতে পারে? এভাবে টিটুল ভাইকে প্রতারণা করতে পারে! বিশ্বাস করতে পারতেছি না। মাল নামানের সময় দেখতে পাই পুরাতন কার্টুন ও কাগজের সাথে অর্ধেক ভিজা মাটি ও পঁচা কাপড়ের ঝুট সহ বিভিন্ন প্রকার আবর্জনা দিয়ে ট্রাক বোঝাই করে পাঠিয়ে দিয়েছে। ট্রাক চালক জ্যোতি চন্দ্র রায় বলেন, নুরনবী যেভাবে ময়লা আবর্জনা ট্রাকে লোড করে দিয়েছে, সেভাবে আমরা টিটুল চন্দ্রের দোকানের সামনে নিয়ে এসেছি।
এ ব্যাপারে টিটুল চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, আমি নুরনবীর বিরুদ্ধে, প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। সে আমাকে পুরাতন কার্টুন ও কাগজ দেওয়ার কথা বলে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কার্টুন ও কাগজ দেয়ার পরিবর্তে ভিজা মাটি ও পঁচা কাপড়ের ঝুট সহ বিভিন্ন প্রকার আবর্জনা ট্রাক যোগে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে স্বর্বশান্ত করে দিয়েছে, সরকারের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস নাইসা ট্রেডার্সের প্রোঃ নুরনবীর সঙ্গে মোবাইল ফোন এ (০১৭২৩৯৭৫১৩৩) যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার সঙ্গে টিটুল চন্দ্রের আপোষ হয়েছে। এছাড়াও আমি সংগলশী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, খোঁজ নিলে আপনারা জানতে পারবে আমি কেমন মানুষ?
উপরোক্ত ঘটনার সংক্রান্তে সরজমিনে গিয়ে এলাকবাসীর কাছে জানতে চাইলে, তারা জানান যেহেতু আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে, সেহেত আমরা প্রশাসনের উধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার দাবি করছি।
Leave a Reply