আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পরিবারের খাবার জোটাতে ইদ্রিস আলীকে প্রতিদিন যেতে হয় ময়লার স্তুপে। স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে ইদ্রিস আলীর (৫৫) পরিবার। তাদের চার জনের খাবার জোটাতে তাকে প্রতিদিন যেতে হয় ময়লা-আবর্জনার স্তুপে। তিনি প্রতিদিন সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়লার স্তুপ থেকে প্লাস্টিকের বোতল, লোহাসহ নানা ধরণের বস্তু খুঁজে বেড়ান। তারপর খুঁজে পাওয়া লোহার রড ও প্লাস্টিকের বোতলসহ অন্যান্য সামগ্রী ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে ভাঙারির দোকানে বিক্রি করেন। এ থেকে তার প্রতিদিনের আয় ৮০ থেকে ১০০ টাকা। ইদ্রিস আলীর বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামে। পৌরসভার বালিকা বিদ্যালয় ও বাজার রোডের সংযোগ সড়কে ফেলে রাখা প্রতিদিনের ময়লার স্তুপ থেকে চলছে তার পরিবার। ইদ্রিস আলী আক্ষেপ করে বলেন, সরকার বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ দিলেও আমার মতো হতভাগার ভাগ্যে কোনটাই জোটেনি। চেয়ারম্যান মেম্বারদের সঙ্গে যাদের সখ্যতা আছে তারাই বার বার চাল, ডাল, তেল ও টাকা পেয়ে থাকে। ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, আমি গরিব ময়লা ছানি, আমাকে চোখে দেখে না কেউ। বাউফল পৌসভার পরিচ্ছন্নকর্মী সেলিম বলেন, প্রতিদিন পৌরসভার বিভিন্নস্থান থেকে আনা ময়লা থেকে ইদ্রিস ভাই খুঁজে পুরানো জিনিসপত্র নিয়ে থাকে। দেখেছি প্রতিদিন এভাবে কুড়াইয়া আনে। তার কোনো অসুখ-বিসুখ দেখিনি। আল্লাহর কী লিলা খেলা, বড়লোকেরা বাসি খাবার খায় না। লোকটা গরীব মানুষ, বড়লোকের ডাস্টবিনে ফেলে রাখা খাবার তুলে নিয়ে খায় অথচ তার কিছু হয় না। এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম মহসিন বলেন, আমি মাত্র কয়েক মাস হলো নির্বাচিত হয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ###
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি>>পটুয়াখালীর দুমকীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম প্রিন্স। ১৬ জানুয়ারী সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগম কর্তৃক দায়েরকৃত হয়রানীমূলক মিথ্যা চাঁদাদাবি মামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম প্রিন্স অভিযোগ করেন, ফেসবুকের একটি ¯ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস নাসিমা বেগমের ছেলে আবু নাসের মো: সফিউল্লার নেতৃত্বে বিএনপি ও ছাত্রদলের ৭/৮ জন ক্যাডার গত বছর ৩০ ডিসেম্বর বিকেলে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসের জয়বাংলা চত্তরে হামলা চালিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত করে। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা ছাত্রলীগের আরও একাধিক সহকর্মীকেও মারধর করে। খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদারের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতাকর্মীরা খবর পেয়ে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এঘটনায় আহত রাব্বিকুল ইসলাম বাদি হয়ে অভিযুক্ত আবু নাসের মো: সফিউল্লাহ ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে ওইদিন রাতেই দুমকি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। দুমকি থানার মামলা নং-০১, তাং ৩০/১২/২২। এ মামলার দায় এড়াতে এবং প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেই মামলার প্রধান আসামী আবু নাসের মো: সফিউল্লার মা নাসিমা বেগম গত ১৫ জানুয়ারি আমাকেসহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিথ্যে চাঁদা দাবির সাজানো মামলা করেছেন। যার আদৌ কোন সত্যতা নেই। এমন অসত্য, ভিত্তিহীন, হয়রানিমূলক সাজানো মামলা দিয়ে আ’লীগ ও ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন। মামলার সত্যতার বিষয়ে নাসিমা বেগম বলেন, ভিডিও ফুটেজসহ প্রমানাদি আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: সবুজ শিকদারসহ অন্যান্য শীর্ষনেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।###
গোলাপ হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধি>>>জয়পুরহাট প্রায় তিন শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নিকট শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল দশটায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা পুলিশের আয়োজনে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার নুরে আলম কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আমজাদ হোসেন, জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আফসার আলীর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সভাপতি সাজ্জাদ আহমেদ ময়না, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান, জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার মো. বসুনিয়া সহ মুক্তিযুদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। ###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টের পূর্ব ও পশ্চিমে এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ও ডাবের খোসা। এসব ময়লা আবর্জনা দেখে সমুদ্র কন্যা হিসেবে খ্যাত দেশের অন্যতম এ পর্যটন কেন্দ্র বেড়াতে আসা পর্যটকদের মুখে বিরক্তির ছাপ ফুটে উঠেছে। এদিকে প্রশাসন কর্তৃক সৈকত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ না নেওয়া এবং অসচেতন কিছু পর্যটকদের কারণে সৈকতের এমন অবস্থা বলে দাবি করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা একাধিক পর্যটকরা জানান, ইটপাথরের পরিবেশ থেকে নিজেদের একটু প্রশান্তি দিতে সমুদ্রে বেড়াতে আসা। এখানে এসে পর্যটন স্পটগুলো দেখে সবাই যেমন মুগ্ধ হন তেমনি সৈকতের যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পলিথিন ও প্লাস্টিক সবার মধ্যে বিরক্তির জন্ম দিচ্ছে। এসব পলিথিন ও প্লাস্টিকের কারণে শুধু যে সৈকতের পরিবেশই নষ্ট হচ্ছে তা নয় সঙ্গে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যও পড়েছে হুমকির মুখে।