আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ কলাপাড়ার পাখিমার খালে নিজেদের অর্থায়নে নির্মিত ভাসমান সেতুটিও চলাচলের জন্য ঝুকিপূর্ণ হয়ে গেছে সেতুটির জীর্ণদশা জন্য । ফলে কুমিরমারা, মজিদপুরসহ পাঁচ গ্রামের সবজি চাষীদের যোগাযোগ বন্ধের শঙ্কায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সেতুটির কাঠ অনেকাংশে ভেঙে গেছে। প্লাস্টিকের ড্রামগুলো অনেকটা খারাপ হয়ে গেছে। মানুষ হাটলে সেতুটি দোলে স্থির খাকছে না।
পাখিমারার খালে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পয়েন্টে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে প্লাস্টিকের ড্রামের ওপরে কাঠের পাটাতন করে নির্মাণ করা হয় ভাসমান সেতু। ওই পয়েন্টের ২০১৭ সালে উপজেলা পরিষদের নির্মিত আয়রন ব্রিজটি দুই বছর পরে বিধ্বস্ত হলে মেরামত কিংবা একটি সেতু না করায় সবজি চাষীসহ গ্রামের সাধারণ মানুষ নিজেদের অর্থায়নে এই ভাসমান সেতুটি নির্মাণ করেন। বর্তমানে ভাসমান সেতুটিরও বেহাল দশা। দরকার জরুরি মেরামতের। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা, মজিদপুর ও এলেমপুর গ্রামের শতকরা ৯০ ভাগ চাষী ১২ মাস সবজির আবাদ করে আসছেন। কলাপাড়া উপজেলার সবজির চাহিদা বলতে গেলে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে পুষিয়ে দেন চাষীরা। কৃষক জাকির হোসেন জানান, কোন উপায় না পেয়ে সবজি নিয়ে বাজারে যাওয়ার একমাত্র পথ খাল পার হওয়ার জন্য নিজেদের সংগঠন আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির সদস্যরা জোট বেধে নিজেদের অর্থায়নে নিজেরাই সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। কুমিরমারা, মজিদপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ সহায়তা করেন। প্রায় ৩৫০ ফুট লম্বা, চার ফুট পাশে এই সেতুটি নির্মাণে পৌণে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করেনস। ১০ অক্টোবর সেতুটি চলাচলের জন্য চালু করা হয়েছে। চাষীরা জানান, ৭২টি প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর পাটাতন করতে ২৫০ ঘনফুট (কেভি) কাঠ লেগেছে। আর প্লাস্টিকের রশি লাগে তিন মণ। তারকাটা লেগেছে তিন মণ। প্রথম দিকে এ সেতুতে একই সঙ্গে ১০ জন মানুষ পারাপার হলেও কোন ঝুঁকি ছিল না। কিন্তু বর্তমানে দুইজন একত্রে গেলেই সেতুটি স্থিও থাকে না। কাত হয়ে ডুবে যাওয়ার অবস্থা হয়। এ সেতুটির নতুন কিছু ড্রাম দেয়াসহ কাঠের পাটাতন পাল্টানো দরকার।###
Leave a Reply