আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে গ্রামীন জনপদ। বেলা বাড়লেও দেখা মিলছে না সূর্যের। দিনের বেলায়ও হেড লাইট চালিয়ে চলছে গাড়ি।
এতে বেকায়দায় পড়েছেন অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লার যানবাহন চালকরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন গভীর সাগরে অবস্থানরত জেলেরা। এদিকে কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জেলার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুন। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। আরও এক সপ্তাহ উপকূলে এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পটুয়াখালীর যাত্রীবাহি বাস ছন্দা পরিবহনের চালক ছোলায়মান মিয়া জানান, গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে কুয়াশার ঘনত্ব অনেকটা বেড়েছে। যার কারণে ভোরে মহাসড়কে গাড়ি চালানো অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও পেটের তাগিদে গাড়ি চালাতে হয়। কলাপাড়া পৌর শহরের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক কবির মিয়া জানান, অনেক সময় আমরা শহরের অলিগলির পাশাপাশি মহাসড়কেও রিকশা চালাই। মহাসড়কে আয় একটু বেশি হয়। তবে বর্তমানে ভোর বেলায় গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে উঠিনা। কুয়াশার কারণে বাসের সঙ্গে অনেক অটো দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
কলাপাড়া লঞ্চঘাটের ইজারাদার নুর জামাল মিয়া জানান, ঢাকার লঞ্চগুলো প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘাটে পৌছায়। গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশার কারণে সকাল ১১ টা কিংবা ১২ টার সময়েও লঞ্চ ঘাটে এসে পৌছাতে পারছে না। যার ফলে যাত্রীরা অনেক সময় বিরক্ত হচ্ছেন। পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আগামী এক সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। তবে কুয়াশা কিছুটা কমতে পারে। ###
Leave a Reply