মেহেরপুর থেকে আসা পর্যটক ফোরকান-রাহেলা দম্পত্তি বলেন, কুয়াকাটার সবকিছুই বেশ ভালো। তবে কুয়াকাটা সৈকতে অনেক প্লাস্টিক রয়েছে। এসব বর্জ্যের কারণে আমরা অনেকটা বিরক্ত হয়েছি। এগুলো পরিস্কার না করলে পর্যটকরা সহজে সৈকতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। বরগুনা থেকে আসা পর্যটক ইমন সরকার বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। এখানের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। তবে সৈকতে পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিবেশটা নষ্ট করছে। মূলত আমরা যারা ভ্রমণে আসি তারাই সৈকতটাকে অপরিস্কার করে ফেলি। সবাই একটু সচেতন হলে সৈকতের এই দুরাবস্থা থাকতো না। তবে আমরা বন্ধুরা মিলে কিছু পলিথিন ও প্লাস্টিক কুড়িড়ে ডাষ্টবিনে ফেলেছি। ’ কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘সৈকতকে পরিস্কার রাখার জন্য আমরা ১০-১২ টি পেশার ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের মাধ্যমে ট্রেনিং করিয়েছি। এছাড়া গত বুধবার টোয়াকের উদ্যোগে প্রায় দুইশো ময়লা রাখার ডাষ্টবিন বিভিন্ন পয়েন্টে দেওয়া হয়েছে । তবে সরকার যদি আরো একটু খেয়াল দিতো তাহলে সৈকত সব সময় পরিস্কার রাখা সম্ভব।’কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, ‘সৈকতে যেন ময়লা না ফেলা হয় সে জন্য আমরা বারবার মাইকিং করে সতর্ক করি। সপ্তাহে একবার আমাদের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাই। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যদি সবসময় লোক নিয়োজিত রাখে তাহলে সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব।’ কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকতকে পরিস্কার রাখার জন্য সার্বিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের কয়েকটি টিম সকাল বিকেল ময়লা পরিস্কার করছে। কিন্তু কিছু অসচেতন পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের কারণে এই সমস্যাটা রয়েই গেছে।’ কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকতে যত্রতত্র ময়লা পরিস্কার এবং সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’###
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি>>চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে দুরুল হোদা (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সখ করে মাছ ধরতে গিয়ে লাশ হলেন তিনি বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাতাস মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।মৃত ব্যক্তি সদর উপজেলার একই ইউনিয়নের সরদার পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেল দুরুল হোদার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকাল বেলায় বিলে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে গিয়ে ডুবে যান। খবর পেয়ে স্বজনরাই ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। তিনি জেলে নন, সখ করে বিলের ধারে গিয়ে মাছ ধরতেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর জাহান বলেন, ওই ব্যক্তি মৃগীরোগে ভুগছিলেন, মাছ ধরতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নাই। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডিডি (অপমৃত্যু) মামলা দায়ের করা হবে।###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ দেশের অন্যতম সমুদ্র সৈকত সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের কুয়াকাটা। ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেছে সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর দিন দিন বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের পড়তে হচ্ছে আবাসিক সংকটে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ২৩, ২৪ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি ও ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে কুয়াকাটায় বুকিং হয়েছে শতভাগ হোটেল মোটেল। আবাসিক হোটেলে রুম না পেয়ে আশেপাশের বাসা বাড়িতে রাত্রীযাপন করতে হয়েছে আগত ভ্রমণ পিপাসুদের। আসাবিক হোটেলের সংখ্যা বৃদ্ধির তাগিদ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী ও পর্যটকদের। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, টানা তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে। ছুটি উপভোগ করতে ভ্রমণ পিপাসুরা বেছে নিয়েছে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটাকে। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর সারা দেশের সঙ্গে কুয়াকাটার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। মাত্র ৫-৬ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে পর্যটকরা আসতে পারছেন কুয়াকাটায়। সাগরের বিশালতায় এতদিন কুয়াকাটার ব্যবসায়ীরা যে সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছিলো তা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তাই দিনকে দিন কুয়াকাটায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। আবাসিক হোটেল কানসাইন এর ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের পর এখানে দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা পর্যটক নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা সরকারি ছুটি পেলেই কুয়াকাটা আসি। কিন্তু প্রতিবারই হোটেলে রুম না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রুম নিতে হয়েছে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি আরও ভিন্ন। অতিরিক্ত টাকা দিয়েও কোথাও রুম পাওয়া যায়নি। তাই রুম না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এবারের টানা তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকদের পদভারে মুখর সাগরকন্যা কুয়াকাটা। আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের মিতালিতে মেতে উঠেছেন। কেউ কেউ ওয়াটার বাইকে গভীরে গিয়ে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ কেউ টিউব ভাড়া নিয়ে সাঁতার কাটছেন। কেউ আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখছেন। তাদের আনন্দের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গ্রুপ নিয়ে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা সৈকতে ফুটবল খেলছে। কেউ কেউ আবার বালুর ওপরে প্রিয় জনের নাম লিখে ছবি তুলছেন। মোট কথা এখানে আগত পর্যটকরা যে যার মতো আনন্দ উপভোগ করছেন। শুধুমাত্র সৈকতের জিরো পয়েন্টেই নয় আগত পর্যটকরা আশেপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠেছেন। আর এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি মহিপুর থানা পুলিশও পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। এবারের এ ছুটির চতুর্থ দিনেও কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দিনাজপুর থেকে আসা পর্যটক মো. বারি বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে এই প্রথমবার কুয়াকাটায় এসেছি। খুবই আনন্দ উপভোগ করছি। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক বেড়েছে। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে কুয়াকাটা। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কুয়াকাটা পৌরসভার সর্তক দৃষ্টি রয়েছে।কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছি। পর্যটন স্পটগুলোতে আমাদের টহল জোরদার করেছি।###
আমতলী(বরগুনা) প্রতিনিধি: বুধবার বিকেলে আমতলী উপজেলার হরিমরতুনজা গ্রামে অ্যারাইজ আই এন এইচ ১৬০১৯ বায়ার হাইব্রিড -৮ কর্তন উপলক্ষে বায়ার ক্রোপস সায়েন্স লিমিটেড, বাংলাদেশ এর আয়োজনে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সি,এম রেজাউল করিম ।বায়ার ক্রোপস সায়েন্স লিমিটেড, বাংলাদেশ মার্কেট ডেভেলপ মেন্ট অফিসার (এম,ডি,ও) ,হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ মঅতিথি ছিলেন বায়ার ক্রোপস সায়েন্স লিমিটেড, বাংলাদেশ এর বরিশাল অঞ্চলের টেরিটরি ম্যানেজার মো: মাহাবুবুর রহমান ,বায়ার ক্রোপস সায়েন্স লিমিটেড ,বাংলাদেশ
পটুয়াখালী এর এফ,ও,টি মো: জসিম উদ্দিন , ডিলার বায়জিদ । বক্তব্য রাখেন কৃষক মো: জলিল, খোকন গোলদার, হারুন প্যাদা (প্রমুখ) #
গোলাপ হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ২৮/জানু,২৩ জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র ত্রি-বাষিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৮ জানুয়ারি শনিবার বেলা ১১টায় ক্ষেতলাল উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আয়োজনে থানার পশ্চিম পার্শ্বে সূর্যবান গ্রামের মাঠে পরিত্যক্ত জমিতে এ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক খালেদুল মাসুদ আনঞ্জুমান এর সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক নাফিউল হাদী মিঠুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জয়পুরহাট জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক অধ্যক্ষ শামসুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম- আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, যুগ্ম- আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান, জেলা মহিলা দলের সাধরণ সম্পাদক জায়েদা কামাল। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৈমুর রেজা, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শামস মতিসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ওই সম্মেলনে উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আগামী তিন বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটির আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক গোলজার হোসেন। এসময় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে উপজেলা বিএনপি’র নবনির্বাচিত সভাপতি খালেদুল মাসুদ আনঞ্জুমান , সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থ ও আব্বাস আলী নির্বাচিত হয়েছে। এবং পৌর বিএনপি’র নবনির্বাচিত সভাপতি আব্দুল আলীম, সাধারণ সম্পাদক নাফিউল হাদী মিঠু ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছে। এসময় জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন। জানা গেছে, আনোয়ার হাওলাদার পটুয়াখার মহিপুর থানা জাতীয় পার্টির সভাপতি পদে থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে তিনি ভোটের আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমানের পক্ষে নির্বাচনের মাঠে কাজ করেন। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর কুয়াকাটা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনোয়ার হওলাদার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ সময় নৌকার প্রার্থী কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লাকে হারিয়ে সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হন আনোয়ার হাওলাদার। এরপর থেকেই কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লার সঙ্গে নির্বাচনী বিরোধ ক্রমেই রাজনৈতিক বিরোধে রূপ নিতে থাকে।আওয়ামী লীগে যোগদান প্রসঙ্গে পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার দলে যোগ দিয়ে কুয়াকাটাবাসীর উন্নয়নে কাজ করাই আমার লক্ষ্য। আওয়ামী লীগে যোগদানকালে অন্যান্যের মধ্যে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ গোলাম ফারুক, গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মো. হারিচুর রহমান, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ বারী আজাদ, কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ মোঃ মনির শরিফ, কুয়াকাটা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ, কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সগির মোল্লা, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি আব্দুল রব হাওলাদার (মাঝি), কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল হক হাওলাদার (মাঝি), কুয়াকাটা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিলন পহলান, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ আবদুর রহিম, কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।###
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি>>গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ৬ ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহনে ইচ্ছুক প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা প্রদান শুরু করেছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদারের কাছে প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে যার যার জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদকের কাছে দূর্গাপুর ইউনিয়নের মনোনয়ন পেতে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন গোপালগঞ্জ জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ) শেখ মফিজুর রহমান টুটুল। উল্লেখ্য, আগামী ১৬ই মার্চ নির্বচনের তারিখ ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন । প্রাথীরা এখন থেকেই নিজ নিজ এলাকায় তাদের প্রচারনা শুরু করে দিয়েছেন।###
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি>>গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ৬ ইউনিয়নের নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহনে ইচ্ছুক প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা প্রদান শুরু করেছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদারের কাছে প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে যার যার জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারী) দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোবরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সফিকুল রহমান চৌধুরী টুটুল জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন।উল্লেখ্য, এখনো নির্বচনের তারিখ ঘোষণা হয়নি। প্রাথীরা এখন থেকেই এলাকা এলাকায় তাদের প্রচারনা শুরু করে দিয়েছেন।
কাওছার হামিদ,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ধনী পাড়ায় মা আয়েশা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা পরিদর্শন করলেন নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল। শনিবার সকালে গ্রামের বাড়ী থেকে নেতাকর্মিদের নিয়ে পায়ে হেটে মাদ্রাসায় উপস্থিত হন এবং মাদ্রাসার কতজন শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন দিক খোঁজ খবর নেন। ওই সময় এমপি আহসান আদেলুর রহমান আদেলের হাত দিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের গলায় আইডিকার্ড পড়িয়ে দেন এবং বই হাতে তুলে দেন। এ সময় এমপি মহোদয় মাদ্রাসার ঘরের অবকাঠামো তৈরীর প্রতিশ্রæতিদেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য শীতবস্ত্র হিসেবে বিশ পিছ কম্বল উপহার দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমপি আদেলের পিএস রায়হানুল আহসান রমি,জাতীয় ছাত্র সমাজ কিশোরগঞ্জ উপজেলার শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিক, ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিল, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সেলিনা বেগম,অত্র মাদরাসার শিক্ষক জোবেদা বেগম, মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব লাইজু বেগম, সহঃসভাপতি ফরিদা বেগম সাধারণ সম্পাদক জেলেখা বেগম,সদস্য জোসনা বেগম, দাতা সদস্য ডাঃ জহুরুল আলম ও উপদেষ্টা ডাঃ আনছারুল হক প্রমুখ।###
গত ১৯ জানুয়ারি বিয়ে করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুশা চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের পরেই ১৩ বছরের অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নিচ্ছেন অভিনেত্রী। আগামী ফেব্রুয়ারিতেই বিদেশে উড়ে যাবেন তিনি। সেখানেই ঘর বাঁধবেন। সুতরাং অভিনেত্রীর নতুন ইনিংসের সূচনায় একদিকে যেমন খুশি ভক্তরা, তেমনি মন খারাপও তাদের। কারণ বিয়ের আগেই রুশা জানিয়েছিলেন, অভিনয় ক্যারিয়ারে আপাতত ইতি টানছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনই তাঁর প্রায়রিটি লিস্টে এক নম্বরে। তবে রুশার বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আসামাত্রই তাঁকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় খিল্লি, কেননা অভিনেত্রীর উচ্চতার তুলনায় খানিকটা খাটো তাঁর স্বামী। অভিনেত্রীর ভাই বলে সম্বোধন করেছেন অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্র নিবাসী বরের গলায় মালা পরিয়েছেন রুশা। যদিও অনুরণ কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন কিন্তু তাঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরে। রিসেপশনের পরের দিনই ছিল রুশার জন্মদিন, তাই বউভাতের রাতেই বাড়ির অতিথিদের সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছেন নায়িকা। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যে আবারও সেলিব্রেশন মুডে নবদম্পতি। উপলক্ষ বিয়ের পর প্রথম ভাইয়ের জন্মদিন। তাই বরকে আর পুরো পরিবারকে পাশে নিয়েই জন্মদিন উদযাপন করলেন রুশা। বিয়ের পর বিতর্কে জড়ালেও কোনো কিছুতেই প্রতিক্রিয়া জানাননি অভিনেত্রী। বরং স্বামীর সঙ্গে মাঝরাতেই কেক কেটে নিজের জন্মদিন উদযাপন করলেন নায়িকা।
শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত বিতর্কিত সিনেমা ‘পাঠান’। ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে এ সিনেমা। ২০ জানুয়ারি অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও তা শুরু হয় ১৮ জানুয়ারি থেকে। আর প্রথম দিনেই সিনেমাটির অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে। বক্স অফিস বিশ্লেষক অতুল মোহন এক টুইটে জানিয়েছেন, অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিনে মোট ৯০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে পিভিআর: ৩৫ হাজার, আইএনওএক্স: ৩০ হাজার ও সিনেপোলিস: ২৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। টিকিট বিক্রির পরিসংখ্যান ১৮ জানুয়ারি রাত ৯টা পর্যন্ত। হিন্দুস্তান টাইমসকে অতুল মোহন বলেন, ‘পরিসংখ্যান বলছে যদি অগ্রিম বুকিংয়ের প্রথম দিনেই সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রি হয়, তাহলে মুক্তির আগের দিন এই বিক্রির পরিমাণ শীর্ষে ওঠে যাবে। তাই নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এটা সিনেমার জন্য ভালো লক্ষণ। সিনেপোলিস, পিভিআর এবং আইএনওএক্স-এর মতো হলগুলো ‘পাঠান’ সিনেমা পাঁচটির মধ্যে চারটি স্ক্রিনে দিয়েছে। আরেক বক্স অফিস বিশ্লেষক তরন আদর্শ এক টুইটে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাঠান সিনেমার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার। যার মধ্যে পিভিআর: ৫১ হাজার, আইএনওএক্স: ৩৮ হাজার ৫০০ ও সিনেপোলিস: ২৭ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হয়েছে। হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে লিখেছের সুনামি লোডিং। শুক্রবার থেকে টিকিট বিক্রি পুরোদমে শুরু হবে। বক্স অফিস বিশ্লেষক অক্ষয় রাঠি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন— ‘‘প্রথম দিনে ‘পাঠান’ সিনেমা আয় করবে ৩৫ কোটি রুপি। বুধবার (২৫ জানুয়ারি, মুক্তির দিন) কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও এটি বড় প্রাপ্তি। আমার বিশ্বাস, ২৬ জানুয়ারি সিনেমাটি ৪৫ কোটি রুপি আয় করবে।’###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। দিনটিকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ ও পেশার ভ্রমণপিপাসু মানুষ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আসেন। দিনভর নানা আয়োজনে মেতেছিলেন তারা। তবে খাবারের মান এবং হোটেল ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা। তাদের দাবি, বিষয়টি স্থানীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরে নেওয়া উচিত।কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের মধ্যে কেউ ঘুরেছেন লেম্বুর চর, গঙ্গামতি চর, ফাতরার বন, কাঁকড়ার চর ও রাখাইন পল্লী, রাখাইন মার্কেটসহ অন্যান্য আকর্ষণীয় স্পটগুলো। কেউ কেউ উপভোগ করছেন সাগরের নীল জলরাশি ও প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য। কেউ আবার সেলফি তুলে, সমুদ্রে সাঁতার কেটে, ঘোড়ায় চড়ে স্মরণীয় করে রেখেছেন মুহূর্তগুলো। সবমিলিয়ে পর্যটকদের পদচারণায় ১৮ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই সমুদ্র সৈকতটি মুখরিত হয়ে ওঠে।শুক্র ও শনিবার দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রোববারের বড়দিনের ছুটি। টানা তিনদিনের ছুটি উপভোগ করতে ভ্রমণপ্রেমিরা ছুটে আসেন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও শুক্রবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক এখানে আসতে শুরু করেন।এদিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পর্যটকদের আনন্দ কিছুটা হলেও ম্লান করে দিয়েছে কুয়াকাটার আবাসিক হোটেলের ভাড়া এবং খাবারের মান। খাবারের অতিরিক্ত দাম ও হোটেলে গলাকাটা ভাড়া নেওয়ায় অভিযোগ করে পর্যটকরা বলছেন, বিষয়টি স্থানীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরে নেওয়া উচিত।ঢাকা থেকে আগত ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, কুয়াকাটা অপরূপ সৌন্দর্য্যে ভরা। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা যায়। আমি এর আগেও একবার এখানে এসেছিলাম। তখন ব্যয় অনেক কম ছিল। কিন্তু এবার এসে দেখি সবকিছু বদলে গেছে। তিনি বলেন, এর আগেরবার যে হোটেল ভাড়া দিয়েছিলাম এক হাজার টাকা, এবার সেই হোটেল ভাড়া দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। খাবার হোটেলেরও একই অবস্থা। খাবারের মানের চেয়ে দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। এসব পর্যটন এলাকার জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এতে পর্যটন এলাকার ক্ষতি হচ্ছে।ঢাকা থেকে আগত আরেক পর্যটক ইসমাইল হোসেন বলেন, কুয়াকাটা অনেক সুন্দর। কিন্তু খাবারের মান ও দাম দেখে সবকিছু ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খাবারের মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। মান ভালো করে এবং দাম কমালে পর্যটকরা খুশি হতো এবং পর্যটকদের আগমন আরও বেড়ে যেত।এ ব্যাপারে কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ বলেন, বড়দিনের ছুটিকে ঘিরে কুয়াকাটা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। হোটেল-মোটেলের শতভাগ রুম বুকিং ছিল। তবে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ বাড়তি ভাড়া নিলে এবং তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কুয়াকাটা জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক জানান, তিনদিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। বড়দিনকে ঘিরে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য। কোনো নিয়ম-কানুনের বালাই নেই। যে যেভাবে পারছে পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক মোঃ শাহ শোয়াইব মিয়া জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর তিনি এখানে যোগদান করেছেন। জানুয়ারিতে পর্যটকদের ভরা মৌসুমে কুয়াকাটায় অভিযান চালানো হবে এবং সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হবে। কেউ নিয়ম না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।###
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ তিন দিনের সরকারি ছুটির দ্বিতীয় দিনেও শনিবার ২৪ ডিসেম্বর পর্যটকে টইটুম্বর হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশাকে উপক্ষো করেই সকাল থেকে সৈকতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা। এদিকে, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করে চলেছে প্রশাসন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আগত পর্যটকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সৈকতের জিরো পয়েন্টে সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালিতে মেতেছেন। অনেকে আবার সেলফি তুলে ছড়িয়ে দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কেউবা আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আবার অনেকেই বন্ধুদের নিয়ে মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় করে ছুটি চলেছেন। এছাড়া কুয়াকাটার চর বিজয়, গঙ্গামতি, কাউয়ার চর, ঝাউবন, শুটকি পল্লী, লেবুর বন ও তিন নদীর মোহনাসহ সবকটি পর্যটন স্পটে এখন পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা। পর্যটকদের এমন ভিড়ে বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তাই অনেকটা খুশি ব্যবসায়ীরা। এদিকে আজ রোববার পর্যন্ত বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার শতভাগ হোটেল মোটেল। অনেক পর্যটক হোটেলের সিট না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয়দের বাসা বাড়িতে। কুয়াকাটা চৌরাস্তা থেকে শুরু করে পৌরসভা পর্যন্ত যানযট লেগে থাকছে প্রায়ই। কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে কথা হয় পর্যটক তামান্না রহমানের সঙ্গে কথা হয় ডেইলি তালাশ এর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থেকে পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। সকাল থেকে বাচ্চারা সৈকতের বালিয়াড়িতে খেলাধুলা করছে। আমরা বেশ আনন্দ করছি।’ সাতক্ষীরা থেকে আসা অপর পর্যটক মিথিলা সাকিব বলেন, প্রিয় জনকে সঙ্গে নিয়ে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে সাগরের ঢেউ উপভোগ করা এক অন্যরকম অনুভ‚তি। সকাল থেকে বেঞ্চিতে বসে আছি। নানা বয়সের মানুষ দেখছি। কুয়াকাটায় এসে মনটা ভরে গেছে।’ কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, ‘যে কোনো অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে সবকটি পর্যটন স্পটে আমাদের ট্যুরিষ্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে।’###
ডেইলি তালাশ ডেস্ক>>চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘির ফেসবুকের একটি পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দীঘির অভিযোগ, তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে রাজনীতির শিকার হয়েছেন। পরিচালকের বিরুদ্ধে তিনি কথা দিয়ে কথা না রাখার অভিযোগ করেছেন। এবিষয় নির্মাতা রায়হান রাফিও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘দীঘির উচিত টিকটক বাদ দিয়ে অভিনয়ে মনোযোগী হওয়া।তার ফিটনেসের দিকে আরও মনোযোগী হওয়া উচিত। তাকে শুধু আমার সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিষয়টা এমন না, অন্যরা কেন তাকে সিনেমা থেকে বাদ দিল? নিশ্চয়ই তার কোনো ঘাটতি আছে।’ এদিকে পরিচালক রাফির এই মন্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা মডেল-অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা সুবাহ। ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন- বাংলাদেশের রেকর্ড হয়ে থাকল! এইভাবে কোনো দিন কোনো বড় ডিরেক্টর, কোনো নায়িকাকে প্রকাশ্যে তার ফিগার নিয়ে অপমান করতে দেখিনি। উনি এমনভাবে কথা বলেছেন যেন ইন্ডিয়ান নির্মাতা করণ জোহর বা সঞ্জয়লীলা বানসালি হয়ে গেছেন। রায়হান রাফিকে ইঙ্গিত করে সুবাহ আরও বলেন, যে প্রেম করতে পারবে সেই ভালো নায়িকা, ভালো ফিগারের সুন্দরী নায়িকা!…… এটা কি ধরনের মিনিং!’ এই অভিনেত্রী আরও লেখেন- বর্তমান যুগে অনেক বড় বড় বলিউড এবং বাংলাদেশের নায়ক-নায়িকারা অনেকেই টিকটক করেন।এভাবে একটা নায়িকাকে অপমান করা হলো বিষয়টা খুব কষ্টের তারপরও সে (দীঘি) ছোট থেকেই অভিনেত্রী আবার স্টারকিড। তিনটা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে আছে। সে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী, তাকে অবশ্যই সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত ছিল তার। সুবাহ আরও লেখেন- চলচ্চিত্রের প্রযোজক পরিচালক মানে সিনেমার বাবা মা, ওনারা যদি এইভাবে এই ভাষায় অভিনেত্রীদের নিয়ে কথা বলে তাহলে বিষয়টা খুবই দুঃখজনক এবং হতাশার। এইভাবে বডি শেমিং করা ঠিক হয়নি। আপনাদের সবার উচিত এই সব ফালতু মন মানসিকতার মানুষদের শিক্ষা দেওয়া। আমিও চলচ্চিত্রের একজন অংশ এবং আমিও একটা মেয়ে তাই বিষয়টি আমার খারাপ লেগেছে আর আমি পারসোনালি দিঘিকে অনেক পছন্দ করি। আমি কখনো কাউকে ছাড়ে কথা বলিনি এবং বলবও না আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে ওই ডিরেক্টরের কথাবার্তাগুলো। দিঘির জায়গায় হয়তো আমিও এ রকম বাজে ভাবে বডি সেভিং এর শিকার হতে পারি দুদিন পর! ওনার মতো ডিরেক্টর এর কাছে। দিঘির বাবা আমার ছবিতে আমার বাবা হয়েছিলেন অনেক ভালো মানুষ আর দিঘির মা অনেক নামকরা নায়িকা দোয়েল ছিলেন। দিঘি একটা অল্প বয়সের মা হারা মেয়ে।###
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ৩০/জানু জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩টি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করেছে র্যাব। রোববার রাতে আক্কেলপুর উপজেলার বটতলী এলাকার একটি মেহগনি বাগান থেকে উদ্ধার করেন। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় অস্ত্রধারীরা। সোমবার সকালে র্যাব জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।র্যাব জানায়, একটি সংবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে বটতলী এলাকায় ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত ছিল। তারা রাস্তায় চলাচলকারী পথচারীদের অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই করত। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানোর সময় র্যাবের উপস্থিটি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এসময় সেখান দেশিয় ৩টি ওয়ানশুটার গান পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে সেগুলো জিডিমূলে আক্কেলপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আঃ মজিদ খান,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলউদ্দিন মৃধা নামের এক কৃষককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন তার প্রতিবেশি সেলিম মৃধা (৫৫) ও ফিরোজ (৩০) নামের দুই ব্যাক্তি। একই পরিবারের অপর আরও ৬জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ২৯ জানুয়ারি, রোজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ১৪নং নওমালা ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকায় এঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও অহতদের সূত্রে জানা গেছে, ডাল খেতে গরু প্রবেশ করে ফসল নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধেঁ। এতে সেলিম মৃধা ও ফিরোজ আলাউদ্দিনের উপর চড়াও হন। দল-বল নিয়ে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রাক্তাক্ত জখম করেন আলাউদ্দিনকে। এসময় আলাউদ্দিনের ছেলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে ছাড়িয়ে নিলেও দ্বিতীয় দফায় সেলিম, ফিরোজ ও রিয়াজের নেতৃত্বে ৮/১০ একটি দল পুনরায় আলউদ্দিনের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে আহত হন আলউদ্দিনের মেয়ে নাজিয়া, ভাই আনোয়ার, আন্তেসা, ডালিম ও সালমা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এব্যপারে বাউফল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়।অভিযুক্ত রিয়াজ মৃধাকে (০১৩০২-৭৮২৬৪১) নাম্বারে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর ফোনটি কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।এব্যপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।###
মোহাঃ ইমরান আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি>>চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরস্বতী প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। ঘটনার ২০ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার (২৮ জানুয়ারী) রাতে সদর উপজেলার বারঘরিয়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সনাতন ধর্মাম্বলীরা জানায়, শনিবার রাত আটটার দিকে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তারা। এ সময় তারা সাউন্ড বক্সে উচ্চস্বরে গান বাজালে বাধা দেয় লাবিব মেসের শিক্ষার্থীরা। এর পরপরই তারা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় পাশের বাড়ির একটি সরস্বতী পূজামÐপে। ভেঙে দেয়া হয় দেবী স্বরস্বতীর বাম হাতের কব্জির অংশ। পরে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সনাতন ধর্মালম্বী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এ সময় সনাতন ধর্মাম্বলীদের নেতারা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পর প্রতিমা বির্সজনের ব্যবস্থা করা হয়।তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।আর ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সনাতন ধর্মাম্বলীদের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শেষ খবর দেয়া পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ পলিটেকনিক সাধারন ছাত্র জোটের এক প্রেস বিজপ্তিতে জানানো হয়, মেসে অবস্থানকারী চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিকের ছাত্ররা লেখাপড়া করার সময় পাশের সনাতন ধর্মাম্বলীরা উচ্চস্বরে গান বাজানোর সময় তাদের আস্তে বাজানোর অনুরোধ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়রা মারমুখি হয়।ছাত্রাবাসে হামলা চালিয়ে তাদের এক ছাত্রকে আটকে রেখে মারধর করে।এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করার দাবী জানানো হয়।অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাবলু কুমার ঘোষ প্রতিমা ভাংচুরের বিষয়টি স্বীকার করে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের খুঁজে বের করার অনুরোধ জানান।তিনি আরও জানান, প্রশাসনের অনুরোধে প্রতিমা বির্সজন দিয়ে পরিস্থিতি আপাদত শান্ত রাখা হয়েছে।এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দেয়া না হলেও বিকেলে প্রশাসনের সাথে ঘটনার বিচার চেয়ে বৈঠকের পর পরবর্তি সিদ্ধান্ত জানান হবে। এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান জানান, প্রতিমার সামান্য ক্ষতি হলেও শান্তিপূর্ণ ভাবে বিসর্জন শেষে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।এ ঘটনায় কোন গ্রেপ্তার নাই এবং সনাতন ধম্বাবলীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরদিকে সদর থানার ওসি(তদন্ত) মাহফুজুল হক জানান, পুলিশের তদন্ত অব্যহত রয়েছে।দায়ীদের খুঁজে আইনের আওতায় আনা হবে।###
জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ ২৯/জানু,২৩ জয়পুরহাট ক্ষেতলালে জমি-জমাকে কেন্দ্র করে ২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলেন দেলোয়ার হোসেন বুলু (৪২), মুনিহার বানু (২৮) আহতদেরকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়ি গ্রামে। ঘটনাসূত্রে ও আহত মুনিহার বানু জানান, রবিবার সকাল ৯টার দিকে আমাদের বসত বাড়ির পাশের জায়গা কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সুমুন হোসেন সামীম ,(২৪) মোকছেদ আলী (৪৫) ইউনুস আলী(৫৫) , সায়মা ৫০) ফরিদা বিবি(৪০) দিলবর হোসেন (৪০) নুপুর (২২) ফিহাদ(২৩) আমার স্বামী দেলোয়ার হোসেন বুলুর সাথে জমি-জমাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চড়াও হয়ে আমাকে ও আমার স্বামী দুইজনকে তাদের হাতে থাকা লাঠি ও হাসোয়া দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এসে পরলে মরধরকারীরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আমাদেরকে উদ্ধার করে ক্ষেতলাল হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে চিকিৎসাধীনে দেলোয়ার হোসেন তার স্ত্রী মুনিহার বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়াই জেলা আধুনিক হাসপাতালে রোফার্ট করা হয়েছ । এ বিষয়ে আহত দেলোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর্যন্ত এই জমি-জমার জের নিয়ে মারামারি চলছে। আমার বড় ভাই ইউনুস আমার কাছে জমি বিক্রয় করেছে পরে আবার ওই জমি ২য় বার মোকছেদের কাছে বিক্রি করে জমি দখল না দেওয়ায় আমাকে মারপিট ও আমার স্ত্রীকে বিব্রস্ত করে আমি একা হওয়ায় প্রায় আমাদের বসত ভিটা থেকে উচ্ছদ করতে মারামারি করে আসছে এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের নামে থানায় একাধিক মামলা আছে। সঠিক বিচার না পাওয়া আমাদেরকে এরা প্রায় মারধর করে। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ সুমুন হোসেন সামীমের বাড়িতে গিয়ে কাওকে পাওয়া যায়নি৷ ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজিবুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি৷ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মুনিহার বানু বাদী হয়ে রবিবার ক্ষেতলাল থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানান।###
গোলাপ হোসেন, জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ২৮/জানু,২৩ জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক করার সময় জামায়াতে ইসলামীর উদয়পুর ইউনিয়নের আমিরসহ তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে কালাই থানা পুলিশ। শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের মোলামগাড়ীহাট বাজারে ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ভিতর থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিরা হলেন, কালাই থানার উদয়পুর ইউনিয়নের জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির চেচুরিয়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. আঃ সোবাহান (৬১), জামায়াতে ইসলামীর সদস্য মাত্রাই গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. আঃ সোবাহান (৪৫), জামায়াতে ইসলামীর সদস্য থল গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মো. আবুল কালাম (৭১)। পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা ১১টায় কালাই উপজেলায় মোলামগাড়ীহাট বাজার এলাকায় ন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ভিতর জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করছিলেন এমন গোপন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান আরও কয়েকজন। এ তথ্য নিশ্চিত করে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, সরকার বিরাধী কর্মকান্ডের পরিকল্পনা করার সময় তিন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।###
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি>>বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এত দিন বাইরে থেকে তামার তার ও মূল্যবান ধাতববস্তু চুরি হলেও, এবার চুরির ঘটনা ঘটেছে কেন্দ্রের ভেতরে। সম্প্রতি কেন্দ্রের মধ্যে তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে ৪৭ লাখ টাকা মূল্যের কয়লা পরীক্ষার মেশিন (BOMB CALORIMETER) চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় গত ১৬ জানুয়ারি রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (সিকিউরিটি ও প্রশাসন) অলিউল্লাহ। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেন্দ্রের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, কেমিস্ট আব্দুল মালেক ল্যাব বন্ধ করার সময় টেস্টিং যন্ত্রটি টেবিলের উপরেই ছিলো। আব্দুল মালেক চলে যাওয়ার আগে তালার চাবি ল্যাব-১ এর মুসা পারভেজকে দিয়ে ল্যাব টেকনিশিয়ান মো. সাদ্দাম হোসেন এবং তানভীর রহমানকে দিতে বলেন। মুসা পারভেজ তাদের চাবি দেন। রাত ১০টায় ওই স্থানে ডিউটিতে আসেন মো. জাকারিয়া আল রাজী এবং মাসুম বিল্লাহ। ১৫ জানুয়ারি সকাল ৭টায় ডিউটি শেষ করেন তারা। এসময় মো. সাদ্দাম হোসেন এবং মো. মাসুম বিল্লাহ দায়িত্ব নেন। সকাল ৯টার দিকে রুম ক্লিনার আব্দুল নোমান ল্যাব-২ পরিস্কার করতে গিয়ে টেবিলে মেশিন দেখতে না পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান। ঘটনার ১১দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মেশিন বা চোরের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। মামলার বাদী ও রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও নিরাপত্তা) মো. অলিউল্লাহ বলেন, চুরির ঘটনায় আমরা মামলা করেছি, কাজ চলছে। এবিষয় আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, ‘তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের কয়লা পরীক্ষার মেশিন চুরির ঘটনায় আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। এদিকে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনায় চুরি সংগঠিত হওয়ায় কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কয়লা পরীক্ষার মেশিন সাধারণ মানুষের কোনো কাজে লাগার কথা নয়। ছিচকে চোরদের চুরি করারও কথা নয়। বড় কোনো চক্র এবং কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ কেউ এতে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ল্যাব এলাকায় রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা লোক থাকার পরও মামলায় কারো নাম না দেওয়ার বিষয়টি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও দায় এড়ানোর চেষ্টা। সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বাহীনিগুলোর সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মাসে র্যাব-৬ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের ২০ জনকে আটক ও অর্ধকোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করে। অপরদিকে গত ৯ মাসে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দায়িত্বরত আনসার ব্যাটালিয়ন খুলনার সদস্যরা ৩৩ জন চোরকে গ্রেপ্তার করে। এসময় চোরাইকৃত ৫৩ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। কেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য রয়েছেন ১৫০ জন, সাধারণ আনসার ৩০ জন, পুলিশ সদস্য ১৭ জন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভেল এর নিজস্ব সেন্ট্রি সিকিউরিটি সার্ভিসের কর্মী রয়েছে ৭৮ জন এবং জেরিন সিকিউরিটি সার্ভিসের রয়েছে ১৮জন । কোনো সংস্থাই কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এককভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত না হওয়ায় একদিকে যেমন জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে অপরদিকে দায়িত্ব স্পষ্ট না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষেরও স্বদিচ্ছার অভাব রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় মানুষের।###
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- মোঃ আলমগীর হোসেন লেবু
যোগাযোগঃ- বি এস এস ভবন (৩য় তলা), ৪-দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০, ই-মেইল- dailytalash2015@gmail.com, মোবাইল-০১৭৩০৯২৭৯৬৯
Leave a Reply